ঢাকা ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মহেশখালীতে ৬ সন্ত্রাসী আটক: বিপুল পরিমান অস্ত্র উদ্ধার দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে সভাপতি- মোর্তজা, সা: সম্পাদক- মো. এমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক- রানা “শেখ হাসিনার প্রিয় ছিলো আমলারা” “বিএনপির চেয়ে বড় ‘কিংস পার্টি’ আর নাই” ইনানীতে অবকাশযাপনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল টেকনাফে অপহৃত ১৫ জন উদ্ধার: গ্রেপ্তার ২ সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরনে একজনের পা বিচ্ছিন্ন: দুজন গুরুত্বর আহত লন্ডনে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন খালেদা জিয়া কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কম্পন অনুভূত ঢাবি’র আইবিএ তে প্রথম কক্সবাজারের রায়ান কক্সবাজার কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবীতে টেকনাফে বিএনপির মিছিল সিবিআইইউ ল এ্যালমনাই এসোসিয়েশন গঠিত কক্সবাজার কলেজে বেগম জিয়াকে নিয়ে ‘মিমিক্রি’ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন মহেশখালীর সলিমুল্লাহ খানসহ ১০ জন

কক্সবাজারে কেউ মানছে না নিষেধাজ্ঞা, পটকার শব্দে কম্পিত সৈকত

  • নোমান অরুপ
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৪:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 259

ইংরেজি নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন এলাকায় চলছে পটকা ফোটানোর উৎসব।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে পুরো বিচ জুড়ে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো শুরু করে পর্যটকরা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। রাত ১২টা বাজতে না বাজতেই সৈকত জুড়ে বিরামহীন পটকার শব্দে যেন কম্পিত হয়ে ওঠে পরিবেশ।

সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা, লাবণী রাত ১১টা থেকেই আতশবাজি ও পটকার আওয়াজ শুরু হয়। ১২ বাজতেই বিকট শব্দে চারপাশ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

এসব এলাকায় নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উল্লাস শুরু করে। আতশবাজির ঝলকানিতে চারপাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। এসব দৃশ্য ফোনে ধারণ করেছিলেন অনেকে।

ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানো বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে দফায় দফায় নিষেধ করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। সারাদেশে উন্মুক্ত স্থান, পার্কে আতশবাজি, পটকা ফোটানো বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ থাকলেও সেগুলোর প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসনের কোনও তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। পুলিশের টহলও তেমন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। ফলে নির্বিচারে এলাকাগুলোতে পটকা ও আতশবাজি ফোটানো হচ্ছে।

এদিকে সাধারণ মানুষ এই অতিরিক্ত শব্দের কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিরা এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

পর্যটকরা জানান,  এ পর্যন্ত অনেকে আতশবাজি ও শ খানেক পটকার আওয়াজ পেয়েছি। স্থির হয়ে বসা যাচ্ছে না। ১২টা বাজলে এটা আরও বেড়েছে।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি আরও জোরদার করা উচিত ছিল।

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

কক্সবাজারে কেউ মানছে না নিষেধাজ্ঞা, পটকার শব্দে কম্পিত সৈকত

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

ইংরেজি নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন এলাকায় চলছে পটকা ফোটানোর উৎসব।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে পুরো বিচ জুড়ে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো শুরু করে পর্যটকরা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। রাত ১২টা বাজতে না বাজতেই সৈকত জুড়ে বিরামহীন পটকার শব্দে যেন কম্পিত হয়ে ওঠে পরিবেশ।

সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা, লাবণী রাত ১১টা থেকেই আতশবাজি ও পটকার আওয়াজ শুরু হয়। ১২ বাজতেই বিকট শব্দে চারপাশ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

এসব এলাকায় নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উল্লাস শুরু করে। আতশবাজির ঝলকানিতে চারপাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। এসব দৃশ্য ফোনে ধারণ করেছিলেন অনেকে।

ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানো বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে দফায় দফায় নিষেধ করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। সারাদেশে উন্মুক্ত স্থান, পার্কে আতশবাজি, পটকা ফোটানো বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ থাকলেও সেগুলোর প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসনের কোনও তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। পুলিশের টহলও তেমন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। ফলে নির্বিচারে এলাকাগুলোতে পটকা ও আতশবাজি ফোটানো হচ্ছে।

এদিকে সাধারণ মানুষ এই অতিরিক্ত শব্দের কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিরা এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

পর্যটকরা জানান,  এ পর্যন্ত অনেকে আতশবাজি ও শ খানেক পটকার আওয়াজ পেয়েছি। স্থির হয়ে বসা যাচ্ছে না। ১২টা বাজলে এটা আরও বেড়েছে।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি আরও জোরদার করা উচিত ছিল।