ঢাকা ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা কখন? কক্সবাজারে ছিনতাইয়ে জড়িত পুলিশের ‘সাবেক সদস্য’ আটক শহরের সমিতিপাড়ায় আগুনে পুড়েছে ২ দোকান :১১ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি শেষ হলো চাকসুর ভোট গ্রহণ:চলছে গণনা ছাত্র প্রতিনিধি-সাংবাদিক মিলে টেকনাফে ‘চেয়ারম্যান ও প্রশাসক’ পদ দেয়ার কথা বলে কোটি টাকার বানিজ্য! জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি, এখান থেকে শুরু করুন: চবি উপাচার্য চাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু সীমান্তে ফের মাইন বিস্ফোরণ, মিয়ানমার নাগরিক নিহত- বাংলাদেশি আহত চকরিয়া হারবাং ইউনিয়ন ছাত্রদলের আংশিক কমিটি গঠিত তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে সাঁতার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন ৬ বছরে ২৫ হত্যাকান্ড: বদরখালীতে পুলিশ ফাঁড়ি পুনঃস্থাপনের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন উখিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্র ও মাদক কারবারি এনায়েত উল্লাহ আটক চার পিস ইয়াবা ধরতে উখিয়ার ওসির ‘আলোচিত অভিযান’ দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশনের আজীবন সদস্য পদ থেকে মাহাবুবুর রহমান চৌধুরীর পদত্যাগ টিটিএন পরিবারের শোক: সাংবাদিক আনসার হোসেনের সহধর্মিণী আর নেই

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের ৭১ নাগরিক ফিরলো স্বদেশে

বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রয় নেওয়ার পর স্বেচ্ছায় নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে গেছেন তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ১৫টি পরিবার।

৩৪ বিজিবির তত্ত্বাবধানে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে ফেরত পাঠানো হয় বলে জানিয়ছে বিজিবি।

২২ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রথম দফায় ১০টি পরিবার এবং বুধবার (২৩ জুলাই) দ্বিতীয় দফায় আরও ৫টি পরিবার ফিরে যায়। দুই দিনে মোট ৭১ জন তঞ্চঙ্গ্যা নাগরিক সীমান্ত পিলার ৩৭-এর ‘আমবাগান’ এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরে যান।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাত চলছে বছর দুয়েকধরে, ফলে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বেশ কয়েকটি তঞ্চঙ্গ্যা পরিবার বাংলাদেশে পালিয়ে এসে ঘুমধুমের বাইশফাঁড়ী তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় আশ্রয় নেয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিজ এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত হওয়ায় তারা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

বিজিবি জানিয়েছে, প্রত্যাবর্তনকারী পরিবারগুলোর তালিকায় রয়েছে, ২২ জুলাই ৪৮ জন এবং ২৩ জুলাই ২৩ জন।

কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের ৩৪ বিজিবির তত্ত্বাবধানে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে এবং সম্মানজনক পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এস এম খাইরুল আলম জানান, মিয়ানমারের ৭১ জন নাগরিককে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে,তাদের উপর কোনো বলপ্রয়োগ করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, এসব পরিবার নিজ ইচ্ছায় স্বদেশে ফিরে গেছে, দীর্ঘদিনধরে তাঁদেরকে মিয়ানমারে ফেরত চলে যাওয়ার জন্য বিজিবি
তাঁদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করে,পরে তারা রাজি হলে দুইদিনে ৭১ জনকে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়৷ এতদিন তারা বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্তের তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় এসে আশ্রয় নিয়েছিলো।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের ৭১ নাগরিক ফিরলো স্বদেশে

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রয় নেওয়ার পর স্বেচ্ছায় নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে গেছেন তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ১৫টি পরিবার।

৩৪ বিজিবির তত্ত্বাবধানে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে ফেরত পাঠানো হয় বলে জানিয়ছে বিজিবি।

২২ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রথম দফায় ১০টি পরিবার এবং বুধবার (২৩ জুলাই) দ্বিতীয় দফায় আরও ৫টি পরিবার ফিরে যায়। দুই দিনে মোট ৭১ জন তঞ্চঙ্গ্যা নাগরিক সীমান্ত পিলার ৩৭-এর ‘আমবাগান’ এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরে যান।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাত চলছে বছর দুয়েকধরে, ফলে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বেশ কয়েকটি তঞ্চঙ্গ্যা পরিবার বাংলাদেশে পালিয়ে এসে ঘুমধুমের বাইশফাঁড়ী তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় আশ্রয় নেয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিজ এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত হওয়ায় তারা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

বিজিবি জানিয়েছে, প্রত্যাবর্তনকারী পরিবারগুলোর তালিকায় রয়েছে, ২২ জুলাই ৪৮ জন এবং ২৩ জুলাই ২৩ জন।

কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের ৩৪ বিজিবির তত্ত্বাবধানে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে এবং সম্মানজনক পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এস এম খাইরুল আলম জানান, মিয়ানমারের ৭১ জন নাগরিককে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে,তাদের উপর কোনো বলপ্রয়োগ করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, এসব পরিবার নিজ ইচ্ছায় স্বদেশে ফিরে গেছে, দীর্ঘদিনধরে তাঁদেরকে মিয়ানমারে ফেরত চলে যাওয়ার জন্য বিজিবি
তাঁদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করে,পরে তারা রাজি হলে দুইদিনে ৭১ জনকে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়৷ এতদিন তারা বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্তের তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় এসে আশ্রয় নিয়েছিলো।