মেক্সিকোর গাল্ফ কোস্ট ও মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে একটি ক্রান্তীয় নিম্নচাপের প্রভাবে হওয়া ভারি বৃষ্টি, ভূমিধস ও বন্যার ঘটনায় অন্তত ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৬৫ জন।
রয়টার্স জানায়, বর্ষাকালের শেষ দিকের এ নিম্নচাপটির আগেই কয়েক মাসের বৃষ্টিতে মাটি ভিজে ছিল ও নদীগুলো পানিতে পূর্ণ ছিল, তারপর এ প্রবল বৃষ্টিতে নদীগুলো উপচে পড়ে ও ভূমিধস হয়।
সোমবার মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম সাংবাদিকদের বলেন, “বৃষ্টি এমন প্রবল হবে, এটি ধারণা করা যায়নি।”
মেক্সিকোর নৌবাহিনীর সচিব রেমুন্ডো মোরালেস জানিয়েছেন, কয়েক মাসের বৃষ্টিতে নদীগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ছিল আর পর্বতগুলোর অনেক অংশ দুর্বল হয়ে রয়েছিল। এই পরিস্থিতির মধ্যে প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা দেখা দেয় ও ভূমিধসের ঘটনাগুলো ঘটে।
শেইনবাউম জানান, বন্যা ও ভূমিধসে প্রায় এক লাখ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিবর্দশনে যাবেন তিনি।
দেশটির বেসামরিক সুরক্ষা বিষয়ক জাতীয় সমন্বয়ক লরা ভেলাজকুয়েজ জানান, সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হিদালগো ও ভেরাক্রুজ রাজ্যে। ভেরাক্রুজে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন আর হিদালগোতে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের ও নিখোঁজ ৪৩ জন।
বৃষ্টি ও বন্যায় সেতুসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তাগুলো কাদায় ঢাকা পড়েছে। ভিডিও ও বিভিন্ন ছবিতে জরুরি বিভাগের কর্মীদের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করতে যেতে ও জরুরি সরবরাহ পৌঁছে দিতে দেখা গেছে।
কর্তৃপক্ষ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে কয়েক হাজার কর্মী মোতায়েন করেছে। তারা লোকজনকে সরিয়ে নিতে, রাস্তাঘাট পরিষ্কার করতে ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে সহায়তা করছেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পাঁচটি রাজ্যের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছিল। রাজ্যগুলোর বহু শহর বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছিল। এসব শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ ফের চালু করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ডেঙ্গুর মতো ভাইরাসজনিত অসুখ ছড়িয়ে পড়া রোধ করারও প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
সূত্র:বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম