ছেলেকে আলেম বানানোর স্বপ্ন ছিলো হাবিবউল্লাহর। তাই পড়াচ্ছিলেন প্রশিদ্ধ মাদ্রাসায়। তাই তো নিজ গ্রাম থেকে দূরের চট্টগ্রামে করাচ্ছিলাম পড়ালেখা।
কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলোনা। পিতা-পুত্রের একসাথে প্রাণ গেলো সড়ক দূর্ঘটনায়। কক্সবাজারের রামুর রশিদ নগরে সোমবার সকাল ৭টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
ঈদের ছুটি শেষে ভোরে ৯ বছরের ছেলে মো. রিয়াদকে নিয়ে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের পটিয়ার উদ্দ্যেশ্যে রওনা হয় হাবিবউল্লাহ।
কিন্তু তাদের বহনকারী পূরবী বাসটির সাথে সংঘর্ষ হয় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যানের। এতে ঘটনাস্থলেই হাবিবউল্লাহ ও তার ছেলে রিয়াদসহ তিনজনের প্রাণহানির তথ্য দিয়েছে রামু ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ।
পরে সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে আনা হয় নিহতদের মরদেহ। সেখানে উপস্থিত স্বজনরা জানান, ঈদের ছুটি শেষে রিয়াদকে পটিয়া মাদরাসায় নিয়ে যাচ্ছিলেন পিতা হাবিবুল্লাহ। কিন্তু পথিমধ্যেই এমন দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজনরা জানান, নিহত হাবিবউল্লাহ রামুর হাবিব বস্ত্র বিতানের স্বত্তাধিকারী। ছেলেটা হাফেজ হয়েছে। তাকে বড় আলেম বানাতে চেয়েছিলো হাবিব।
হাবিবউল্লাহ কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালীর দক্ষিণ পাতলি এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন সেখানকার স্থানীয় ইউপি সদস্য ও নিহতের ফুফাতো ভাই গিয়াস উদ্দিন।
এদিকে এই ঘটনায় আরও এক নারী নিহত হয়েছে। রামু থানার ওসি মু. তৈয়বুর রহমান জানান, নিহত রিমঝিম বড়ুয়া রামুর রাজারকূল ইউনিয়নের হিমাংশু বড়ুয়ার মেয়ে।
আগামী ৫ জুলাই রিমঝিমের বিয়ের দিন ধার্য্য ছিলো। বিয়ের বাজার করতে তিনি চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন বলে পরিবারের বরাত দিয়ে জানান তার এলাকার ইউপি সদস্য স্বপন বড়ুয়া।
মর্মান্তিক এই সড়ক দূর্ঘটনায় আরো ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার কথা জানিয়েছে রামু থানা পুলিশ।সফলতা কামনা করে মোনাজাত করা হয়।