টেকনাফের আলোচিত ইউনুস মেম্বার হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে মোহাম্মদ সিদ্দিক (৪৫) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে হ্নীলা ইউনিয়নের দরগাহ পাড়ার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
জেলা পুলিশের মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অলক বিশ্বাস জানিয়েছেন-
টেকনাফ থানা পুলিশের একটি আভিযানিক দল হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে থেকে ইউনুস মেম্বার হত্যা মামলার সন্দিগ্ধ আসামী সিদ্দিক কে আটক করে৷ তার বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক সিদ্দিকের কাছ থেকে ইউনুস মেম্বার হত্যা মামলা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর টিটিএনকে বলেন- ইউনুছ মেম্বার হত্যা মামলার এজাহারে সিদ্দিকের নাম না থাকলেও জড়িত সন্দিগ্ধ হিসাবে আটক করা হয়েছে।
গেলো ৫ নভেম্বর সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকায় একটি ব্রিজের নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় ইউনুস মেম্বারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ইউনুস সিকদার উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দলী পাড়ার প্রয়াত মোহাম্মদ কাশেমের ছেলে। তিনি সাবরাং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন। ইউনুস সিকদার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ টেকনাফ উপজেলা শাখার সভাপতি ছিলেন।
পরের দিন ৬ নভেম্বর নিহত ইউনুস সিকদারের স্ত্রী কহিনুর আক্তার বাদি হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে টেকনাফ মডেল থানায় হত্যা মামলার দায়ের করে। মামলার এজাহারে প্রধান আসামী করা হয়েছে হ্নীলা রঙ্গিখালীর ছৈয়দুর রহমান ওরফে ছৈয়দ মেম্বারের পুত্র ও উপজেলা আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম ওরফে শাফুইয়াকে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৭–৮ জনকে আসামী করা হয়েছে।
তবে এ পর্যন্ত কোন এজাহার নামীয় আসামীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ইউনুস মেম্বার হত্যাকারীদের আটকের দাবিতে মানববন্ধন ও থানা ঘেরাও কর্মসূচিও পালন করেছে স্থানীয়রা। ওই মানববন্ধনে এসে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন- হত্যাকারীরা কেউ পার পাবে না। সকলের সহযোগিতায় ইউনুস মেম্বার হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।
হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী 



















