ঢাকা ১১:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সিবিআইইউ ল এ্যালমনাই এসোসিয়েশন গঠিত কক্সবাজার কলেজে বেগম জিয়াকে নিয়ে ‘মিমিক্রি’ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন মহেশখালীর সলিমুল্লাহ খানসহ ১০ জন কক্সবাজার শহরে নিম্নমানের সড়ক বাতি: সন্ধ্যা হলে জ্বলেনা মহেশখালীতে দিনে বালি পাচারের অভিযোগ: রাতে খননযন্ত্রসহ ট্রাক্টর পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা পালংখালী ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি অনুমোদন ১৬ বছর পর কারামুক্ত বিডিআরের ১৬৮ সদস্য এবার ৫ স্কুলের ১৫০ শিক্ষার্থী পাচ্ছে সুন্দর হস্তাক্ষর পুরস্কার কুতুবদিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা বিজিবি টেকনাফ থেকে সাড়ে ৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করলো যেভাবে! সেন্ট মার্টিনে কুকুর নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ বাঁচতে চায় জটিল রোগে আক্রান্ত আজিজ, সাহায্যের প্রয়োজন কক্সবাজার সরকারি কলেজে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পিঠা উৎসব এবং উদ্ভাবনী ও উদ্যোক্তা মেলা শুরু ‘স্বেচ্ছায় পাচার’ হতে গিয়ে ফিরলেন লাশ হয়ে টেকনাফে গড়ে উঠেছে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপ

বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের ২৭০ কিমি এলাকা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি

  • টিটিএন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 674

বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের ২৭০ কিমি এলাকা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি

বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের ২৭০ কিলোমিটার এলাকা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মংডু শহর দখলের দাবি করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। ফলে সীমান্তের প্রায় পৌনে তিনশ কিলোমিটার এলাকার পুরোটাই আরাকান আর্মির দখলে চলে গেছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এ খবর জানিয়েছে।

সশস্ত্র এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা কয়েক মাসের লড়াইয়ের পর রবিবার সকালে মংডু শহরের বাইরে অবস্থিত জান্তার সর্বশেষ সীমান্ত ঘাঁটি,বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নং ৫ দখল করেছে।

সোমবার রাখাইন মিডিয়া জানায়, মংডু যুদ্ধের পর সামরিক অপারেশন কমান্ড ১৫-এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন টুন এবং প্রায় ৮০ জন রোহিঙ্গা বিদ্রোহীসহ জান্তা বাহিনীর সদস্যদের আটক করেছে আরাকান আর্মি।

মে মাসের শেষ দিকে মংডু আক্রমণ শুরু করেছিল আরাকান আর্মি। পুরো শহর নিজেদের দখলে নিতে তাদের ছয় মাস সময় লেগেছে।

আরাকান আর্মির দাবি, তারা মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী তিনটি শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এগুলো হলো-রাখাইন রাজ্যের মংডু ও বুথিডং এবং ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন চিন রাজ্যের পালেতোয়া।

রাখাইনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী একজন সামরিক বিশ্লেষক বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য পুনরুদ্ধার রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী মানুষের দুর্দশা লাঘব করতে সহায়ক হবে।

জাতিসংঘ গত মাসে জানিয়েছিল যে রাখাইনের ২০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হতে পারে।

জান্তা সরকার রাজ্যের সড়ক এবং জলপথ অবরোধ করেছে। ফলে খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধসহ আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্যের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

বিশ্লেষক আরও বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে জটিল রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হলে বাংলাদেশের সরকারকে আরাকান আর্মির সঙ্গে অর্থবহ আলোচনায় বসতে হবে। কারণ তারা এখন দক্ষিণ রাখাইনের গওয়া, তাউংগুপ এবং আন শহরের দখল নেওয়ার জন্য লড়াই করছে। এরই মধ্যে আন শহরের বেশিরভাগ অংশ এবং ৩০টিরও বেশি জান্তা ঘাঁটি ও অবস্থান দখল করেছে তারা।

 

ট্যাগ :

সিবিআইইউ ল এ্যালমনাই এসোসিয়েশন গঠিত

This will close in 6 seconds

বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের ২৭০ কিমি এলাকা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের ২৭০ কিলোমিটার এলাকা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মংডু শহর দখলের দাবি করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। ফলে সীমান্তের প্রায় পৌনে তিনশ কিলোমিটার এলাকার পুরোটাই আরাকান আর্মির দখলে চলে গেছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এ খবর জানিয়েছে।

সশস্ত্র এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা কয়েক মাসের লড়াইয়ের পর রবিবার সকালে মংডু শহরের বাইরে অবস্থিত জান্তার সর্বশেষ সীমান্ত ঘাঁটি,বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নং ৫ দখল করেছে।

সোমবার রাখাইন মিডিয়া জানায়, মংডু যুদ্ধের পর সামরিক অপারেশন কমান্ড ১৫-এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন টুন এবং প্রায় ৮০ জন রোহিঙ্গা বিদ্রোহীসহ জান্তা বাহিনীর সদস্যদের আটক করেছে আরাকান আর্মি।

মে মাসের শেষ দিকে মংডু আক্রমণ শুরু করেছিল আরাকান আর্মি। পুরো শহর নিজেদের দখলে নিতে তাদের ছয় মাস সময় লেগেছে।

আরাকান আর্মির দাবি, তারা মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী তিনটি শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এগুলো হলো-রাখাইন রাজ্যের মংডু ও বুথিডং এবং ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন চিন রাজ্যের পালেতোয়া।

রাখাইনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী একজন সামরিক বিশ্লেষক বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য পুনরুদ্ধার রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী মানুষের দুর্দশা লাঘব করতে সহায়ক হবে।

জাতিসংঘ গত মাসে জানিয়েছিল যে রাখাইনের ২০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হতে পারে।

জান্তা সরকার রাজ্যের সড়ক এবং জলপথ অবরোধ করেছে। ফলে খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধসহ আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্যের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

বিশ্লেষক আরও বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে জটিল রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হলে বাংলাদেশের সরকারকে আরাকান আর্মির সঙ্গে অর্থবহ আলোচনায় বসতে হবে। কারণ তারা এখন দক্ষিণ রাখাইনের গওয়া, তাউংগুপ এবং আন শহরের দখল নেওয়ার জন্য লড়াই করছে। এরই মধ্যে আন শহরের বেশিরভাগ অংশ এবং ৩০টিরও বেশি জান্তা ঘাঁটি ও অবস্থান দখল করেছে তারা।