এদেশের প্রতিটা মানুষের মর্যাদা উপদেষ্টাসম হতে হবে উল্লেখ করে ড. সলিমুল্লাহ বলেন, “দেশের উপদেষ্টা যদি ডাব খায় সাধারণ জনগনও ডাব খাবে। সাধারণ জনগন লবণ জল খেলে উপদেষ্টারও লবণ জল খেতে হবে। এই মর্যাদাটা দেশের জনগন এতদিন পায়নি।”
বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারে সি-ট্রাক উদ্বোধনকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সি-ট্রাক সার্ভিস জনগনকে দেওয়া দান নয়, এটি তাদের অধিকার বলে মন্তব্য করেছেন দেশ বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান।
টিকেটই হবে জনগণের একমাত্র পাসপোর্ট উল্লেখ করে ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, এই নৌ রুটে ইজারাদারদের দৌরাত্ম বন্ধ করতে হবে। ইজারা ব্যবসা বন্ধ হলে এই দ্বীপের মানুষ স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারবে।
সি-ট্রাকের বিষয়ে তিনি বলেন, একটি গণপরিবহন কখনও বিলাসিতা নয়। এটি জনগনের অধিকার।মহেশখালীর জনগন এই সি-ট্রাকটা অধিকার হিসেবে পেয়েছে।তবে আইডব্লিউটিএ এমন একটা ভান করছে যেন এই সি-ট্রাক তাদের দান।
সি-ট্রাকটি কোন উপহার নয় জানিয়ে এই অধ্যাপক বলেন, আগে যেমন বাসের উপর লেখা থাকতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার, এটাও যেন মাননীয় নৌ পরিবহন উপদেষ্টার উপহার। তবে এটি কোন উপহার নয়। জনগণের জন্য এটি অধিকার আর সরকারের জন্য এটি সেবা।
তবে এই সি-ট্রাক সেবায় জনগণের কিছুটা সুবিধা হয়েছে ঠিকই তবে সমস্যা সম্পূর্ণ সমাধান হয়নি।
সি-ট্রাকের যাতায়াত আরও সম্প্রসারিত করার দাবি জানিয়ে এই বুদ্ধিজীবী বলেন, গোরকঘাটাবাসীর জন্য এই সি-ট্রাকে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজলভ্য হয়েছে। তবে কালারমারছড়া, ধলঘাটার মানুষের এখনও সড়কপথে গোরকঘাটা এসে সি-ট্রাকে উঠতে হবে। তাই পুরো মহেশখালীর মানুষই যেনো নৌ-পথে যাতায়াত করতে পারে এমন ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া এ ধরনের ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস শুধুমাত্র মহেশখালির জন্য নয়, অন্যান্য দ্বীপ যেমন মাতারবাড়ি কুতুবদিয়া উপজেলার জন্যও ব্যবস্থা করতে হবে।
এই লেখক মনে করেন বাংলাদেশের মতো দূর্ভাগা দেশ আর নেই। যেখানে কোনো ইউনাইটেড সার্ভিস নেই, জনগনের জন্য গণপরিবহন নেই।বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন, মহেশখালী-কক্সবাজার যোগাযোগ ব্যবস্থা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এখানে গণপরিবহন থাকবে না এটা কল্পনা করা যায় না। যেমন ঢাকায় বিআরটিসি বলে একটা সংস্থা আছে। তবে তাদের গাড়ী স্বল্পতার কারণে ঢাকা শহরের যাতায়াত ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। ২৫০ টি প্রাইভেট কোম্পানি ঢাকার যাতায়াত ব্যবস্থা ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে।