ঢাকা ১০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইজিন বিকল হয়ে মাঝ সাগরে ভাসছিলো ৩ দিন:ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে উদ্ধার নৌবাহিনীর সাংবাদিক আতিককে অপহরণ ও হামলার ঘটনায় ‘আদালতে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা ৬ বছর পর পেকুয়াসহ ৫ উপজেলায় “শহীদ জিয়া মেধা বৃত্তি” পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সেন্টমার্টিনে অবৈধ ট্রলার ও থাই জালসহ ১৯ জেলে আটক ইউনুস হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে উত্তাল টেকনাফ : থানা ঘেরাও চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে পাকিস্তানী নৌবাহিনীর জাহাজ পিএনএস সাইফ সাড়ে ৫ কিলোমিটারের কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিলো ১০ সাঁতারু চকরিয়ায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্য গ্রেফতার: ২ টি মাইক্রোবাস উদ্ধার বিশ্বকাপে খেলার ঘোষণা তাহলে দিয়েই দিলেন মেসি! তুলার গোডাউনে ভয়াবহ আ’গুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কক্সবাজার জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের বার্ষিক বনভোজন ও নবীনবরণ অনুষ্ঠিত ‎ নাইক্ষ্যংছড়ির জারুলিয়াছড়িতে ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা যুবক আটক বিডি ক্লিন উখিয়ার পরিচ্ছন্নতা অভিযান: ২ টন বর্জ্য অপসারণ রামুতে ব্রি ধান ১০৩ জাতের ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস প্রাথমিকে সঙ্গীত শিক্ষক পুনর্বহালের দাবিতে কক্সবাজারে বিক্ষোভ

শীতে হাঁপানি রোগীদের সতর্কতা

শীত এবার একটু আগেভাগেই পড়তে শুরু করেছে। সকালে কুয়াশা ও শিশির। তার ওপর রয়েছে পাতাঝরা দিনে শুষ্কতা বেড়ে যাওয়ার সমস্যা।
আর এ শুষ্কতা আর ধুলাবালু বেড়ে যাওয়ায় বিশেষ করে রাজধানীতে বায়ুদূষণের মাত্রা সম্প্রতি বেশি দেখা যাচ্ছে। যাঁদের অ্যাজমা বা হাঁপানি আছে, তাঁদের জন্য সময়টা কষ্টের। শীতের শুরুতেই তাঁদের সতর্ক হতে হবে, দরকার কিছুটা বাড়তি সচেতনতা।

আমরা জানি, হাঁপানি কখনো সেরে যায় না। কিন্তু চেষ্টা করলে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। জেনে রাখা ভালো কোন কোন বিষয় হাঁপানি বাড়িয়ে দেয় এবং এর প্রতিরোধে কী কী করণীয়।
যেসব বিষয় থেকে অ্যালার্জি হয়, সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। যেমন ধুলা ও বায়ূদুষণ থেকে বাঁচতে মাস্ক পরুন। ধুলাবালু ঝাড়ার সময় দূরে থাকুন।
শিশুদের হাঁপানি আছে কি না, তা জানতে নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে। ফুসফুসের স্পাইরোমেটরি পরীক্ষা করাতে হবে।
অ্যালার্জি পরীক্ষা করানো যায়।

পশুর লোমে বা পাখির পালকে অ্যালার্জি থাকলে পশুপাখি থেকে দূরে থাকতে হবে।
ঠান্ডা লাগানো যাবে না। আবহাওয়া অনুযায়ী গরম পোশাক পরুন।
হাঁপানি রোগীদের এ সময় ব্যাগে ইনহেলার রাখতে হবে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য।
ঘরোয়াভাবে অল্প পরিমাণ শর্ষের তেল হাতের তালুতে নিয়ে বুকে মালিশ করা যেতে পারে। অনেক সময় বাষ্পস্নানও কাজে দেয়।

