ঢাকা ০৬:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাংবাদিক হাফিজের বাবার ইন্তেকাল: টিটিএনের শোক “গোলদীঘিতে ধরা পড়া কাতলা মাছটি ১১ কেজি নয়, প্রকৃত ওজন ৬ কেজি” আসছে “মন্থা”, কক্সবাজারে বৃষ্টি গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে: আঘাত হানবে মঙ্গল বা বুধবার প্রথম দিনই ধরা পড়ল আড়াই কেজির ইলিশ, ৯২০০ টাকায় বিক্রি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, কোথায়, কখন আঘাত হানতে পারে সবুজ ঘাসে ঢাকা চট্টগ্রামের উইকেট, কেমন হবে রান পাবনায় ট্রাকচাপায় বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩ কি হতে পারে: নির্বাচন, না নতুন অন্তর্বর্তী সরকার? ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছাড়লো বাসটার্মিনাল এলাকার বাসিন্দারা টেকনাফ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক: দলীয় লেজুড়বৃত্তির সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন উখিয়ায় পুলিশের পৃথক অভিযানে মিলল ১০ হাজার ইয়াবা ওপার থেকে ছোড়া গুলি পায়ে বিঁধলো নারীর খুনিয়া পালংয়ে চলন্তগাড়িতে ফিল্মি কায়দায় ডা’কা’তি, মোবাইলও টাকা ছিনতাই চকরিয়ায় ফের ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃ’ত্যু

কক্সবাজার নিয়ে গোলটেবিল কিন্তু স্থানীয়দের অংশগ্রহণ নেই: প্রতিবাদ

রয় জনগোষ্ঠীর জীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তা উন্নয়নে করণীয়’ গোলটেবিল বৈঠকে স্থানীয়দের অন্তর্ভুক্ত না করায় প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘আমরা কক্সবাজার কমিউনিটি অ্যালায়েন্স’ নামের ঢাকা ভিত্তিক কক্সবাজারবাসীদের একটি সংগঠন।

সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলে, উন্নয়ন সংস্থা আনন্দ, ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে এবং প্রথম আলোর উদ্যোগে ‘কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তা উন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এমন পদক্ষেপ কেবল দৃষ্টিকটু নয়, বরং আলোচনার মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে।

কক্সবাজারের মতো একটি বিশেষায়িত অঞ্চলের স্বার্থ নিয়ে যে কোনো আলোচনা স্থানীয় অংশগ্রহণ ছাড়া অসম্পূর্ণ। প্রথম আলোর মতো গণমাধ্যম জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করলেও, এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত না করার মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হারিয়েছে।
আমরা কক্সবাজার কমিউনিটি অ্যালায়েন্স গত কয়েক মাসে দু’টি সফল সংলাপ আয়োজন করেছি যেখানে স্থানীয় সমস্যা, সম্ভাবনা, ও করণীয় নিয়ে সরাসরি আলাপ হয়েছে। এসব সংলাপে সরকারি নীতিনির্ধারকরা উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

১. ভবিষ্যতে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আলোচনায় স্থানীয় প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. এ ধরনের বৈঠকে বৈষম্যমূলক অন্তর্ভুক্তি এড়িয়ে সবার জন্য ন্যায্য অংশগ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নীতি নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা না হলে ভুল বার্তা পৌঁছানোর আশঙ্কা থাকে।
বর্তমানে কক্সবাজারের স্থানীয়রা দেশ-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত, এবং তাঁদের অবদান অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। গোলটেবিল বৈঠকগুলোতে তাঁদের সম্পৃক্ত না করার প্রবণতা সংশ্লিষ্টতা ও কার্যকারিতার ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে।

আমরা গণমাধ্যম এবং আয়োজকদের আন্তরিক অনুরোধ জানাই, ভবিষ্যতে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় স্থানীয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে ন্যায়সঙ্গত, কার্যকর, ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

কক্সবাজার নিয়ে গোলটেবিল কিন্তু স্থানীয়দের অংশগ্রহণ নেই: প্রতিবাদ

আপডেট সময় : ০৭:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

রয় জনগোষ্ঠীর জীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তা উন্নয়নে করণীয়’ গোলটেবিল বৈঠকে স্থানীয়দের অন্তর্ভুক্ত না করায় প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘আমরা কক্সবাজার কমিউনিটি অ্যালায়েন্স’ নামের ঢাকা ভিত্তিক কক্সবাজারবাসীদের একটি সংগঠন।

সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলে, উন্নয়ন সংস্থা আনন্দ, ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে এবং প্রথম আলোর উদ্যোগে ‘কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তা উন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এমন পদক্ষেপ কেবল দৃষ্টিকটু নয়, বরং আলোচনার মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে।

কক্সবাজারের মতো একটি বিশেষায়িত অঞ্চলের স্বার্থ নিয়ে যে কোনো আলোচনা স্থানীয় অংশগ্রহণ ছাড়া অসম্পূর্ণ। প্রথম আলোর মতো গণমাধ্যম জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করলেও, এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত না করার মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হারিয়েছে।
আমরা কক্সবাজার কমিউনিটি অ্যালায়েন্স গত কয়েক মাসে দু’টি সফল সংলাপ আয়োজন করেছি যেখানে স্থানীয় সমস্যা, সম্ভাবনা, ও করণীয় নিয়ে সরাসরি আলাপ হয়েছে। এসব সংলাপে সরকারি নীতিনির্ধারকরা উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

১. ভবিষ্যতে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আলোচনায় স্থানীয় প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. এ ধরনের বৈঠকে বৈষম্যমূলক অন্তর্ভুক্তি এড়িয়ে সবার জন্য ন্যায্য অংশগ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নীতি নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা না হলে ভুল বার্তা পৌঁছানোর আশঙ্কা থাকে।
বর্তমানে কক্সবাজারের স্থানীয়রা দেশ-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত, এবং তাঁদের অবদান অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। গোলটেবিল বৈঠকগুলোতে তাঁদের সম্পৃক্ত না করার প্রবণতা সংশ্লিষ্টতা ও কার্যকারিতার ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে।

আমরা গণমাধ্যম এবং আয়োজকদের আন্তরিক অনুরোধ জানাই, ভবিষ্যতে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় স্থানীয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে ন্যায়সঙ্গত, কার্যকর, ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।