ঢাকা ১২:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আমি আর বাঁচতে চাইনা,ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ’ চেয়ে কক্সবাজারে মশাল মিছিল কুতুবদিয়ায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে নানান কর্মসূচী মাধ্যমে সালাউদ্দিন আহমেদের ১১ তম গুম দিবস পালন কক্সবাজারে মার্কিন নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার “ এফ-কমার্স এন্ড ডিজিটাল মার্কেটিং ” শীর্ষক প্রশিক্ষণের সনদ বিতরণ সম্পন্ন কক্সবাজারে দুর্যোগ প্রস্তুতি মহড়া ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত উখিয়ায় ঢালুতে আটকে আছে মালবাহী লরি! দীর্ঘ যানজট হলেও জানেন না হাইওয়ে ওসি মাগুরার শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে কক্সবাজার এসে পর্যটকদের আর চিন্তা নেই এসে গেছে ‘ভ্রমণিকা’ অ্যাপ শুক্রবার কক্সবাজার আসছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব জামালপুরের ‘যৌনপল্লী’ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প – মাদকের এডি দিদারুলের যত অপকর্ম! সাংবাদিককে ফাঁসাতে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লাইভ নাটক! “আমার বোনের কান্না, আর না-আর না” পেকুয়ার বানৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাঁটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বানৌজা পেকুয়া

প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই

  • টিটিএন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 52

মারা গেছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। অন্ত্রের অস্ত্রোপচারের পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রবীণ শিল্পী। সোমবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম।

১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্ম প্রতুলের। বাবা প্রভাতচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। মা বাণী মুখোপাধ্যায় ও প্রতুলকে নিয়ে দেশভাগের পরে পশ্চিম বাংলায় চলে যান তিনি। থাকতে শুরু করেন চুঁচুড়ায়। অল্প বয়স থেকেই কবিতায় সুর দিতেন তিনি। কবি মঙ্গলচরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি ধান কাটার গান গাই’ কবিতা দিয়ে শুরু। নিজেও গান লিখতেন। অথচ প্রথাগত কোনও সংগীতশিক্ষা তিনি নেননি। নিজের হৃদয় নিঃসৃত আবেগকেই সুর ও কথার মেলবন্ধনে বেঁধে ফেলতে শিখেছিলেন।

শেষ সময়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও চিকিৎসকদের ‘আমি বাংলায় গান গাই’ শোনাতেন তিনি। সেই গানের কথার মতো ‘এই বাংলার মায়াভরা পথে’ আর হাঁটতে পারবেন না তিনি। তবে এই একটিই গান নয়, প্রতুল সারা জীবন ধরে অসংখ্য মণিমুক্তা সৃষ্টি করেছেন। বাংলা আধুনিক গান থেকে জাপানি গান, আবার হিন্দি ছবির গান থেকেও উপাদান সংগ্রহ করেছেন। সৃষ্টি করেছেন একের পর এক গান।

গায়কের প্রথম অ্যালবাম ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’ (১৯৮৮)। তবে সেটি একক অ্যালবাম নয়। অন্য শিল্পীদের সঙ্গে মিলে কাজ করতে হয়েছিল। এরপর ১৯৯৪ সালে ‘যেতে হবে’ প্রতুলের প্রথম একক অ্যালবাম। শেষ অ্যালবাম ‘ভোর’ (২০২২)। সেখানে সংকলিত হয়েছিল শিল্পীর অপ্রকাশিত গানগুলো। তাঁর জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ ছাড়াও ‘আলু বেচো’, ‘ছোকরা চাঁদ’, ‘তোমার কি কোনও তুলনা হয়’, ‘সেই মেয়েটি’, ‘ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ’-এর মতো গানও শ্রোতার মন জিতেছে বারবার। তবে নিজের গানে বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার কখনওই পছন্দ করেননি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

আমি আর বাঁচতে চাইনা,ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

This will close in 6 seconds

প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই

আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মারা গেছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। অন্ত্রের অস্ত্রোপচারের পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রবীণ শিল্পী। সোমবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম।

১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্ম প্রতুলের। বাবা প্রভাতচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। মা বাণী মুখোপাধ্যায় ও প্রতুলকে নিয়ে দেশভাগের পরে পশ্চিম বাংলায় চলে যান তিনি। থাকতে শুরু করেন চুঁচুড়ায়। অল্প বয়স থেকেই কবিতায় সুর দিতেন তিনি। কবি মঙ্গলচরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি ধান কাটার গান গাই’ কবিতা দিয়ে শুরু। নিজেও গান লিখতেন। অথচ প্রথাগত কোনও সংগীতশিক্ষা তিনি নেননি। নিজের হৃদয় নিঃসৃত আবেগকেই সুর ও কথার মেলবন্ধনে বেঁধে ফেলতে শিখেছিলেন।

শেষ সময়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও চিকিৎসকদের ‘আমি বাংলায় গান গাই’ শোনাতেন তিনি। সেই গানের কথার মতো ‘এই বাংলার মায়াভরা পথে’ আর হাঁটতে পারবেন না তিনি। তবে এই একটিই গান নয়, প্রতুল সারা জীবন ধরে অসংখ্য মণিমুক্তা সৃষ্টি করেছেন। বাংলা আধুনিক গান থেকে জাপানি গান, আবার হিন্দি ছবির গান থেকেও উপাদান সংগ্রহ করেছেন। সৃষ্টি করেছেন একের পর এক গান।

গায়কের প্রথম অ্যালবাম ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’ (১৯৮৮)। তবে সেটি একক অ্যালবাম নয়। অন্য শিল্পীদের সঙ্গে মিলে কাজ করতে হয়েছিল। এরপর ১৯৯৪ সালে ‘যেতে হবে’ প্রতুলের প্রথম একক অ্যালবাম। শেষ অ্যালবাম ‘ভোর’ (২০২২)। সেখানে সংকলিত হয়েছিল শিল্পীর অপ্রকাশিত গানগুলো। তাঁর জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ ছাড়াও ‘আলু বেচো’, ‘ছোকরা চাঁদ’, ‘তোমার কি কোনও তুলনা হয়’, ‘সেই মেয়েটি’, ‘ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ’-এর মতো গানও শ্রোতার মন জিতেছে বারবার। তবে নিজের গানে বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার কখনওই পছন্দ করেননি।