কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রামের এভার কেয়ার হাসপাতালে রহিম উদ্দিন সিকদার মারা যান বলে জানায় তার পরিবার।
রহিম উদ্দিন সিকদার ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমানের ভাই।
শফিকুর রহমান বলেন, “গেলো রোববার রাতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার আপন ভাইদের মারধর করা হয়। পরে মূমূর্ষ অবস্থায় তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়। এসময় রহিম সিকদারের অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে চট্রগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো।”
“আব্দুল আল নোমান, তার জামাতা মিজান, মুজিব, এনাম নামের স্থানীয়রা মিলে হামলা চালায় আমার ভাইদের উপর”- বলেন শফিকুর রহমান।
শফিকুর রহমান দাবী করেন এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল আল নোমান স্থানীয় ফাতেরঘোনা ইউনিট জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি।
আর মারা যাওয়া রহিম উদ্দিন সিকদার বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন বলে জানান জেলা যুবদলের সভাপতি সৈয়দ আহম্মেদ উজ্জল।
উজ্জ্বল বলেন, রহিম উদ্দিন ভারুয়াখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি, বর্তমানে ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তিনিও দাবী করেন অভিযুক্ত আব্দুল আল নোমান ফাতেরঘোনা ইউনিট জামাতে ইসলামী সভাপতির।
অভিযুক্তকে জামায়াত নেতা হিসেবে দাবীর প্রেক্ষিতে টিটিএন কথা বলেছে কক্সবাজার সদর উপজেলা জামায়াতের আমির খোরশেদ আলমের সাথে। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাবে দাবী করেন আব্দুল আল নোমান নামের কেউ সদর উপজেলার কোনো ইউনিটে জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত নয়।
খোরশেদ আলম বলেন, “এটি মসজিদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ। রাজনৈতিক কোনো বিরোধ থেকে হামলার ঘটনা ঘটেনি। হামলাকারী যদি জামায়াতের হয়েও থাকে সে সেখানে মুসল্লি হিসেবে গেছে জামায়াতের কেউ হিসেবে যায়নি।”
“আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করছি। একটা স্থানীয় জমি বিরোধের ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ মেশানো উচিৎ নয়” – বলেন সদর উপজেলা জামায়াতের আমির।
তবে একাধিক বিএনপি নেতাকর্মী এঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা অভিযুক্তকে জামায়াত নেতা দাবী করেছেন এবং রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তার বিভিন্ন ছবি সরবরাহ করেছেন।
যুবদল নেতা কানন বড়ুয়া বলেন, হামলার শিকার সকলেই বিএনপির নেতাকর্মী। তাদের পরিবারটাই বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত৷ স্থানীয় সামাজিক বিষয় বলেই তাদের উপর রাজনৈতিক জায়গা থেকেই হামলা করা হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান জানান, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল আল নোমান এর জামাতা মিজানকে আটক করা হয়েছে।