ঈদ’কে সামনে রেখে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় বেড়েছে চোরাকারবারিদের তৎপরতা।
ভোজ্যতেল, চিনি,সেমাই,চাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারের ওপারে পাঠানো হচ্ছে।
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী,থাইংখালী, পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম,তুমব্রু,বাইশফাঁড়ি সহ সীমান্ত সংলগ্ন কমপক্ষে ১০টি পয়েন্টে অবৈধ চোরাকারবারে জড়িত সংঘবদ্ধ একটি চক্র।
প্রতিবেদকের হাতে আসা ভিডিও ও পাচারের প্রত্যক্ষদর্শীদের স্বাক্ষ্য সহ নানা তথ্য উপাত্তে ‘চোরা বক্কর’ সিন্ডিকেটের নাম উঠে এসেছে।
বালুখালী কাস্টমস-ঘুমধুম সীমান্ত কেন্দ্রিক এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা ঘুমধুম ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের বেতবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত হোছেন আহমদের পুত্র আবু বক্কর প্রকাশ চোরা বক্কর।
গত বছরের ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ৭ হাজার ৫০০ টি ইয়াবা ও ৪ সহযোগী সহ উখিয়ার মরিচ্যা’স্থ চেকপোস্টে বক্কর’কে আটক করে বিজিবি।
কারগার থেকে ২ মাস পর মুক্তি পেয়েও চরিত্র বদলেনি চোরা বক্করের, কালো টাকার প্রভাবে দুই অন্যতম সহযোগী আপন মামাতো ভাই আবুল হোসাইন ও বশির সহ তার নেতৃত্বে ১৫/১৬ জনের সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট এপার-ওপারে অব্যাহত রেখেছে চোরাকারবার।
সংরক্ষিত একটি ভিডিও’র দৃশ্যে দেখা যায়, কাঁটাতার পেরিয়ে ওপারের রাখাইনে চোরাকারবারিদের সাথে মালামাল আদান-প্রদানের সময় জলপাই রঙের শার্ট পরিহিত বক্করের কথোপকথন।
আরেকটি ভিডিওর তথ্য বলছে, ওপার থেকে গরু এনে সেগুলো অনত্র নিজেই নিয়ে যাচ্ছেন বক্কর।
আর কিছুদিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর,গোপনে ধারণ করা সাম্প্রতিক একটি ভিডিওতে দেখা যায় রাখাইনে পণ্যসংকটের সুযোগে অসংখ্য বস্তায় বিভিন্ন নিত্যপণ্য পাঠাচ্ছে বক্করের সিন্ডিকেট।
ঐ ভিডিওর সূত্র বলছে, বক্কর তার অন্যতম সহযোগী সুলতানকে সাথে নিয়ে ঈদ কে কেন্দ্র করে রাখাইনে পাঠাতে কোটি টাকার নিত্যপণ্য সংগ্রহ করে রেখেছেন।
ওপার থেকে ইয়াবা আনার তথ্য অস্বীকার করলেও বক্কর নিজেকে গরু ব্যবসায়ী পরিচয় দেন। যথেষ্ট প্রমাণ থাকা স্বত্ত্বেও ” আমি চোরাকারবারি না এসব ষড়যন্ত্র, আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।” বলে তড়িঘড়ি করে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন করে দেন বক্কর, এরপর চেষ্টা করেও তার অন্য কোনো বক্তব্য মিলেনি।
সীমান্তে চোরাকারবার ঠেকাতে কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।