ঢাকা ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিজ্ঞাপনী সংস্থা কক্স এ্যাড ও ফাহিম এ্যাড এর মালিক আবছার,হারুন ও জাহেদ এর বিরুদ্ব্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ রমজানে পণ্য মূল্যের কোন ব্যত্যয় হবে না- বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা পাসপোর্টে থাকছে না পুলিশ ভেরিফিকেশন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিন কেন নয়: হাইকোর্টের রুল যুক্তরাজ্যের মানবাধিকারবিষয়ক রাষ্ট্রদূত ঘুরে দেখলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্প বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ করতে গভর্নরকে দুদকের চিঠি দেশে ক্যানসার চিকিৎসা এখনও অপ্রতুল শাবান মাসে নফল রোজা রাখবেন যেভাবে বিপিএলে যেমন খেলছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাংলাদেশ স্কোয়াডের ১৫ তারকা ‘চট্টল সুরাঙ্গন’- এর অভিষেক অনুষ্ঠান যেন সংস্কৃতিপ্রেমীদের মিলনমেলা.. গানে-আনন্দে সত্যেন সেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর প্রীতি সম্মিলন সম্পন্ন মিয়ানমার সীমান্তে আবারো মাইন বিস্ফোরণ, যুবকের পা বিচ্ছিন্ন মহেশখালী প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন: সভাপতি-জয়নাল, সা: সম্পাদক-জিকু পরিবেশ অপরাধে জর্জরিত পালংখালী!  সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে প্রশাসনের নাভিশ্বাস কক্সবাজারে শতাধিক মন্ডপে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনা..

দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে

বিশ্বের পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশের পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার ক্ষেত্রে এই ট্যুরিজম পার্কগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া।

শুক্রবার বিকেলে টেকনাফ উপজেলায় নির্মানাধীন সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক পরিদর্শন করেন মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া। কক্সবাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সরেজমিনে পরিদর্শনের অংশ হিসেবে সাবরং ট্যুরিজম পার্ক ঘুরে দেখেন তিনি।

এ সময় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) যুগ্ন সচিব দয়ানন্দ দেবনাথ, আবু হেনা মো. মুস্তাফা কামাল, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক জোনের পরিচালক আবু লাহেল, ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন, ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বলেন,”কক্সবাজারের জন্য ট্যুরিজম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তাছাড়া এ জেলাকে পযর্টকনগরী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দেশি-বিদেশি পর্যটক টানতে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তুলা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে অনেক মানুষের কর্ম সংস্থার সুযোগ লাভ করবে। পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ পাবে।

বেজা জানায়, আর্ন্তজাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে কক্সবাজারের টেকনাফের সুমদ্র সৈকতের তীরে পর্যকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সাবরাংয়ে ৯৬১ একর আয়তনের এ পার্কে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা রেখে অবকাঠামো নির্মাণ হচ্ছে। এ জমি বরাতে ১৮৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ইতি মধ্য পরিকল্পিত এই আধুনিক পর্যটন পার্কে ২৩ জন বিনিয়োগকারীর অনুকূলে ১১২.২৯ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে, যাদের প্রস্তাবিত বিনিয়োগ ৪১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এদের মধ্যে নেদারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এখানে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ কর্মসংস্থার সুযোগ পাবে। এছাড়া পার্ক সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ হতে নেটং হিল হয়ে নাফ ট্যুরিজম পার্ক পর্যন্ত প্রায় ৮.৫০ কিলোমিটার ক্যাবল কার স্থাপনের জন্য একটি সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদন করা হচ্ছে এবং সমীক্ষাটি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বেজা মাটি ভরাট; ভূমি, সড়ক উন্নয়নসহ অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রম শেষ করেছে। পার্কটি টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে ৮ কিলোমিটার ও কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে ২ ঘণ্টার দূরত্বের মধ্যে। আর ঢাকা থেকে দূরত্ব ৪৬৮ কিলোমিটার। এটি পাহাড় ও সমুদ্রসৈকত নিয়ে বহুমুখী ও বৈচিত্র্যপূর্ণ চমৎকার একটি অঞ্চল। যদিও মিয়ানমার আপত্তির কারনে নাফ ট্যুরিজম পার্কেও কাজ বন্ধ রয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিজ্ঞাপনী সংস্থা কক্স এ্যাড ও ফাহিম এ্যাড এর মালিক আবছার,হারুন ও জাহেদ এর বিরুদ্ব্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ

This will close in 6 seconds

দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে

আপডেট সময় : ০৪:৫৪:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

বিশ্বের পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশের পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার ক্ষেত্রে এই ট্যুরিজম পার্কগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া।

শুক্রবার বিকেলে টেকনাফ উপজেলায় নির্মানাধীন সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক পরিদর্শন করেন মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া। কক্সবাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সরেজমিনে পরিদর্শনের অংশ হিসেবে সাবরং ট্যুরিজম পার্ক ঘুরে দেখেন তিনি।

এ সময় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) যুগ্ন সচিব দয়ানন্দ দেবনাথ, আবু হেনা মো. মুস্তাফা কামাল, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক জোনের পরিচালক আবু লাহেল, ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন, ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বলেন,”কক্সবাজারের জন্য ট্যুরিজম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তাছাড়া এ জেলাকে পযর্টকনগরী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দেশি-বিদেশি পর্যটক টানতে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তুলা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে অনেক মানুষের কর্ম সংস্থার সুযোগ লাভ করবে। পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ পাবে।

বেজা জানায়, আর্ন্তজাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে কক্সবাজারের টেকনাফের সুমদ্র সৈকতের তীরে পর্যকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সাবরাংয়ে ৯৬১ একর আয়তনের এ পার্কে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা রেখে অবকাঠামো নির্মাণ হচ্ছে। এ জমি বরাতে ১৮৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ইতি মধ্য পরিকল্পিত এই আধুনিক পর্যটন পার্কে ২৩ জন বিনিয়োগকারীর অনুকূলে ১১২.২৯ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে, যাদের প্রস্তাবিত বিনিয়োগ ৪১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এদের মধ্যে নেদারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এখানে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ কর্মসংস্থার সুযোগ পাবে। এছাড়া পার্ক সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ হতে নেটং হিল হয়ে নাফ ট্যুরিজম পার্ক পর্যন্ত প্রায় ৮.৫০ কিলোমিটার ক্যাবল কার স্থাপনের জন্য একটি সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদন করা হচ্ছে এবং সমীক্ষাটি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বেজা মাটি ভরাট; ভূমি, সড়ক উন্নয়নসহ অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রম শেষ করেছে। পার্কটি টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে ৮ কিলোমিটার ও কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে ২ ঘণ্টার দূরত্বের মধ্যে। আর ঢাকা থেকে দূরত্ব ৪৬৮ কিলোমিটার। এটি পাহাড় ও সমুদ্রসৈকত নিয়ে বহুমুখী ও বৈচিত্র্যপূর্ণ চমৎকার একটি অঞ্চল। যদিও মিয়ানমার আপত্তির কারনে নাফ ট্যুরিজম পার্কেও কাজ বন্ধ রয়েছে।