ঢাকা ০১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জীবন বাঁচালো মৌমাছির কামড়! খুটাখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠিত সৈয়দ আহবায়ক আক্তার সদস্য সচিব খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ: প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইউএনও ক্যথোয়াইপ্রু মারমা বৃষ্টি থাকছে জুন জুড়ে আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস আজ রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে: জাতিসংঘে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শনিবার ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে কক্সবাজার শহর রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে: জাতিসংঘে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মহেশখালী উপজেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত কক্সবাজারে সম্পন্ন হয়েছে ‘জেন্ডার এটিকেট’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অস্ত্রসহ গ্রেফতার মুবিনুল যুবদলের কেউ নয় দাবী মহেশখালীতে যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ আটক এক ২৪ ঘন্টায় ৬০ জন ‘শয়তান শিকার’ কক্সবাজার পুলিশের! কক্সবাজারে জাতীয় ফলমেলা ২০২৫ এর উদ্বোধন আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’
টেকনাফে বিজিবি ও স্থানীয়দের সংঘর্ষ

বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করা নিয়ে স্থানীয়দের সাথে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবির সংঘর্ষ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। স্থানীয় ৭ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে রাত ১০ টার দিকে।

সোমবার (৯জুন) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা মৌলভীবাজার এলাকায় জাহাঙ্গীর আলম (৪০) নামক এক ব্যক্তিকে আটক করতে গেলে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আটকের পর জাহাঙ্গীরকে ছাড়িয়ে নিতে বিক্ষোভ করলে স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে বিজিবি’র। এতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও ইটপাটকেল ছুঁড়ে স্থানীয়রা। এর বিপরীতে গুলি ছুঁড়ে বিজিবি।

এতে ১০-১৫ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য দিয়েছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আসা আহত ৭ জনের স্বজনরা।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা আহতরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজারের ০২ নং ওয়ার্ডের সিরাজ মিয়ার পুত্র রফিক আলম(২৪), ০১ নং ওয়ার্ডের নুরুল আলমের পুত্র মফিজ আলম(২৭), একই ওয়ার্ডের মৃত সৈয়দ আহমদের পুত্র আজিজুর রহমান(৫১), নূর মোহাম্মদের পুত্র নূর মোস্তাফা(১৮), আব্দুল্লাহর পুত্র রায়হান(১৮) এবং মোঃ আলমের পুত্র ফয়সাল(১৪)।

তবে ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “গত ২৮ মে টেকনাফের হ্নীলা বিওপি’র টহলদল একটি বিশেষ অভিযানে অংশ নেয়। সে সময় মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম এর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন ব্যক্তি বিজিবির অভিযানে বাধা প্রদান করে এবং অবৈধ জনতা জমায়েত করে দেশীয় অস্ত্রসহ বিজিবি’র ওপর হামলা চালায়।

এই ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করার কথাও বলা হয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে। ওই মামলা নম্বর- ৬৮/৩৬১।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এরই প্রেক্ষিতে সোমবার  বিকাল ৪টার পর বিজিবির একটি টহলদল জাহাঙ্গীর আলমকে তার নিজ এলাকা হ্নীলা ইউনিয়নের নাইক্যংখালী থেকে আটক করে। জাহাঙ্গীরের অনুসারীরা জড়ো হয়ে রাস্তা ব্লক করে। পরে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।”

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্থানীয়দের সাথে বা জাহাঙ্গীরের ‘কথিত অনুসারীদের সাথে’ সংঘর্ষ বাঁধার কথা উল্লেখ নেই।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, মাছ ধরার সময় জাহাঙ্গীর ও কয়েকজন জেলের সাথে বিজিবির বাড়াবাড়ি ও হাতাহাতি হয়।

স্থানীয়দের দাবি জাহাঙ্গীর একজন জেলে। তিনি কোন ইয়াবা কারবারের সাথে জড়িত নয়।

টেকনাফ মৌলভীবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. মোসা বলেন, জাহাঙ্গীরকে ফাঁসানো হয়েছে। সে নিরীহ একজন জেলে। তাকে আটক করাই আমরা প্রতিবাদ করি। এতে আমাদের ওপর গুলি চলানো হয়েছে।

