প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ আসার পথে বঙ্গোপসাগরে ৮ জন যাত্রী স্পীডবোট ডুবির ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে।
নিহত দুই নারী সম্পর্কে মা ও মেয়ে,
তারা হলেন – সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা মরিয়ম আক্তার ও তার কন্যা শিশু মাহিমা আক্তার।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে অদূরে গোলারচর সংলগ্ন সাগরে এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় যাত্রীদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
পরে দুই জনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং চিকিৎসাধীন বাকি ৬ জনের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
বিষয়টি ঢাকাপোস্ট’কে নিশ্চিত করে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জায়েদ নূর বলেন, ‘ দূর্ঘটনায় পতিত স্পীডবোটের দুই যাত্রী মা ও মেয়ে মারা গেছেন, অন্য যাত্রীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মরদেহ থানায় আনা হয়েছে, কিভাবে দূর্ঘটনা ঘটল খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, তারা ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশে টেকনাফ যাচ্ছিলেন।
শীতের সময়ে সাগরের পরিবেশ শীতল থাকার পরও কিভাবে এই স্পীডবোট উলটে প্রাণহানি হলো? এমন প্রশ্ন উঠছে স্থানীয়দের মাঝে।
এদিকে সোমবার সকাল থেকে কক্সবাজার থেকে চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।
প্রথমদিনে ১১৭৪ জন পর্যটক ৩টি জাহাজ করে সেন্টমার্টিন গিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আগামী দুই মাস রাত্রিযাপনের জন্য পর্যটকদের কাছে সেন্টমার্টিন উন্মুক্ত থাকবে।
তবে ১২ টি সরকারি নির্দেশনা মেনে দ্বীপটি ভ্রমণ করতে হবে এবং এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে শুরু থেকে জেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ সহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিত তৎপরতা দেখা গেছে।
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : 











