ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফে মানব পাচারে ‘জিরো টলারেন্স’ বলছে বিজিবি পালংখালী জামায়াতের কর্মী সমাবেশে জেলা আমীর আনোয়ারী-ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দাঁড়ি পাল্লার বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন টেকনাফে ১৪ মামলার পলাতক আসামী মুন্না র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার বিএফইউজে’র নির্বাহী পরিষদের সভায় সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র কমিটি অনুমোদন কক্সবাজার সৈকতে ‘লোক সমুদ্র’ ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়নে কক্সবাজারে ৫টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন নৌবাহিনীর নারী নেতৃত্বকে জাতির গৌরব বললেন লুৎফুর রহমান কাজল কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সভায় বক্তারা: ‎কুতুবদিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটনের বিকল্প নেই ‎ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আস্থা গড়ার বদলে চাপ সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ চৌফলদন্ডীর আমজাদ হত্যার আসামী ছৈয়দ নুর গ্রেফতার সমুদ্রবন্দর থেকে নামল সতর্ক সংকেত রোহিঙ্গা সংকটে জাতিসংঘের দ্বৈত ন্যারেটিভ: কেন এই দ্বন্দ্ব? উখিয়া হাসপাতালের ২ টন ময়লা অপসারণ করলো বিডি ক্লিন টিম মাতারবাড়িতে শ্রমিক দলের সভাপতি মামুনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন মধ্যরাতে ইডেন গার্ডেনের ‘ছাদ থেকে পড়ে’ যুবকের মৃত্যু!

সৈকতের ‘প্রাণরক্ষা’ প্রকল্প শেষ হচ্ছে সেপ্টেম্বরেই!

সাগরের বিশাল নীল জল দিগন্তে গা ভাসাতে কিংবা সমুদ্রস্নান সারতে অসংখ্য মানুষ নামেন কক্সবাজার সৈকতে।

উত্তাল ঢেউয়ের টানে কখনো ভেসে যান দূরে, কখনো আটকে পড়েন গভীর স্রোতে। এই বিপদগ্রস্ত সময়ে ছুটে আসেন কিছু মানুষ। লাল-হলুদ পোশাক গায়ে, হাতে ভাসমান উদ্ধার সরঞ্জাম নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রতিটি ঢেউয়ের আড়ালে থাকে তাদের সতর্ক দৃষ্টি। তাদের প্রতিটি ছুটে যাওয়া মানেই একটি নতুন জীবন ফিরে পাওয়া।

প্রাণ বাঁচানোই যাদের পেশা, সৈকতের বালুতটে দাঁড়িয়ে অচেনা মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া যাদের নেশা তারাই হলেন লাইফগার্ড কর্মী অর্থাৎ প্রাণরক্ষক।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পর্যটকদের নিরাপত্তায় ২০১২ সালে শুরু হয় লাইফগার্ড কার্যক্রম। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে রয়াল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউট (আরএনএলআই)-এর অর্থায়নে “সি সেইফ লাইফগার্ড” নামে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। দক্ষ ২৭ জন কর্মী বিভিন্ন শিফটে সৈকতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তখন থেকেই।

পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত লাইফগার্ড কর্মীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে কাজ করার কারণে লাইফগার্ডিং তাদের পেশা ও নেশায় পরিণত হয়েছে। তাদের বিকল্প কোন আয়ের উৎসও নেই। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে কার্যক্রম বন্ধের উপক্রম হওয়ায় জীবন-জীবিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় তারা।

সি সেইফ লাইফগার্ড এর ফিল্ড টিম ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ জানিয়েছেন, তাদের কাছে যে অর্থ রয়েছে তা কেবল চলতি মাস পর্যন্ত চালিয়ে নেয়া যাবে প্রকল্পকে। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বিষয়টি নিয়ে।

