পাবলিক লাইব্রেরিকে বলা হয় জনতার বিশ্ববিদ্যালয়,যেখান থেকে সাধারণ মানুষ জ্ঞানার্জনের সুযোগ পায়।
চকরিয়া পাবলিক লাইব্রেরি বা গণগ্রন্থাগার দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।গণগ্রন্থাগারের ভিতরে ও আশপাশে ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে।একটু বৃষ্টি হলে গণগ্রন্থাগারে যাওয়া আসা করার সড়কে পানি জমে যায় এবং সড়কটির উপর নানা ময়লার স্তূপ পড়ে আছে।
চকরিয়া আদালতের বাউন্ডারি ঘেষা দক্ষিণ পাশে এই পাবলিক লাইব্রেরির অবস্থান।দুইপাশে ও পিছনে রয়েছে সরকারী নানা প্রতিষ্ঠান।আশপাশে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।সবকিছু মিলিয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পাবলিক লাইব্রেরিটির অবস্থান হলেও দীর্ঘদিন ধরে নানা অজুহাতে বন্ধ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
চকরিয়া উপজেলা ছাত্র প্রতিনিধি মোবারক হোসেন জিহান,মুবিনুল ইসলাম নামে এক শিক্ষক ও স্থানীয়রা জানায়-পাবলিক লাইব্রেরির প্রায় ৫০০ গজ উত্তরে চকরিয়া সিটি কলেজ,তারপাশে চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় সহ আরো অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।এছাড়াও পৌর এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, নানা পেশার মানুষ গণগ্রন্থাগারে নিয়মিত বই বড়তে আসতো।বর্তমানে গণগ্রন্থাগার বন্ধ থাকায় তারা জ্ঞানার্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ছাত্র, তরুন ও যুব সমাজ মোবাইলের গেইম এবং ইন্টারনেটে আসক্ত তাই তাদের এ পথ থেকে ফেরাতে পাবলিক লাইব্রেরি চালু করা প্রয়োজন।তারা আরো বলেন-১৮টি ইউনিয়ন একটি পৌরসভা নিয়ে চকরিয়া উপজেলা গঠিত।বিশাল এই জনগোষ্ঠীর স্বার্থে দ্রুত পাবলিক লাইব্রেরটি পূণরায় সচল করার দাবি ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,২০২৩ সালে পাবলিক লাইব্রেরিটি বন্ধ হওয়ার আগে প্রতিদিন অসংখ্য বই প্রেমীদের ভীড় থাকতো।বর্তমানে লাইব্রেরির ভিতরে ঢেউ টিন ও পাইপ সহ পাবলিক লাইব্রেরির পূর্বের আসবাবপত্র রাখা রয়েছে।গত দুই বছরে এই লাইব্রেরির উন্নয়ন ও চালুর বিষয়ে কোনও উদ্যোগই দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, তিনি আসার আগে থেকেই পাবলিক লাইব্রেরিটি বন্ধ রয়েছে।আবারো চালু করার জন্য তিনি উদ্যোগ নিচ্ছেন।লাইব্রেরির ভেতরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই।রাস্তার সংস্কার করতে হবে।আগামী তিন চার মাসের মধ্যে সচল করা হবে।