কক্সবাজার সদরে ভোগদখলীয় জমি সংক্রান্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারার মামলায় ১ম পক্ষ নাজেম উদ্দিনের পক্ষে রায় দিয়েছেন আদালত। মামলাটি নিষ্পত্তি করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল আলম।
মামলা নং এম.আর. ৬৮২/২০২৪ (নাজেম উদ্দিন বনাম মো. শাহ আলম গং)-এর শুনানি অনুষ্ঠিত হয় ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে। এদিন ১ম পক্ষ উপস্থিত থাকলেও ২য় পক্ষ হাজির ছিলেন না।
আদালতে দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নালিশী জমিতে দুটি সেমিপাকা দোকান, একটি নির্মাণাধীন সেমিপাকা ঘর এবং কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) কর্তৃক ভবন নির্মাণের অনুমতি রয়েছে। উপস্থিত বেশিরভাগ ব্যক্তি নিশ্চিত করেন, জমিটি বর্তমানে ১ম পক্ষের ভোগদখলে রয়েছে।
২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি কক্সবাজার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানা আদালতের নির্দেশে মামলাটির বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, বিরোধীয় জমি নাজেম উদ্দিনের স্বত্বাধিকারী ও ভোগদখলীয়, আর ২য় পক্ষের কোনো বৈধ মালিকানা নেই। এছাড়াও, ২য় পক্ষের দাখিলকৃত কাগজপত্র জমির প্রকৃত মালিকানা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং খাস জমি বেআইনিভাবে দখলের চেষ্টা ও ভুয়া কাগজ তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদ জানান, নালিশী জমির মোট ০.১৫ একর জমি ১ম পক্ষ মোহাম্মদ নাজেম উদ্দিনের নামে চূড়ান্তভাবে প্রচারিত। জমিতে দুটি সেমিপাকা দোকান ও একটি নির্মাণাধীন ঘর রয়েছে এবং কউক কর্তৃক ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ২য় পক্ষ মো. শাহ আলম খাস জমির ওপর দখলসত্বের একটি ‘চুক্তিপত্র’ দেখিয়েও তা কক্সবাজার ট্রেজারি অফিসের তথ্যানুসারে ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে।
সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পূর্বের ২২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে প্রদত্ত নিষেধাজ্ঞা আদেশ চূড়ান্ত ঘোষণা করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন।
এদিকে বিবাদী মো. শাহ আলম ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ট্রেড লাইসেন্সের জন্য পৌরসভায় ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করলে বিষয়টি বাদীর নজরে আসে। এবং ২০২৪ সালের ২ ডিসেম্বর বাদী জেলার ট্রেজারি অফিসারের কাছ থেকে তার ইস্যুকৃত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প এর কোন ভেন্ডার খরিদ করেছেন কিনা তা জানতে চাইলে কক্সবাজার ট্রেজারি থেকে এ ধরনের কোন স্ট্যাম্প ভেন্ডারকে সরবরাহ করা হয়নি বলে জানান ট্রেজারি অফিসার।
এরপর তারা আদালতে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে সি.আর নং ২৫৮/২০২৫ মামলা দায়ের করেন, যা এখনো চলমান। এ মামলায় আসামি জাহাঙ্গীর আলম পলাতক রয়েছে।
আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে এই মামলার তদন্তভার দেন। পিবিআই তদন্তে বিবাদীদের বিরুদ্ধে বাদীর মামলার বিষয়ে সত্যতা পায়।
বার্তা পরিবেশক: 























