মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে কক্সবাজারের দুই উপজেলায় প্রায় ৮ হাজার একর বনভূমি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
ক্যাম্প এলাকায় অবশিষ্ট বনভূমিও পাহাড়খেকোদের কালো থাবায় এখন হুমকির মুখে, ভূমিধস সহ তৈরি হয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি।
আসন্ন বর্ষাকে সামনে রেখে সম্ভাব্য ঝুঁকি যখন উঁকি দিচ্ছে তখন পাহাড় নিধন বন্ধে দেখা গেছে বনবিভাগের তৎপরতা।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ পরিচালিত এক অভিযানে শুক্রবার (২৩ মে) পাহাড় নিধনে ব্যবহৃত একটি ডাম্পার (মিনিট্রাক) জব্দ করা হয়।

বনবিভাগ বলছে, ১৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে জব্দ ডাম্পারটি চিহ্নিত পাহাড়খেকো পালংখালী ইউপির থাইংখালী ঘোনারপাড়ার বাসিন্দা মৃত আব্দুর শরীফের পুত্র মোহাম্মদ নুরুল আমিন (২৭) এর মালিকানাধীন।
পলাতক নুরুল আমিন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বন আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
১৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পটি অবস্থিত উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের থাইংখালী বিটে, যেখানে রয়েছে হাজার একরের বনভূমি।
গত ২৪ এপ্রিল এই বিটভুক্ত ১৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবৈধভাবে নির্মিত আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় বনবিভাগ।
এই বিটের বিট কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে আছেন বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) বিকাশ দাশ।
নিয়মিত অভিযান ছাড়াও সুফল প্রকল্পের আওতায় গড়ে তোলা ২২০ হেক্টর বনভূমির প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষাধিক গাছের ‘বৃহত্তর’ বাগান পরিচর্যায় কাজ করছে থাইংখালী বিট।
বিকাশ দাশ বলেন, ‘ জনবল সংকট, পাহাড়খেকোদের হুমকির মতো অসংখ্য চ্যালেঞ্জ স্বত্ত্বেও আমরা চেষ্টা করছি বনভূমি রক্ষার্থে অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে যেতে।’
সরকারী সম্পদের যেনো ক্ষতি সাধন না হয় সে লক্ষ্যে বন ও পরিবেশের স্বার্থে বনবিভাগ’কে সবার সহযোগিতা করা উচিত বলে মনে করেন উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা (সহকারী বন সংরক্ষক) মোহাম্মদ শাহিনুর ইসলাম।
উখিয়ায় যোগদানের পর থেকে মাঠপর্যায়ে নিয়মিত তৎপরতা দেখানো এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ পাহাড় ও বন ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বনবিভাগের আভিযানিক কার্যক্রম সব সময় অব্যাহত থাকবে।’