শীতের শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখা ভালো। তিনি এ সময় ওষুধের তারতম্য করতে পারেন।
হাঁপানি থেকে মুক্ত থাকতে এ সময় একাধিক ধরনের ওষুধ ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে। ওষুধ চলা অবস্থায়ও রোগের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। হাঁপানির সর্বোত্তম চিকিৎসা চলা অবস্থায় যদি রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়, সেটাকে ফ্রাটাল অ্যাজমা বা সিভিয়ার অ্যাকিউট অ্যাজমা বলা হয়। তখন রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। কারণ, তখন রোগীর নেবুলাইজেশন, স্টেরয়েড ইনজেকশন, অক্সিজেন, ক্ষেত্রবিশেষে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। যাঁরা সালবিউটামল সহ্য করতে পারেন না, নেবুলাইজেশনের সময় বিকল্প হিসেবে তাঁদের ফ্রুসেমাইড ইনজেকশন দেওয়া হয়।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইজিন বিকল হয়ে মাঝ সাগরে ভাসছিলো ৩ দিন:ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে উদ্ধার নৌবাহিনীর

This will close in 6 seconds

শীতে হাঁপানি রোগীদের সতর্কতা

আপডেট সময় : ০৮:১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

শীত এবার একটু আগেভাগেই পড়তে শুরু করেছে। সকালে কুয়াশা ও শিশির। তার ওপর রয়েছে পাতাঝরা দিনে শুষ্কতা বেড়ে যাওয়ার সমস্যা।
আর এ শুষ্কতা আর ধুলাবালু বেড়ে যাওয়ায় বিশেষ করে রাজধানীতে বায়ুদূষণের মাত্রা সম্প্রতি বেশি দেখা যাচ্ছে। যাঁদের অ্যাজমা বা হাঁপানি আছে, তাঁদের জন্য সময়টা কষ্টের। শীতের শুরুতেই তাঁদের সতর্ক হতে হবে, দরকার কিছুটা বাড়তি সচেতনতা।

আমরা জানি, হাঁপানি কখনো সেরে যায় না। কিন্তু চেষ্টা করলে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। জেনে রাখা ভালো কোন কোন বিষয় হাঁপানি বাড়িয়ে দেয় এবং এর প্রতিরোধে কী কী করণীয়।
যেসব বিষয় থেকে অ্যালার্জি হয়, সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। যেমন ধুলা ও বায়ূদুষণ থেকে বাঁচতে মাস্ক পরুন। ধুলাবালু ঝাড়ার সময় দূরে থাকুন।
শিশুদের হাঁপানি আছে কি না, তা জানতে নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে। ফুসফুসের স্পাইরোমেটরি পরীক্ষা করাতে হবে।
অ্যালার্জি পরীক্ষা করানো যায়।

পশুর লোমে বা পাখির পালকে অ্যালার্জি থাকলে পশুপাখি থেকে দূরে থাকতে হবে।
ঠান্ডা লাগানো যাবে না। আবহাওয়া অনুযায়ী গরম পোশাক পরুন।
হাঁপানি রোগীদের এ সময় ব্যাগে ইনহেলার রাখতে হবে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য।
ঘরোয়াভাবে অল্প পরিমাণ শর্ষের তেল হাতের তালুতে নিয়ে বুকে মালিশ করা যেতে পারে। অনেক সময় বাষ্পস্নানও কাজে দেয়।

শীতের শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখা ভালো। তিনি এ সময় ওষুধের তারতম্য করতে পারেন।
হাঁপানি থেকে মুক্ত থাকতে এ সময় একাধিক ধরনের ওষুধ ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে। ওষুধ চলা অবস্থায়ও রোগের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। হাঁপানির সর্বোত্তম চিকিৎসা চলা অবস্থায় যদি রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়, সেটাকে ফ্রাটাল অ্যাজমা বা সিভিয়ার অ্যাকিউট অ্যাজমা বলা হয়। তখন রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। কারণ, তখন রোগীর নেবুলাইজেশন, স্টেরয়েড ইনজেকশন, অক্সিজেন, ক্ষেত্রবিশেষে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। যাঁরা সালবিউটামল সহ্য করতে পারেন না, নেবুলাইজেশনের সময় বিকল্প হিসেবে তাঁদের ফ্রুসেমাইড ইনজেকশন দেওয়া হয়।