এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে গোলের বন্যা, রোমাঞ্চ আর শেষ মুহূর্তের হতাশা—সব মিলিয়ে স্মরণীয় এক রাত কাটাল বাংলাদেশ দল। হংকংয়ের বিপক্ষে ৪–৩ গোলের পরাজয়ে লাল-সবুজ শিবিরে নেমেছে নীরবতা।
গোটা ম্যাচজুড়ে প্রাণবন্ত পরিবেশে ছিলেন হংকংয়ের শতাধিক সমর্থক। প্রেসবক্সের নিচের গ্যালারিতে তাঁদের ঢাকঢোল আর স্লোগানে ভরে ছিল পুরো গ্যালারি। এমনকি বাংলাদেশের হয়ে হামজা চৌধুরীর অসাধারণ ফ্রি–কিক থেকে গোল হওয়ার পরও থামেননি তারা। হয়তো আগেভাগেই বুঝে ফেলেছিলেন, তাঁদের দল ঘুরে দাঁড়াবে। শেষ পর্যন্ত তাই-ই হলো—বদলি ফরোয়ার্ড রাফায়েল মেরকিচের হ্যাটট্রিকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল হংকং।
বাংলাদেশ শুরুতে এগিয়ে গিয়েও টানা তিন গোল হজম করে চাপে পড়ে। পরে শমিত সোম ও রবিউলের গোলে সমতায় ফিরলেও শেষ মুহূর্তে আবারও সেই রক্ষণভাগের দুর্বলতা—এবারও সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল করে ম্যাচ নিশ্চিত করে নেয় হংকং।
অতিরিক্ত সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে শমিত সোমের হেডে ৩–৩ গোলে সমতায় ফিরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে রাফায়েল মেরকিচের গোলেই ৪–৩ ব্যবধানে জয় পায় অতিথিরা। স্নায়ুচাপ ধরে রাখার অভ্যাস এখনো শেখেনি বাংলাদেশের ফুটবলাররা—শেষ বাঁশি বাজতেই স্পষ্ট হয়ে গেল সেটাই।
এই জয়ে হংকং ৭ পয়েন্ট নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার সম্ভাবনা জোরালো করেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের সংগ্রহ মাত্র ১ পয়েন্ট, ফলে চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার আশা কার্যত শেষ হয়ে গেছে জামাল ভূঁইয়াদের জন্য। সিঙ্গাপুর ৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে, ভারতের পয়েন্ট ২।
প্রথমার্ধে দুর্দান্ত সূচনা করেও জয় পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। ম্যাচের ১৩ মিনিটে হামজা চৌধুরীর নিখুঁত ফ্রি–কিক গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। কিন্তু প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মাত্র ৩০ সেকেন্ড আগে সমতা ফেরান হংকংয়ের ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত ফরোয়ার্ড এভারটন কামারগো।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফেরার তাগিদে বাংলাদেশ আক্রমণ বাড়ালেও ডিফেন্সের ঘাটতি বারবার বিপদে ফেলেছে দলকে। শেষ বাঁশি বাজার পর মাঠেই বসে পড়েন হতাশ জামাল ভূঁইয়া, শমিত, রবিউলরা।
সায়ন্তন ভট্টাচার্য 


















