বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল এবং জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারের ঢেউর আঘাতে আবারও কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের টেকনাফ এলাকার আড়াই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া ঘাট থেকে জিরো পয়েন্ট এলাকার মেরিন ড্রাইভে এমন ভাঙনের কথা জানিয়েছে সেখানকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
ভাঙ্গন প্রতিরোধে এর আগে দুই দফা জিও ব্যাগ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই জিও ব্যাগ ডিঙ্গিয়ে জোয়ারের ঢেউ আঘাত হানে সড়কে। যার কারনে আড়াই কিলোমিটার এলাকার অন্তত ১০ টি স্থানে সড়কের অংশ ভেঙে গেছে।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সেলিম জানান, সকালের পর স্থানীয়রা ভেঙে যাওয়া কয়েকটি স্থানের স্থিরচিত্র তাকে মুঠোফোনে পাঠান।
সেলিম বলেন, আমি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি উপজেলা নিবাহী কমকর্তা ইউএনওকে জানিয়েছি।
টেকনাফ উপজেলা নিবাহী কমকর্তা শেখ এহসান উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিক নোমান অরূপ জানান, মেরিন ড্রাইভের যেসব অংশে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে তার নিকটবর্তী এলাকায় এক-দেড় হাজার একরের চেয়ে বেশি জমিতে চাষাবাদ করা হচ্ছে। পানি ঢুকে পড়লে ওইসব জমি বা চাষাবাদের ক্ষতি হওয়ার আশংকা দেখছেন স্থানীয়রা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। অমাবস্যা ও নিম্নচাপের কারণে কক্সবাজারসহ উপকূলীয় এলঅকায় ১-৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।
আব্দুল হান্নান বলেন, স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে এলাকা সমুদ্র জোয়ারের পানি ১-৩ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ঢেউর আকারও বেড়ে শক্তিশালী হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে মেরিন ড্রাইভের এই অংশটিতে ভাঙন দেখা দিয়েছিল। ওই স্থানটি সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর লম্বা জিও ব্যাগের মাটি ফেলার মাধ্যমে এটি রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছিল।