আ’লীগ, দিল্লী ও বিএনপির বক্তব্য এক হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত এক মুক্ত সেমিনারে তুষার বলেন, বিএনপি সো কল্ড সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার নাম দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে দেয়নি। ছাত্রদের জুলাই ঘোষণা পত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়ালো তারা।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বিএনপির নির্বাচন চাওয়ার বিষয়টি টেনে এনে তুষার আরো বলেন, আ’লীগ, দিল্লী ও বিএনপির বক্তব্য এক হয়ে যাচ্ছে। যে দিল্লি ৬ মাস আগেও নির্বাচন চায় নাই, তারা এখন বাংলাদেশে নির্বাচনের জন্য উতলা হয়ে উঠেছে। কারণ কোনোনা কোনো ভাবে দিল্লী এখানে গণতন্ত্র চায়না।
সারোয়ার তুষার আরো বলেন, বিএনপি নির্বাচন কেন্দ্রীক কতোবড় ফাঁদে পা দিচ্ছে, সেটা হয়তো তারা এখনো বুঝতে পারছেনা। দিল্লীর অন্তরে আওয়ামীলীগ মুখে বিএনপি। এটা বিএনপিকে বুঝতে হবে।
“জানুয়ারির পরে বাংলাদেশের কেউ বিশ্বাস করেনি আওয়ামী লীগের পতন হবে, কিন্তু ছয় মাস পর ছাত্ররা সেটি ঘটিয়েছে” বলেন তুষার।
তুষার বলেন, “আমাদের কিংস পার্টি বলছেন? এখন ইতিহাস খুলে বসবো? বাংলাদেশে বিএনপির চেয়ে বড় কিংস পার্টি তো নাই! বিএনপি তো সরকারে থেকে গঠন হওয়া একটি দল। কিন্তু তাতে অসুবিধা নাই। তারা গণরায়ে পরে দুইবার ক্ষমতায় আসছে। আপনারা আমাদেরও সেই সুযোগ দেন।”
“বহুদলীয় রাজনৈতিক দল হয়ে থাকলে ছাত্ররা দল করলে আপনাদের অসুবিধা কোথায়” বিএনপির প্রতি প্রশ্ন করেন তুষার।
বিএনপি আওয়ামী লীগের মাঠে আওয়ামীলীগের নিয়মে খেলতে চাইছে উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক কমিটির তরুণ এই নেতা আরো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বন্দ্ব ও কায়েমি স্বার্থের কারণে অভ্যুত্থানের পরে যদি বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে ব্যর্থ হই, আমাদের কপালে গভীর দুঃখ আছে। এরপর আর কবে সুযোগ আসবে আমরা জানিনা।
গণ সার্বভৌমত্ব ও নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী গঠন: প্রেক্ষাপট বঙ্গোপসাগরের ভূরাজনীতি শিরোনামে ওই মুক্ত সেমিনারে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। এছাড়াও এতে স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও সুধীজনরা বক্তব্য রাখেন।
ভাব বৈঠকী নামের পাঠচক্র সংগঠনের ওই আয়োজনটির সহ আয়োজক হিসেবে রয়েছে কক্সবাজার কমিউনিটি এলায়েন্স ও জাতীয় নাগরিক কমিটি, কক্সবাজার।