শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, ঈদগাঁও :
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের কালির ছড়া শিয়া পাড়া বড়ই কাটা এলাকা থেকে মং জং মারমা নামের এক উপজাতি যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
১৮ মে বুধবার দিবাগত রাতে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।নিহত মং জং মারমা বান্দরবান জেলার লামা ফাঁসিয়া খালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাপের গাড়া এলাকার মৃত থিম সং মারমার ছেলে।
নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। একইদিন ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত ১২ টার দিকে স্থানীয় এলাকাবাসী মারফত খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার পূর্বক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে।
প্রতিবেদন তৈরীকারী ঈদগাঁও থানার উপ পরিদর্শক মোঃ শফিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের শরীরে বৈদ্যুতিক শটের চিহ্ন রয়েছে।প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে প্রাণ গেছে। একই দিন ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ বা মামলা দায়ের করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান থানার এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, কালির ছড়া শিয়া পাড়া এলাকার জনৈক ব্যক্তি পশু প্রাণী থেকে নিজেদের চাষকৃত ধান রক্ষায় বনের ভিতরে বৈদ্যুতিক জিও তার লাগিয়েছে। এমন সময়ে নিহত মং জং মারমাসহ তার আরো ২ সহযোগী বনের ভিতরে প্রাণী শিকার করতে আসে। এ সময় মং জং মারমা তারে জড়িয়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায়।তার অবস্থা বেগতিক দেখে অপর দুই সহযোগী পালিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা।
অপরদিকে বনের ভিতর বৈদ্যুতিক তার লাগিয়ে বণ্যপ্রাণী হত্যার উদ্দেশ্যে যারা এমন অনৈতিক ও অমানবিক কাজ করে আসছে তাদের তালিকা করেছে বন বিভাগ।
ঈদগাঁও মেহের ঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলাম টিটিএনকে বলেন,’ ইতিপূর্বে বনের ভিতর বৈদ্যুতিক তার বসিয়ে যারা বণ্যপ্রাণী হত্যা করে তাদের নাম ঠিকানা উপজেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। এবং তাদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ অভিযান শুরু করছে জানিয় তিনি আরো বলেন, বিট কর্মকর্তা, ভিলেজার, হেডম্যানদের নিয়ে টিম গঠন করা হয়েছে।