ঢাকা ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক খালেদা জিয়ার স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি চেয়ার বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক খালেদার সেবাসঙ্গী ফাতেমা খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, একদিনের সাধারণ ছুটি

আরাকান আর্মির বন্দি থেকে মুক্তিপণে বাড়ি ফিরলো রোহিঙ্গাসহ ৬ জেলে

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি ৪ রোহিঙ্গা ও  ২ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেন। আটকের ২০ দিন পরে প্রতি জন ২২ হাজার টাকা করে আরাকান আর্মিকে মুক্তিপণ দিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন বলে জানা গেছে।

ফেরত আসা জেলেরা হলেন-টেকনাফের হ্নীলা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোচনী দুদু মিয়া ও তার ছেলে আব্বাস মিয়া। বাকি রোহিঙ্গাদের নাম পাওয়া যায়নি, তারা জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বলে জানা গেছে।

গতকাল শনিবার ( ১৪ ডিসেম্বর)  বিকালের দিকে টেকনাফের হ্নীলা মৌচনী নাফনদী পয়েন্ট দিয়ে তারা বাড়িতে ফেরত আসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলে দুদু মিয়ার ভাতিজা মো. রাসেল মিয়া।

তিনি বলেন,গত ২৩ নভেম্বর টেকনাফের হ্নীলা মোচনী পয়েন্টের ওপারে কাছাকাছি নাফনদীতে আমার চাচা ও চাচাতো ভাই মাছ ধরতে যায়। সেখান জাদিমুড়া ক্যাম্পের আরও ৪ রোহিঙ্গা মাছ ধরছিলো। পরে আরাকান আর্মির সদস্যরা  ৬ জনকে আটক করে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যান।
এ ঘটনার পরে তাদের ছাড়িয়ে আনার জন্য চেষ্টা করা হয়।

একপর্যায়ে রাখাইন গ্রামের রোহিঙ্গাদের এক  চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কথাবার্তা আদান-প্রদান করে মুক্তিপণ হিসাবে জনপ্রতি ২২ হাজার টাকা ৬ জনে ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা দিলে  আরাকান আর্মি হাতে বন্দি থেকে মুক্তি পেয়ে আজ শনিবার বিকালে তারা এপারে বাড়িতে ফিরে আসেন।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ আলী বলেন, নাফনদী থেকে মাছ ধরার সময় ৪ রোহিঙ্গা ও ২ বাংলাদেশি জেলেকে আরাকান আর্মি নাফনদী থেকে আটক করেছিলো।পরে জেলেদের পরিবারের সদস্যরা আরাকান আর্মির সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে আটক জেলেদের ২০ দিন পরে তাদের বন্দি থেকে ফেরত আনতে পেরেছেন।

এ বিষয়ে টেকনাফ থানার সাথে যোগাযোগ করা হলে এমন খবর পাননি বলে জানান তিনি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে

This will close in 6 seconds

আরাকান আর্মির বন্দি থেকে মুক্তিপণে বাড়ি ফিরলো রোহিঙ্গাসহ ৬ জেলে

আপডেট সময় : ০৭:০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি ৪ রোহিঙ্গা ও  ২ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেন। আটকের ২০ দিন পরে প্রতি জন ২২ হাজার টাকা করে আরাকান আর্মিকে মুক্তিপণ দিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন বলে জানা গেছে।

ফেরত আসা জেলেরা হলেন-টেকনাফের হ্নীলা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোচনী দুদু মিয়া ও তার ছেলে আব্বাস মিয়া। বাকি রোহিঙ্গাদের নাম পাওয়া যায়নি, তারা জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বলে জানা গেছে।

গতকাল শনিবার ( ১৪ ডিসেম্বর)  বিকালের দিকে টেকনাফের হ্নীলা মৌচনী নাফনদী পয়েন্ট দিয়ে তারা বাড়িতে ফেরত আসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলে দুদু মিয়ার ভাতিজা মো. রাসেল মিয়া।

তিনি বলেন,গত ২৩ নভেম্বর টেকনাফের হ্নীলা মোচনী পয়েন্টের ওপারে কাছাকাছি নাফনদীতে আমার চাচা ও চাচাতো ভাই মাছ ধরতে যায়। সেখান জাদিমুড়া ক্যাম্পের আরও ৪ রোহিঙ্গা মাছ ধরছিলো। পরে আরাকান আর্মির সদস্যরা  ৬ জনকে আটক করে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যান।
এ ঘটনার পরে তাদের ছাড়িয়ে আনার জন্য চেষ্টা করা হয়।

একপর্যায়ে রাখাইন গ্রামের রোহিঙ্গাদের এক  চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কথাবার্তা আদান-প্রদান করে মুক্তিপণ হিসাবে জনপ্রতি ২২ হাজার টাকা ৬ জনে ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা দিলে  আরাকান আর্মি হাতে বন্দি থেকে মুক্তি পেয়ে আজ শনিবার বিকালে তারা এপারে বাড়িতে ফিরে আসেন।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ আলী বলেন, নাফনদী থেকে মাছ ধরার সময় ৪ রোহিঙ্গা ও ২ বাংলাদেশি জেলেকে আরাকান আর্মি নাফনদী থেকে আটক করেছিলো।পরে জেলেদের পরিবারের সদস্যরা আরাকান আর্মির সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে আটক জেলেদের ২০ দিন পরে তাদের বন্দি থেকে ফেরত আনতে পেরেছেন।

এ বিষয়ে টেকনাফ থানার সাথে যোগাযোগ করা হলে এমন খবর পাননি বলে জানান তিনি।