আরেক বাসিন্দা কফিল উদ্দিন বলেন, বিজিবি আমাদের ওপর অন্যায় ভাবেই গুলি চালিয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধি নিয়ে বসে সমাধান করতে পারতো, কিন্তু উল্টো আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, এক জেলেকে আটক নিয়ে স্থানীয় ও বিজিবির সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ৭জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

টেকনাফে বিজিবি ও স্থানীয়দের সংঘর্ষ

বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ

আপডেট সময় : ১২:১১:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করা নিয়ে স্থানীয়দের সাথে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবির সংঘর্ষ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। স্থানীয় ৭ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে রাত ১০ টার দিকে।

সোমবার (৯জুন) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা মৌলভীবাজার এলাকায় জাহাঙ্গীর আলম (৪০) নামক এক ব্যক্তিকে আটক করতে গেলে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আটকের পর জাহাঙ্গীরকে ছাড়িয়ে নিতে বিক্ষোভ করলে স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে বিজিবি’র। এতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও ইটপাটকেল ছুঁড়ে স্থানীয়রা। এর বিপরীতে গুলি ছুঁড়ে বিজিবি।

এতে ১০-১৫ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য দিয়েছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আসা আহত ৭ জনের স্বজনরা।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা আহতরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজারের ০২ নং ওয়ার্ডের সিরাজ মিয়ার পুত্র রফিক আলম(২৪), ০১ নং ওয়ার্ডের নুরুল আলমের পুত্র মফিজ আলম(২৭), একই ওয়ার্ডের মৃত সৈয়দ আহমদের পুত্র আজিজুর রহমান(৫১), নূর মোহাম্মদের পুত্র নূর মোস্তাফা(১৮), আব্দুল্লাহর পুত্র রায়হান(১৮) এবং মোঃ আলমের পুত্র ফয়সাল(১৪)।

তবে ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “গত ২৮ মে টেকনাফের হ্নীলা বিওপি’র টহলদল একটি বিশেষ অভিযানে অংশ নেয়। সে সময় মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম এর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন ব্যক্তি বিজিবির অভিযানে বাধা প্রদান করে এবং অবৈধ জনতা জমায়েত করে দেশীয় অস্ত্রসহ বিজিবি’র ওপর হামলা চালায়।

এই ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করার কথাও বলা হয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে। ওই মামলা নম্বর- ৬৮/৩৬১।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এরই প্রেক্ষিতে সোমবার  বিকাল ৪টার পর বিজিবির একটি টহলদল জাহাঙ্গীর আলমকে তার নিজ এলাকা হ্নীলা ইউনিয়নের নাইক্যংখালী থেকে আটক করে। জাহাঙ্গীরের অনুসারীরা জড়ো হয়ে রাস্তা ব্লক করে। পরে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।”

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্থানীয়দের সাথে বা জাহাঙ্গীরের ‘কথিত অনুসারীদের সাথে’ সংঘর্ষ বাঁধার কথা উল্লেখ নেই।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, মাছ ধরার সময় জাহাঙ্গীর ও কয়েকজন জেলের সাথে বিজিবির বাড়াবাড়ি ও হাতাহাতি হয়।

স্থানীয়দের দাবি জাহাঙ্গীর একজন জেলে। তিনি কোন ইয়াবা কারবারের সাথে জড়িত নয়।

টেকনাফ মৌলভীবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. মোসা বলেন, জাহাঙ্গীরকে ফাঁসানো হয়েছে। সে নিরীহ একজন জেলে। তাকে আটক করাই আমরা প্রতিবাদ করি। এতে আমাদের ওপর গুলি চলানো হয়েছে।

আরেক বাসিন্দা কফিল উদ্দিন বলেন, বিজিবি আমাদের ওপর অন্যায় ভাবেই গুলি চালিয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধি নিয়ে বসে সমাধান করতে পারতো, কিন্তু উল্টো আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, এক জেলেকে আটক নিয়ে স্থানীয় ও বিজিবির সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ৭জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।