কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংকরোড স্টেশন সংলগ্ন সরকারি ড্রেন জবর দখল করে উঠছে বহুতল ভবন। এতে ড্রেনে পানি চলাচল বাধাগস্ত হয়ে সামনের বর্ষা মৌসুমে পুরো এলাকায় মারাত্মক জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ,’ব্যবসায়ী নাজির হোসেন, আবু বক্কর ও তাদের সহযোগী সৈয়দুর রহমান অবৈধভাবে জমি জবর দখল করে ও সরকারি ড্রেন ব্লক করে গড়ে তুলছে বহুতল ভবন। পানি চলাচলের একমাত্র ড্রেনের তথ্য গোপন করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে অনুমোদন। যদিও জমিটিতে সরেজমিন গেলে দেখা যাবে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে চলমান ড্রেনের উপর। নির্মাণ কাজ এখনি বন্ধ করা না হলে জবর দখলকারী চক্র আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। পাশাপাশি আগামী বর্ষায় চরম জলাবদ্ধতায় ভুগবে স্থানীয় বাসিন্দা, টেকনাফ সড়ক ও চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে চলাচলরত গণ পরিবহণসহ চরম ভোগান্তিতে পড়বে। এটি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান স্থানীয়রা।
এছাড়া, প্রতিদিন ১০-১৫ জন শ্রমিক দিয়ে দিনে-রাতে স্থাপনা নির্মাণের কাজ করেছে। একপ্রকার গায়ের জোরে তারা অবৈধভাবে ওই স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে স্থাপনা নির্মাণের কারণে ব্যাহত হচ্ছে পানি চলাচল।
স্থানীয়রা জানান, ভবন নির্মাণের ফলে পানি চলাচলের রাস্তা না রাখায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। পানি ঢুকে যাবে বসতভিটায়। এতে বাড়ছে মশা মাছির উপদ্রব। বিষয়টি নিয়ে আমরা তাদের অবহিত করেও কোন কাজ হয়নি।
জমির মালিকের পক্ষে আব্দুল করিম সিকদার বলেন, ‘আমার স্ত্রীর খতিজা বেগমের ক্রয়কৃত ১২ শতক জমি রয়েছে। যার বিএস খতিয়ান নম্বার ১১৬২১ প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু নাজির হোসেন, আবু বক্কর ও তাদের সহযোগী সৈয়দুর রহমান অবৈধভাবে জমি জবর দখল করে আমার স্ত্রীর ক্রয়কৃত জমির উপর অবৈধ ভাবে ভবন তৈরি করছেন। একই সঙ্গে তারা সরকারি ড্রেনও দখল করে নিয়ে ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছে। এই জমি নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জবর দখল করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
এলাকাবাসি জানান, মুহুরী পাড়া ও লিংকরোড বাজারের সমস্ত পানি চলাচলের ড্রেন বন্ধ করে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। বৃষ্টি হলে এখানে ৮ থেকে ১০ ফুট পানি উঠে। পানি চলাচল করতে না পারায় বৃষ্টি হলে পুরো এলাকার মানুষ সীমাহীন কষ্টে পড়ে যায়। বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী বলেন, ‘এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। সদরের এসিল্যান্ডকে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।