বাংলা বর্ষপঞ্জির হিসেবে আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ। ঝরো ঝরো মুখর বাদলের দিনগুলো শুরুর আনুষ্ঠানিক পদযাত্রা বলা যায় কি! রবী ঠাকুরের ভাষায়, ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে/ আসে বৃষ্টির সুবাস বাতাস বেয়ে।’ এ বছর বৃষ্টির সুবাস অবশ্য শুরু হয়েছে আগে থেকেই। প্রকৃতিতে ভারী বর্ষণের দেখাও মিলেছে তীব্র দহনের বৈশাখ-জ্যেষ্ঠে!
তারপরও ঋতুচক্রের হিসাবে আজ বর্ষাকাল শুরু। আষাঢ়–শ্রাবণ এই দুই মাস নিয়ে আমাদের চিরায়ত বর্ষাকাল। প্রকৃতিপ্রেমীদের কথায়, বসন্ত যদি হয় ঋতুরাজ, বর্ষা তবে প্রকৃতির রাণী। তাই বর্ষা নিয়ে এসব মানুষের হৃদয়ে তৈরি হয় কাব্যের কতকথা!
তবে বর্ষার প্রথম দিনে বৃষ্টি ঝরার সম্ভাবনা না থাকলেও মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান।
আবহাওয়াবিদ হান্নান বলেন, “সোমবার থেকে আগামী ৭২ ঘন্টা বৃষ্টিপাত হতে পারে শহরে। বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বেড়ে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণও হতে পারে বলে জানান তিনি।
মি. হান্নান আরও বলেন, জুন থেকে সেপ্টেম্বর- এই চার মাস বর্ষা মৌসুম হলেও বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে আষাঢ়-শ্রাবণকে বর্ষা ঋতু বলা হয়।
আবহাওয়াবিদ হান্নান জানান, টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে। এসময় দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে কখনো কখনো হতে পারে বজ্রপাত।
বজ্রপাতে কৃষকদের ঝুঁকির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কৃষকরা খোলা মাঠে কাজ করে, যেখানে বজ্রের সক্রিয়তা থাকে। সেক্ষেত্রে খোলামাঠে কোনো মানব বা গাছের উপর আছড়ে পড়ে বজ্র। বজ্রধ্বনি শুনলেই ঘরে যেতে হবে, এছাড়া আর কোনো উপায় নাই।