কক্সবাজার শহরের এন্ডারসন রোডের বাসিন্দা ইয়াসিন তোফার স্ত্রী একজন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মী। তিনি বৃহস্পতিবার (৯জানুয়ারি) সকাল পৌনে ৭টার দিকে বের হন চাকরির উদ্দেশ্যে। ওইসময় শেখ রাসেল সড়কের মুখে তিন যুবক অতর্কিত এসে টেনেহিঁচড়ে ছিনতাই করে নিয়ে যায় নগদ অর্থসহ মোবাইল ও স্বর্ণালংকার।
এসময় ওই নারীকে মারধর ও ছুরির ভয় দেখানো হয় বলে জানান ইয়াসিন তোফা।
২৫ ডিসেম্বর রাত ১১টায় শহরের বিকেপাল সড়কে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ছিনতাইয়ের শিকার হন এক যুবক। ভুক্তভোগী নির্মল দে জানান, হঠাৎ ৩ জন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল নিয়ে এসে পেছন থেকে তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।
গোলদিঘির পাড়ের এক নৈশপ্রহরী টিটিএনকে জানান, প্রায় প্রতিদিন রাত বাড়লেই ওই এলাকায় একদল উঠতি বয়সী তরুণ মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিনতাই করেন।
এতে বেশিরভাগই ভুক্তভোগী হন রিক্সাচালকরা বলে জানান ওই নৈশপ্রহরী।
টিটিএনের কাছে ভুক্তভোগীরা জানান, কলাতলী, সুগন্ধা, লাবনী, মূল শহরের বাজারঘাটা, গোলদিঘির মোড়, বৌদ্ধ মন্দির মোড়, স্টেডিয়াম সংলগ্ন জল্ল্যার মোড়, পাহাড়তলী এলাকার উপসড়ক গুলোতে সন্ধ্যার পর বেশি হচ্ছে এসব ছিনতাই।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান টিটিএনকে জানান, গেলো দেড় মাসে ছিনতাইয়ের অপরাধে ৪টি মামলা হয়েছে এবং এর প্রেক্ষিতে ২৮ জন ছিনতাইকারী গ্রেফতার হয়েছে।
অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে দাবী করেন ওসি ইলিয়াস খান বলেন, “রাতের পাশাপাশি ভোরে কুয়াশার মধ্যেও ছিনতাই হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়ার।”
ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার কারন ও প্রতিরোধে কেনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছেনা জানতে চাইলে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন টিটিএনকে জানান, সন্ধ্যার পর থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বেশিরভাগ মোড়ে সড়ক বাতি জ্বলেনা। যার সুযোগ নেয় অপরাধীরা।
জসীম উদ্দিন বলেন, পৌরসভা ও সড়ক-জনপথ বিভাগকেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে।
কক্সবাজার পুরো শহর ১৭০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিলো জানিয়ে জেলা পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, জুলাই আগস্টের আন্দোলনে বেশিরভাগ সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট হয়ে গেছে। ক্যামেরা গুলো পূণরায় সচল করা সম্ভব হয়নি এখনো। যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অনেক পয়েন্ট নজরদারির আওতায় আনা যাচ্ছেনা।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবগত করা হয়েছে বলেও জানান জসীম উদ্দিন।
এদিকে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের কাছে দাবী করেন, গত কয়েকদিনে তুলনামূলক ছিনতাই কমেছে। অনেক ছিনতাইকারী আটক হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে।