বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকার বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার পরও ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে’ ভিত্তিহীন গুজব ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এ বাহিনী।
সোমবার সেনাবাহিনীর ফেইসবুক পেইজে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না। এর আগেও সেনাবাহিনী কর্তৃক আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ক্রমাগত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে’ অভিযোগ করে সেনাবাহিনী বলছে, “এ ধরনের বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার স্বাভাবিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টের অপচেষ্টা মাত্র, যা সার্বিক নির্বাচনি পরিবেশকে ব্যাহত করতে পারে।”
মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন, ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন এবং ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী চাওয়া হয়েছিল।
তবে ২৮ অগাস্ট এক বিবৃতিতে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো সুযোগ নেই।
সেনাবাহিনীর সোমবারের বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আশা করে, দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিতব্য কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন যেন সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে।”
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী, ভোটার এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আন্তরিক শুভকামনা জানানো হয়েছে সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে।
সেনাবাহিনীর এই বিবৃতি আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর- আইএসপিআর তাদের ফেইস বুক পেইজেও প্রকাশ করেছে।
সূত্র:বিডিনিউজ