ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে: জাতিসংঘে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মহেশখালী উপজেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত কক্সবাজারে সম্পন্ন হয়েছে ‘জেন্ডার এটিকেট’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অস্ত্রসহ গ্রেফতার মুবিনুল যুবদলের কেউ নয় দাবী মহেশখালীতে যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ আটক এক ২৪ ঘন্টায় ৬০ জন ‘শয়তান শিকার’ কক্সবাজার পুলিশের! কক্সবাজারে জাতীয় ফলমেলা ২০২৫ এর উদ্বোধন আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’ সংসদ নির্বাচন থেকে উঠে যাচ্ছে পোস্টার : ইসি অপারেশন ডেভিল হান্ট: মহেশখালীতে আঃলীগের ৬ নেতাকর্মী আটক গুমের জন্য কারা দায়ী, শনাক্ত করেছে কমিশন আদালত অবমাননা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত শুনানি আজ বাংলাদেশে গ্যাস সরবরাহ ও বায়ুদূষণ মোকাবিলায় ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক বিক্ষুব্ধ সাগর: ট্রলার ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হচ্ছে জেলেরা পরিবেশের ক্ষতি করে কোনও উন্নয়ন নয়: প্রধান উপদেষ্টা

২৪ ঘন্টায় ৬০ জন ‘শয়তান শিকার’ কক্সবাজার পুলিশের!

গেলো ২৪ ঘন্টারও কম সময়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চালিয়ে ৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। বিভিন্ন থানা হঠাৎ সক্রিয় হয়ে তাদের গ্রেফতার করে।

অপারেশন ডেভিল হান্ট (Operation Devil Hunt) একটি বিশেষ অভিযান, দেশের আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে যা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করা হয়েছে। এর বাংলা অর্থ হলো- ‘শয়তান শিকারের অভিযান’।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো জসীম উদ্দিন জানান, যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই বিভিন্ন মামলায় ‘এজাহার নামীয়’ আসামী।

জেলার বিভিন্ন থানার ওসিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়ার ব্যক্তিরা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমীক লীগের নেতাকর্মী।

গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলমকে।

ওইদিন জাফরকে আদালতে তোলা ঘিরে চকরিয়ায় প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী নিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল করে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ। মূলত এরপর থেকে জেলা জুড়ে ফের শুরু হয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নিয়ে পুলিশের তৎপরতা।

চকরিয়ার মিছিল ঘিরেই কী পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন বলেন, “অনেকটা তাই। বিষয়টি হচ্ছে আওয়ামীলীগের কার্যক্রম সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ। এখন যদি তারা মিছিল করে এটা তো সরকারের আদেশ-নির্দেশনার উপেক্ষা। এগুলোর কারনে আইনশৃঙ্খলা অবনতির সুযোগ আছে।”

“জেলার আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে তাদের আইনের আওয়াতায় আনা হচ্ছে” – বলেন জসীম উদ্দীন।

এদিকে জেলার বিভিন্ন থানার ওসিদের দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এবারের অভিযানে আটক বেশিরভাগই আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের শীর্ষ নেতা।

এছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে কক্সবাজার আদালতে আনতে দেখা গেছে গ্রেফতার নেতাদের অনেককেই।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

২৪ ঘন্টায় ৬০ জন ‘শয়তান শিকার’ কক্সবাজার পুলিশের!

আপডেট সময় : ০৬:১৫:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

গেলো ২৪ ঘন্টারও কম সময়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চালিয়ে ৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। বিভিন্ন থানা হঠাৎ সক্রিয় হয়ে তাদের গ্রেফতার করে।

অপারেশন ডেভিল হান্ট (Operation Devil Hunt) একটি বিশেষ অভিযান, দেশের আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে যা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করা হয়েছে। এর বাংলা অর্থ হলো- ‘শয়তান শিকারের অভিযান’।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো জসীম উদ্দিন জানান, যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই বিভিন্ন মামলায় ‘এজাহার নামীয়’ আসামী।

জেলার বিভিন্ন থানার ওসিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়ার ব্যক্তিরা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমীক লীগের নেতাকর্মী।

গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলমকে।

ওইদিন জাফরকে আদালতে তোলা ঘিরে চকরিয়ায় প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী নিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল করে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ। মূলত এরপর থেকে জেলা জুড়ে ফের শুরু হয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নিয়ে পুলিশের তৎপরতা।

চকরিয়ার মিছিল ঘিরেই কী পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন বলেন, “অনেকটা তাই। বিষয়টি হচ্ছে আওয়ামীলীগের কার্যক্রম সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ। এখন যদি তারা মিছিল করে এটা তো সরকারের আদেশ-নির্দেশনার উপেক্ষা। এগুলোর কারনে আইনশৃঙ্খলা অবনতির সুযোগ আছে।”

“জেলার আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে তাদের আইনের আওয়াতায় আনা হচ্ছে” – বলেন জসীম উদ্দীন।

এদিকে জেলার বিভিন্ন থানার ওসিদের দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এবারের অভিযানে আটক বেশিরভাগই আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের শীর্ষ নেতা।

এছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে কক্সবাজার আদালতে আনতে দেখা গেছে গ্রেফতার নেতাদের অনেককেই।