ঢাকা ০১:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজারসহ চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত কুতুব‌দিয়া স্বাস্থ্য কম‌প্লে‌ক্সে সেবা নি‌শ্চি‌তের দা‌বি‌ নি‌য়ে মত‌বি‌নিময় “ভালো থেকো প্রিয়তমা” নিহত রিমঝিমকে নিয়ে হবু স্বামীর স্ট্যাটাস শেখ হাসিনা সাত দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির না হলে তার অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু নিষেধাজ্ঞা শেষ : বৈরী আবহাওয়ায় হতাশ জেলেরা ছেলেকে আলেম বানানোর স্বপ্ন ছিলো বাবার ফ্যাসিষ্টমুক্ত গণমাধ্যম জাতীর জন্য আশীর্বাদ- সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার আয়োজিত সংবাদপত্রের কালো দিবসে বক্তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলোনা রিমঝিমের বাবা-ছেলেসহ নিহত তিন, আহত ১০ সেনাবাহিনীর অভিযান: গোলদীঘি এলাকা থেকে ২০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার, আটক ৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু-করোনা প্রতিরোধে মাউশির বিশেষ নির্দেশনা উখিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহিন রেজুখালের ভাঙ্গন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি পেকুয়ার শিক্ষক আরিফ হত্যা মামলার আসামি মুকা গ্রেফতার বহিস্কৃত সেনাসদস্যসহ আটক তিন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়খেকোদের দৌরাত্ম্য বন্ধে তৎপর বনবিভাগ

Oplus_131072

মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে কক্সবাজারের দুই উপজেলায় প্রায় ৮ হাজার একর বনভূমি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

ক্যাম্প এলাকায় অবশিষ্ট বনভূমিও পাহাড়খেকোদের কালো থাবায় এখন হুমকির মুখে, ভূমিধস সহ তৈরি হয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি।

আসন্ন বর্ষাকে সামনে রেখে সম্ভাব্য ঝুঁকি যখন উঁকি দিচ্ছে তখন পাহাড় নিধন বন্ধে দেখা গেছে বনবিভাগের তৎপরতা।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ পরিচালিত এক অভিযানে শুক্রবার (২৩ মে) পাহাড় নিধনে ব্যবহৃত একটি ডাম্পার (মিনিট্রাক) জব্দ করা হয়।

উখিয়া রেঞ্জের আভিযানিক দল

বনবিভাগ বলছে, ১৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে জব্দ ডাম্পারটি চিহ্নিত পাহাড়খেকো পালংখালী ইউপির থাইংখালী ঘোনারপাড়ার বাসিন্দা মৃত আব্দুর শরীফের পুত্র মোহাম্মদ নুরুল আমিন (২৭) এর মালিকানাধীন।

পলাতক নুরুল আমিন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বন আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

১৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পটি অবস্থিত উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের থাইংখালী বিটে, যেখানে রয়েছে হাজার একরের বনভূমি।

গত ২৪ এপ্রিল এই বিটভুক্ত ১৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবৈধভাবে নির্মিত আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় বনবিভাগ।

এই বিটের বিট কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে আছেন বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) বিকাশ দাশ।

নিয়মিত অভিযান ছাড়াও সুফল প্রকল্পের আওতায় গড়ে তোলা ২২০ হেক্টর বনভূমির প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষাধিক গাছের ‘বৃহত্তর’ বাগান পরিচর্যায় কাজ করছে থাইংখালী বিট।

বিকাশ দাশ বলেন, ‘ জনবল সংকট, পাহাড়খেকোদের হুমকির মতো অসংখ্য চ্যালেঞ্জ স্বত্ত্বেও আমরা চেষ্টা করছি বনভূমি রক্ষার্থে অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে যেতে।’

সরকারী সম্পদের যেনো ক্ষতি সাধন না হয় সে লক্ষ্যে বন ও পরিবেশের স্বার্থে বনবিভাগ’কে সবার সহযোগিতা করা উচিত বলে মনে করেন উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা (সহকারী বন সংরক্ষক) মোহাম্মদ শাহিনুর ইসলাম।

উখিয়ায় যোগদানের পর থেকে মাঠপর্যায়ে নিয়মিত তৎপরতা দেখানো এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ পাহাড় ও বন ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বনবিভাগের আভিযানিক কার্যক্রম সব সময় অব্যাহত থাকবে।’

ট্যাগ :

কক্সবাজারসহ চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত

This will close in 6 seconds

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়খেকোদের দৌরাত্ম্য বন্ধে তৎপর বনবিভাগ

আপডেট সময় : ০৯:৪৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে কক্সবাজারের দুই উপজেলায় প্রায় ৮ হাজার একর বনভূমি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

ক্যাম্প এলাকায় অবশিষ্ট বনভূমিও পাহাড়খেকোদের কালো থাবায় এখন হুমকির মুখে, ভূমিধস সহ তৈরি হয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি।

আসন্ন বর্ষাকে সামনে রেখে সম্ভাব্য ঝুঁকি যখন উঁকি দিচ্ছে তখন পাহাড় নিধন বন্ধে দেখা গেছে বনবিভাগের তৎপরতা।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ পরিচালিত এক অভিযানে শুক্রবার (২৩ মে) পাহাড় নিধনে ব্যবহৃত একটি ডাম্পার (মিনিট্রাক) জব্দ করা হয়।

উখিয়া রেঞ্জের আভিযানিক দল

বনবিভাগ বলছে, ১৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে জব্দ ডাম্পারটি চিহ্নিত পাহাড়খেকো পালংখালী ইউপির থাইংখালী ঘোনারপাড়ার বাসিন্দা মৃত আব্দুর শরীফের পুত্র মোহাম্মদ নুরুল আমিন (২৭) এর মালিকানাধীন।

পলাতক নুরুল আমিন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বন আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

১৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পটি অবস্থিত উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের থাইংখালী বিটে, যেখানে রয়েছে হাজার একরের বনভূমি।

গত ২৪ এপ্রিল এই বিটভুক্ত ১৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবৈধভাবে নির্মিত আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় বনবিভাগ।

এই বিটের বিট কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে আছেন বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) বিকাশ দাশ।

নিয়মিত অভিযান ছাড়াও সুফল প্রকল্পের আওতায় গড়ে তোলা ২২০ হেক্টর বনভূমির প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষাধিক গাছের ‘বৃহত্তর’ বাগান পরিচর্যায় কাজ করছে থাইংখালী বিট।

বিকাশ দাশ বলেন, ‘ জনবল সংকট, পাহাড়খেকোদের হুমকির মতো অসংখ্য চ্যালেঞ্জ স্বত্ত্বেও আমরা চেষ্টা করছি বনভূমি রক্ষার্থে অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে যেতে।’

সরকারী সম্পদের যেনো ক্ষতি সাধন না হয় সে লক্ষ্যে বন ও পরিবেশের স্বার্থে বনবিভাগ’কে সবার সহযোগিতা করা উচিত বলে মনে করেন উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা (সহকারী বন সংরক্ষক) মোহাম্মদ শাহিনুর ইসলাম।

উখিয়ায় যোগদানের পর থেকে মাঠপর্যায়ে নিয়মিত তৎপরতা দেখানো এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ পাহাড় ও বন ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বনবিভাগের আভিযানিক কার্যক্রম সব সময় অব্যাহত থাকবে।’