লাইফগার্ড এর জ্যেষ্ঠ কর্মী মো: ওসমান আক্ষেপ করে বলেন, “আমাদের প্রত্যেকের ঘরে ৫/৭ জন করে সদস্য রয়েছে। অনেকের আয়ের একমাত্র উৎস এই লাইফগার্ড সেবা দেওয়া। তাই অর্থের অভাবে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের পরিবারগুলোতেও নেমে আসবে সংকট”

লামা থেকে এসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাইফ গার্ল সেবা প্রদান করছেন আবরাম ত্রিপুরা। তিনি বলেন, “আমি পাহাড়ি ছেলে, পাহাড় থেকে সমুদ্রে এসে মানুষের জন্য কাজ করতে পারায় আমি গর্ববোধ করি। একটা মানুষ ডুবে যাচ্ছে সেটা দেখলে আমরা নিজেরাও না ছুটে পারি না। কত ঝুঁকি নিয়ে জীবন বাঁচাই, সেটা কেউ জানে না। এখন যদি আমাদের কাজ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সাগরে মৃত্যুর মিছিল থামানোর কেউ থাকবে না।”

অর্থ সংকটে কক্সবাজার সৈকতের সবচেয়ে জননিরাপত্তার প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রমে পর্যটক ও স্থানীয়রাও উদ্বিগ্ন। তারা বলছেন, লাইফগার্ড কর্মীরা নিয়োজিত থাকার পরও মাঝে মধ্যে গোসলে নামা পর্যটকদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। যেখানে জনবল বাড়িয়ে নিরাপত্তার জোরদার করার কথা সেখানে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিল বাড়বে।

নোয়াখালী থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা ইনজামামুল হক বলেন, “আমরা সমুদ্রে নামি নিশ্চিন্তে, কারণ জানি লাইফগার্ড আছে। তারা না থাকলে পরিবার নিয়ে আর নামতেই পারবো না। এই কার্যক্রম কখনো বন্ধ হওয়া উচিত না।”

তিনি বলেন,“আমাদের সন্তানদের নিয়ে সৈকতে আসি। লাইফগার্ডদের জন্যই সাহস পাই সমুদ্রে নামতে। তাদের ছাড়া এই সৈকত আমাদের কাছে আর নিরাপদ থাকবে না।”

সী সেইফ লাইভ গার্ডের তথ্যমতে, গত এক বছরে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন পর্যটক। আর উদ্ধার করা হয়েছে ৭৮ জনকে। গত এক দশকে মারা গেছেন ৬৫ জন, আর তাদের উদ্ধার তৎপরতায় বেঁচে ফিরেছেন ৮০৭ জন।

প্রকল্পটির ফিল্ড টিম ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, গত ১১ বছর ধরে সী সেইফ লাইফগার্ড সংস্থাটি প্রকল্পাধীন কার্যক্রমের মাধ্যমে পর্যটকদের নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। গতবছর ডিসেম্বরেই প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু জেলা প্রশাসনের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রকল্পের প্রথমে ৬ মাস বাড়িয়ে জুন পর্যন্ত এবং পরে আরও ৩ মাস বাড়িয়ে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত করা হয়।

ইমতিয়াজ মনে করেন, অর্থের যোগান না হলে সেপ্টেম্বর শেষে বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই দীর্ঘদিনের লাইফগার্ড সেবা। তবে সাগর ও পর্যটকদের নিরাপত্তা রক্ষায় বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ঝুঁকি বহুগুণে বাড়বে।

তবে লাইফগার্ড কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জেলা প্রশাসন, মন্ত্রণালয় ও সচিবালয় পর্যায়ে আন্তরিকতার সাথে যোগাযোগ চলছে বলে জানান তিনি ।

ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে লাইফগার্ড সেবা কার্যক্রম অতীব জরুরি। কোনভাবেই এই সেবা কার্যক্রম বন্ধ হতে দেওয়া যাবে না। প্রকল্পটি চালু রাখতে জেলা প্রশাসন সরকারের সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে আবেদন জানিয়েছে। শীঘ্রই একটি ইতিবাচক বার্তা পাওয়ার আশা করছি।

বেসরকারি ভাবে লাইফগার্ড প্রকল্প পরিচালনার বিষয়টি নিয়েও কথা বলেছেনে অনেকে। কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল মন্নান বলেন, এতো গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রকল্প চলে বেসরকারি এনজিও দিয়ে, তাও আবার বারবার সংবাদ পেতে হয় টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে৷ বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি রয়েছে, তারও উপরে পর্যটন কর্পোরেশন আছে, তারা চাইলে প্রকল্পটিকে কিভাবে সরকারি অর্থায়নে নির্বিঘ্নে রাখা যায় সেটা দেখতে পারেন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে মানব পাচারে ‘জিরো টলারেন্স’ বলছে বিজিবি

This will close in 6 seconds

সৈকতের ‘প্রাণরক্ষা’ প্রকল্প শেষ হচ্ছে সেপ্টেম্বরেই!

আপডেট সময় : ০৬:৩১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাগরের বিশাল নীল জল দিগন্তে গা ভাসাতে কিংবা সমুদ্রস্নান সারতে অসংখ্য মানুষ নামেন কক্সবাজার সৈকতে।

উত্তাল ঢেউয়ের টানে কখনো ভেসে যান দূরে, কখনো আটকে পড়েন গভীর স্রোতে। এই বিপদগ্রস্ত সময়ে ছুটে আসেন কিছু মানুষ। লাল-হলুদ পোশাক গায়ে, হাতে ভাসমান উদ্ধার সরঞ্জাম নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রতিটি ঢেউয়ের আড়ালে থাকে তাদের সতর্ক দৃষ্টি। তাদের প্রতিটি ছুটে যাওয়া মানেই একটি নতুন জীবন ফিরে পাওয়া।

প্রাণ বাঁচানোই যাদের পেশা, সৈকতের বালুতটে দাঁড়িয়ে অচেনা মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া যাদের নেশা তারাই হলেন লাইফগার্ড কর্মী অর্থাৎ প্রাণরক্ষক।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পর্যটকদের নিরাপত্তায় ২০১২ সালে শুরু হয় লাইফগার্ড কার্যক্রম। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে রয়াল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউট (আরএনএলআই)-এর অর্থায়নে “সি সেইফ লাইফগার্ড” নামে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। দক্ষ ২৭ জন কর্মী বিভিন্ন শিফটে সৈকতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তখন থেকেই।

পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত লাইফগার্ড কর্মীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে কাজ করার কারণে লাইফগার্ডিং তাদের পেশা ও নেশায় পরিণত হয়েছে। তাদের বিকল্প কোন আয়ের উৎসও নেই। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে কার্যক্রম বন্ধের উপক্রম হওয়ায় জীবন-জীবিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় তারা।

সি সেইফ লাইফগার্ড এর ফিল্ড টিম ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ জানিয়েছেন, তাদের কাছে যে অর্থ রয়েছে তা কেবল চলতি মাস পর্যন্ত চালিয়ে নেয়া যাবে প্রকল্পকে। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বিষয়টি নিয়ে।

লাইফগার্ড এর জ্যেষ্ঠ কর্মী মো: ওসমান আক্ষেপ করে বলেন, “আমাদের প্রত্যেকের ঘরে ৫/৭ জন করে সদস্য রয়েছে। অনেকের আয়ের একমাত্র উৎস এই লাইফগার্ড সেবা দেওয়া। তাই অর্থের অভাবে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের পরিবারগুলোতেও নেমে আসবে সংকট”

লামা থেকে এসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাইফ গার্ল সেবা প্রদান করছেন আবরাম ত্রিপুরা। তিনি বলেন, “আমি পাহাড়ি ছেলে, পাহাড় থেকে সমুদ্রে এসে মানুষের জন্য কাজ করতে পারায় আমি গর্ববোধ করি। একটা মানুষ ডুবে যাচ্ছে সেটা দেখলে আমরা নিজেরাও না ছুটে পারি না। কত ঝুঁকি নিয়ে জীবন বাঁচাই, সেটা কেউ জানে না। এখন যদি আমাদের কাজ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সাগরে মৃত্যুর মিছিল থামানোর কেউ থাকবে না।”

