৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকীর দিনে কক্সবাজার ‘ভ্রমণে’ আসা এনসিপির শীর্ষ নেতারা ঢাকায় ফিরে গেছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার পর এনসিপি নেতারা ঢাকায় ফেরার তথ্য দিয়েছেন দলটির স্থানীয় সংগঠকরা।
কক্সবাজার এনসিপির অন্যতম সংগঠক খালিদ বিন ওয়ালিদ জানান, রাতে ১২ টার দিকেই তারা চলে গেছেন। সড়ক পথেই ফিরেছেন চার শীর্ষ নেতা। আর বৃহস্পতিবার সকালেই সস্ত্রীক কক্সবাজার ছাড়েন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইজের ব্যবস্থাপক ইয়াকুব আলী বলেন, রাত সাড়ে ১২টার পরপরই তারা দুটি গাড়িযোগে হোটেল ছাড়েন।
“এর আগে বেলা ১২টা পর্যন্ত হোটেল কক্ষ বুকিং রেখেছিলেন। সকালে দুজন সস্ত্রীক ঘুরতে বের হলেও রাতে হোটেলে ফিরেননি। অন্যরা হোটেলে অবস্থান করছিলেন। পরে তারাও রাতে চলে যান”
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ করেই অনেকটা ‘গোপনে’ কক্সবাজার ‘ঘুরতে’ আসেন এনসিপির শীর্ষ পাঁচ নেতা—হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, তাসনিম জারা, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, খালিদ সাইফুল্লাহ এবং সারজিসের স্ত্রী আয়শা খানম।
এরপর খবর রটে উখিয়ার ইনানীস্থ সী পার্ল হোটেলে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাথে বৈঠকের। ওই হোটেলে রাত্রী যাপন করলেও সেখানে কোনো বিদেশি নাগরিকের অবস্থান ছিলোনা বলে দাবী করেন হোটেলটির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
‘গোপন বৈঠকের’ খবর যখন চারদিকে চাউর তখন নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী গণমাধ্যমে জানান, তারা ঘুরতে এসেছেন, কারো সাথে বৈঠক করতে নয়।
পরে বুধবার দুপুরে এনসিপি নেতারা হোটেল পরিবর্তন করে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টসংলগ্ন হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইজে ওঠেন।