মিয়ানমার সীমান্তবর্তী হওয়ায় উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী গ্রামে সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে ইয়াবা কারবারিদের দৌরাত্ম্য, ওপার থেকে প্রতিনিয়ত ঢুকছে মাদকের চালান।
শনিবার (৮ মার্চ) রাতে , বালুখালীর পানবাজার এলাকা থেকে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এসময় ইয়াবা গুলো ফেলে দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তি পালিয়ে যায় বলে জানান কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফারুক হোসেন খান। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিজিবির অভিযান চলাকালে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে দেখা যায় স্থানীয় এক যুবককে।
প্রতিবেদকের হাতে আসা একটি ভিডিওর সূত্র বলছে, ঐ যুবক বালুখালী ২নং ওয়ার্ডের জমিদার পাড়া এলাকার মীর কাশেমের পূত্র মোহাম্মদ দিদার।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে দিদার ইয়াবা পাচারে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে দিদার বলেন, ” এসব ভিত্তিহীন অপপ্রচার, আমি রেডক্রিসেন্টে চাকরি করি। স্থানীয় এক ব্যক্তি আমাকে হুমকি দিয়েছে থানায় এব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছি।”
দিদারের বক্তব্য নেওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে প্রতিবেদকের মুঠোফোনে একটি কল আসে। এসময় পালংখালী ইউনিয়ন যুবদলের “যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক” পরিচয়ে জৈনক বেলাল নামে এক ব্যক্তি দিদারকে কল দেওয়ার কারণ জানতে চান।
‘রাজনৈতিক পরিচয়’ ব্যবহার করে প্রতিবেদন তৈরিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করা এই বেলাল বালুখালীর ২নং ওয়ার্ডের মৃত সোলাইমানের পূত্র এবং দিদারের আপন মামা। বেলালের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পালংখালী ইউনিয়ন যুবদলের বর্তমান কমিটিতে ‘বেলাল’ নামে কেউ নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এম সাইফুর রহমান সিকদার।
তিনি বলেন, ” দলের নাম ব্যবহার করে অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার সুযোগ নেই, যদি কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ”
ইয়াবা কারবারিরা দেশ ও জনগণের শত্রু – উল্লেখ করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসাইন বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সবসময় পরিস্কার কোনো অবস্থাতেই মাদক কারবারে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না।