ঢাকা ০২:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চুপ প্রশাসন, নিষেধাজ্ঞা না মেনে আতশবাজি ফুটল সৈকতে বার্মিজ মার্কেট এলাকার বাসিন্দা বকুল আর নেই: জানাজা বৃহস্পতিবার ভালো কিছু শুরুর আশা পঁচিশের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে আসা পর্যটকদের স্বামীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত খালেদা জিয়া জনজোয়ারে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় পাকিস্তানের স্পিকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জনতার ঢল সংসদ ভবনের পথে খালেদা জিয়ার মরদেহ কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ

ভালো কিছু শুরুর আশা পঁচিশের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে আসা পর্যটকদের

বছরের শেষ দিনে সূর্যাস্ত অবলোকন করতে আসা পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সারাদিনই সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলীতে দেখা যায় মানুষের উপচে পড়া ভীড়।

বিকাল ৫ টা ২৬ মিনিটের দিকে ২০২৫ সালের শেষ সূর্যকে বিদায় জানান দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখো পর্যটক।  এসময় প্রকৃতির নান্দনিকতায় প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটানোর পাশাপাশি ছবি তুলে স্মৃতি সংরক্ষণ করেছেন অনেকেই।

রাজশাহী থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা এক পর্যটক জানান ‘ দেখতে দেখতে আরো একটি বছর চলে গেলো, নতুন বছর দেশের মঙ্গল বয়ে আনুক। প্রিয় জায়গা কক্সবাজারে এসে পরিবার সহ  ২০২৫ কে বিদায় দিলাম, সূর্যাস্ত উপভোগ করে ভালোই লেগেছে।’

গত কয়েক বছর ধরে থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে কক্সবাজার সৈকতে বড় পরিসরের আয়োজন হচ্ছেনা। এছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয়  শোক থাকায় তারকামানের হোটেলগুলো সহ আভ্যন্তরীণ অনেক বিশেষ আয়োজন বাতিল করা হয়েছে।

শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস ও কটেজের প্রায় অধিকাংশই এখন  পর্যটকে ভরপুর। বড়দিন, টানা ছুটি ও বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে চলতি সপ্তাহে অন্তত ছয় লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজার এসেছেন বলে ধারণা পর্যটন ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের।

কক্সবাজার হোটেল-গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘  সৈকত ও উন্মুক্ত স্থানে কোনো আয়োজন না থাকলেও বর্ষবরণকে ঘিরে পর্যটকের আগমন থেমে নেই,মৌসুমের শুরুর দিকে পর্যটক কম ছিলো কিন্তু এই সময়ে এসে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণ করেছেন।’

থার্টি-ফাস্ট নাইটকে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে ৭ টি বিধিনিষেধ।

সমুদ্রসৈকতে আতশবাজি ও পটকা বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উন্মুক্ত স্থানে কিংবা রাস্তায় কোনো কনসার্ট, নাচ-গানের অনুষ্ঠান করা যাবে না। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বার ও মদের দোকানে বেচাকেনা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অলক বিশ্বাস বলেন, ‘ পর্যটকদের ভ্রমণ নির্বিঘ্নের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন কাজ করছে, বিধি-নিষেধ মানা হচ্ছে কিনা তা কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে।

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

ভালো কিছু শুরুর আশা পঁচিশের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে আসা পর্যটকদের

আপডেট সময় : ১০:২৭:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

বছরের শেষ দিনে সূর্যাস্ত অবলোকন করতে আসা পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সারাদিনই সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলীতে দেখা যায় মানুষের উপচে পড়া ভীড়।

বিকাল ৫ টা ২৬ মিনিটের দিকে ২০২৫ সালের শেষ সূর্যকে বিদায় জানান দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখো পর্যটক।  এসময় প্রকৃতির নান্দনিকতায় প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটানোর পাশাপাশি ছবি তুলে স্মৃতি সংরক্ষণ করেছেন অনেকেই।

রাজশাহী থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা এক পর্যটক জানান ‘ দেখতে দেখতে আরো একটি বছর চলে গেলো, নতুন বছর দেশের মঙ্গল বয়ে আনুক। প্রিয় জায়গা কক্সবাজারে এসে পরিবার সহ  ২০২৫ কে বিদায় দিলাম, সূর্যাস্ত উপভোগ করে ভালোই লেগেছে।’

গত কয়েক বছর ধরে থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে কক্সবাজার সৈকতে বড় পরিসরের আয়োজন হচ্ছেনা। এছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয়  শোক থাকায় তারকামানের হোটেলগুলো সহ আভ্যন্তরীণ অনেক বিশেষ আয়োজন বাতিল করা হয়েছে।

শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস ও কটেজের প্রায় অধিকাংশই এখন  পর্যটকে ভরপুর। বড়দিন, টানা ছুটি ও বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে চলতি সপ্তাহে অন্তত ছয় লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজার এসেছেন বলে ধারণা পর্যটন ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের।

কক্সবাজার হোটেল-গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘  সৈকত ও উন্মুক্ত স্থানে কোনো আয়োজন না থাকলেও বর্ষবরণকে ঘিরে পর্যটকের আগমন থেমে নেই,মৌসুমের শুরুর দিকে পর্যটক কম ছিলো কিন্তু এই সময়ে এসে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণ করেছেন।’

থার্টি-ফাস্ট নাইটকে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে ৭ টি বিধিনিষেধ।

সমুদ্রসৈকতে আতশবাজি ও পটকা বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উন্মুক্ত স্থানে কিংবা রাস্তায় কোনো কনসার্ট, নাচ-গানের অনুষ্ঠান করা যাবে না। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বার ও মদের দোকানে বেচাকেনা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অলক বিশ্বাস বলেন, ‘ পর্যটকদের ভ্রমণ নির্বিঘ্নের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন কাজ করছে, বিধি-নিষেধ মানা হচ্ছে কিনা তা কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে।