ঢাকা ০৮:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার ২ আসনে এনসিপির প্রার্থী সুজা, ছাড়ের রাজনীতিতে সমঝোতার ইঙ্গিত! কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলায় ভারি বৃষ্টিপাত ও ভূমি ধ্বসের সম্ভাবনা রোহিঙ্গা নারীদের ৯৭ শতাংশই শিক্ষার বাইরে, বৈশ্বিক প্রতিনিধিদলের উদ্বেগ খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী দেবে না এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী চট্টগ্রামের ৬ আসনে বিএনপির নতুন মুখ প্রলোভনের ফাঁদে জিম্মি,উদ্ধার ২৫: আটক ২ সাগরে লঘুচাপ: কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ৩ নং সতর্ক সংকেত জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা কবে, জানালেন শফিকুর রহমান নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়াল বিসিবি, কে কত পাচ্ছেন আরপিও সংশোধন: জোটগতভাবে অংশ নিলেও ভোট করতে হবে নিজ দলের প্রতীকে ‘সমঝোতার’ সুজা নাকি ‘যদি-কিন্তু’তে নুরুল বশর? কক্সবাজারের খুরুশকুলে ঐতিহ্যবাহী রাস মহোৎসব শুরু.. চকরিয়া পুলিশের অভিযান: আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্য গ্রেফতার উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিতরণ সম্পন্ন, নির্বাচন ৮ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় নেই রুমিন ফারহানার নাম
জেলায় বাড়ছে ম্যালেরিয়া : ৫ মাসে আক্রান্ত ৩৫৫ জন, সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত ১৫ জন

“কক্সবাজারে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ বৃদ্ধি: জনস্বাস্থ্যের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ”

“কক্সবাজারে ম্যালেরিয়া রোগ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। সারাদেশে যেখানে করোনা ও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও উল্টো কক্সবাজারে। কক্সবাজারে করোনা ও ডেঙ্গু রোগীর সেভাবে না থাকলেও এই জেলায় চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৩৫৫ জনের শরীরে ম্যালেরিয়া শনাক্ত হয়েছে। তাঁর মধ্যে রোহিঙ্গা ১৯৭ জন।

সিভিল সার্জন তথ্য বলছে, শুধুমাত্র গত দেড় মাসেই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।”

কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মেডিকেল অফিসার,ডা. রিপন চৌধুরী জানান, বৃষ্টি, জমে থাকা পানি এবং সচেতনতার অভাব— এই কারণেই কক্সবাজারে ম্যালেরিয়া দ্রুত ছড়াচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী এবং পার্বত্য এলাকার মানুষ।” ম্যালেরিয়ার লক্ষণ: জ্বর, কাঁপুনি, মাথাব্যথা, দুর্বলতা দেখা দিলে অবহেলা নয়, দ্রুত কাছের হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ম্যালেরিয়া একটি প্রাণঘাতী রোগ হতে পারে, তবে সময়মতো চিকিৎসা নিলে এটি প্রতিরোধযোগ্য। তারা সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দিয়েছেন, মশারি ব্যবহার, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ এবং মশার প্রজনন ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণে রাখতে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় তারা রাতে ঘুমাতে পারছেন না। তারা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে এবং জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন প্রচারমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

 

“জেলা স্বাস্থ্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্ত ১৫ জন। এছাড়া চলতি মাসে কক্সবাজার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় সর্বাধিক ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্ত হয়েছে।”

 

এ রোগে আক্রান্ত রোগী রহিম বলছেন, প্রথমে জ্বর হয়েছিল, পরে হাত-পা ব্যাথা। পরিক্ষা দিলে ধরা পড়ে ম্যালেরিয়া। এখন হাসপাতালে ভর্তি।”

 

২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল কক্সবাজারের তত্বাবধায়ক, ডা. মং টিং ঞো জানান, প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। তবে এখন পর্যন্ত কোন রোগী মৃত্যু বরণ করেনি।

“জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ছাড়া এই রোগের বিস্তার ঠেকানো সম্ভব নয়। কক্সবাজারে ম্যালেরিয়ার এই ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতি এখনই নিয়ন্ত্রণে না আনলে সামনে আরও বড় সংকট দেখা দিতে পারে।”

 

“ম্যালেরিয়া একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। প্রয়োজন শুধু সচেতনতা ও সময়মতো চিকিৎসা। জনসচেতনতাই হতে পারে এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রথম ধাপ। প্রতিরোধই সেরা প্রতিকার। নিয়ম মেনে চলুন, সুস্থ থাকুন।”

ট্যাগ :

কক্সবাজার ২ আসনে এনসিপির প্রার্থী সুজা, ছাড়ের রাজনীতিতে সমঝোতার ইঙ্গিত!

This will close in 6 seconds

জেলায় বাড়ছে ম্যালেরিয়া : ৫ মাসে আক্রান্ত ৩৫৫ জন, সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত ১৫ জন

“কক্সবাজারে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ বৃদ্ধি: জনস্বাস্থ্যের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ”

আপডেট সময় : ০৫:৩৭:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

“কক্সবাজারে ম্যালেরিয়া রোগ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। সারাদেশে যেখানে করোনা ও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও উল্টো কক্সবাজারে। কক্সবাজারে করোনা ও ডেঙ্গু রোগীর সেভাবে না থাকলেও এই জেলায় চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৩৫৫ জনের শরীরে ম্যালেরিয়া শনাক্ত হয়েছে। তাঁর মধ্যে রোহিঙ্গা ১৯৭ জন।

সিভিল সার্জন তথ্য বলছে, শুধুমাত্র গত দেড় মাসেই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।”

কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মেডিকেল অফিসার,ডা. রিপন চৌধুরী জানান, বৃষ্টি, জমে থাকা পানি এবং সচেতনতার অভাব— এই কারণেই কক্সবাজারে ম্যালেরিয়া দ্রুত ছড়াচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী এবং পার্বত্য এলাকার মানুষ।” ম্যালেরিয়ার লক্ষণ: জ্বর, কাঁপুনি, মাথাব্যথা, দুর্বলতা দেখা দিলে অবহেলা নয়, দ্রুত কাছের হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ম্যালেরিয়া একটি প্রাণঘাতী রোগ হতে পারে, তবে সময়মতো চিকিৎসা নিলে এটি প্রতিরোধযোগ্য। তারা সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দিয়েছেন, মশারি ব্যবহার, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ এবং মশার প্রজনন ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণে রাখতে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় তারা রাতে ঘুমাতে পারছেন না। তারা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে এবং জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন প্রচারমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

 

“জেলা স্বাস্থ্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্ত ১৫ জন। এছাড়া চলতি মাসে কক্সবাজার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় সর্বাধিক ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্ত হয়েছে।”

 

এ রোগে আক্রান্ত রোগী রহিম বলছেন, প্রথমে জ্বর হয়েছিল, পরে হাত-পা ব্যাথা। পরিক্ষা দিলে ধরা পড়ে ম্যালেরিয়া। এখন হাসপাতালে ভর্তি।”

 

২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল কক্সবাজারের তত্বাবধায়ক, ডা. মং টিং ঞো জানান, প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। তবে এখন পর্যন্ত কোন রোগী মৃত্যু বরণ করেনি।

“জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ছাড়া এই রোগের বিস্তার ঠেকানো সম্ভব নয়। কক্সবাজারে ম্যালেরিয়ার এই ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতি এখনই নিয়ন্ত্রণে না আনলে সামনে আরও বড় সংকট দেখা দিতে পারে।”

 

“ম্যালেরিয়া একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। প্রয়োজন শুধু সচেতনতা ও সময়মতো চিকিৎসা। জনসচেতনতাই হতে পারে এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রথম ধাপ। প্রতিরোধই সেরা প্রতিকার। নিয়ম মেনে চলুন, সুস্থ থাকুন।”