অর্থ সংকটে কক্সবাজার সৈকতের সবচেয়ে জননিরাপত্তার প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রমে পর্যটক ও স্থানীয়রাও উদ্বিগ্ন। তারা বলছেন, লাইফগার্ড কর্মীরা নিয়োজিত থাকার পরও মাঝে মধ্যে গোসলে নামা পর্যটকদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। যেখানে জনবল বাড়িয়ে নিরাপত্তার জোরদার করার কথা সেখানে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিল বাড়বে।

নোয়াখালী থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা ইনজামামুল হক বলেন, “আমরা সমুদ্রে নামি নিশ্চিন্তে, কারণ জানি লাইফগার্ড আছে। তারা না থাকলে পরিবার নিয়ে আর নামতেই পারবো না। এই কার্যক্রম কখনো বন্ধ হওয়া উচিত না।”

তিনি বলেন,“আমাদের সন্তানদের নিয়ে সৈকতে আসি। লাইফগার্ডদের জন্যই সাহস পাই সমুদ্রে নামতে। তাদের ছাড়া এই সৈকত আমাদের কাছে আর নিরাপদ থাকবে না।”

সী সেইফ লাইভ গার্ডের তথ্যমতে, গত এক বছরে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন পর্যটক। আর উদ্ধার করা হয়েছে ৭৮ জনকে। গত এক দশকে মারা গেছেন ৬৫ জন, আর তাদের উদ্ধার তৎপরতায় বেঁচে ফিরেছেন ৮০৭ জন।

প্রকল্পটির ফিল্ড টিম ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, গত ১১ বছর ধরে সী সেইফ লাইফগার্ড সংস্থাটি প্রকল্পাধীন কার্যক্রমের মাধ্যমে পর্যটকদের নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। গতবছর ডিসেম্বরেই প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু জেলা প্রশাসনের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রকল্পের প্রথমে ৬ মাস বাড়িয়ে জুন পর্যন্ত এবং পরে আরও ৩ মাস বাড়িয়ে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত করা হয়।

ইমতিয়াজ মনে করেন, অর্থের যোগান না হলে সেপ্টেম্বর শেষে বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই দীর্ঘদিনের লাইফগার্ড সেবা। তবে সাগর ও পর্যটকদের নিরাপত্তা রক্ষায় বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ঝুঁকি বহুগুণে বাড়বে।

তবে লাইফগার্ড কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জেলা প্রশাসন, মন্ত্রণালয় ও সচিবালয় পর্যায়ে আন্তরিকতার সাথে যোগাযোগ চলছে বলে জানান তিনি ।

ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে লাইফগার্ড সেবা কার্যক্রম অতীব জরুরি। কোনভাবেই এই সেবা কার্যক্রম বন্ধ হতে দেওয়া যাবে না। প্রকল্পটি চালু রাখতে জেলা প্রশাসন সরকারের সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে আবেদন জানিয়েছে। শীঘ্রই একটি ইতিবাচক বার্তা পাওয়ার আশা করছি।

বেসরকারি ভাবে লাইফগার্ড প্রকল্প পরিচালনার বিষয়টি নিয়েও কথা বলেছেনে অনেকে। কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল মন্নান বলেন, এতো গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রকল্প চলে বেসরকারি এনজিও দিয়ে, তাও আবার বারবার সংবাদ পেতে হয় টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে৷ বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি রয়েছে, তারও উপরে পর্যটন কর্পোরেশন আছে, তারা চাইলে প্রকল্পটিকে কিভাবে সরকারি অর্থায়নে নির্বিঘ্নে রাখা যায় সেটা দেখতে পারেন।