বরিশালের মুলাদী উপজেলায় কলেজে ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে’ ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে মুলাদী সরকারি কলেজে এ ঘটনা ঘটে বলে মুলাদী থানার ওসি সফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
আহতদের মধ্যে ছয়জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, “বুধবার কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ফল ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা কলেজে গিয়ে অনুষ্ঠানে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কেন জানতে চান।
“এক পর্যায়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে শিক্ষকরা দুপক্ষকে সরিয়ে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ক্যাম্পাসের আশেপাশে অবস্থান নেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।”
আহতরা মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন; হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি ওসি সফিকুল ইসলামের।
বরিশাল জেলা শিবিরের সভাপতি সাইয়েদ আহমেদ বলেন, “আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমাদের একটি ‘ক্যারিয়ার গাইড লাইন’ অনুষ্ঠান আছে। সেই অনুষ্ঠান সফল করতে জেলা ও উপজেলার শিবিরের দায়িত্বশীলরা মুলাদী কলেজে যান।
“তখন ছাত্রদলের উপজেলা ও কলেজ শাখার নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে আমাদের ১৫ থেকে ২০ জনকে পিটিয়ে আহত করেছেন। এর মধ্যে গুরুতর ছয়জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রশিবিরের এই নেতা।
অভিযোগ অস্বীকার করে মুলাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ঢালী বলেন, “ডাকসু নির্বাচনের পর থেকে পুরো কলেজ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে ছাত্রশিবির। শিবিরের নেতাকর্মীরা তারেক রহমানকে নিয়ে ‘কটূক্তি’ করলে তার প্রতিবাদ করেন ছাত্রদল কলেজ শাখার সভাপতি।
“পরে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা তাকে কলেজ থেকে বের করে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অন্য নেতাকর্মীরা গেলে ছাত্রশিবির আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আহত ছাত্রদলের সাত থেকে আটজন নেতাকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
ছাত্রশিবিরে বর্তমান নেতৃত্ব এক সময় ছাত্রলীগ করতেন দাবি করেন ছাত্রদল নেতা মহিউদ্দিন ঢালী।
সূত্র:বিডিনিউজ