তানভীর শিপু:
উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া থেকে অভিযান চালিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের ১১১ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫।
১৫ অক্টোবর (রবিবার) রাতে উদ্ধারের পর সোমবার বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল এন্ড মিডিয়া) মোহাম্মদ আবু সালাম চৌধুরী।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী জানান, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সালেহ আহমেদ এর সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে র্যাব সদস্যরা ১১১ বস্তা চাল উদ্ধার করেন। যাতে প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি করে মোট ৩৩৩০ কেজি চাল রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, পরিত্যক্ত অবস্থায় চালগুলো র্যাব উদ্ধার করলে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে উদ্ধারকৃত চাল রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করেছেন।
তবে এই চাল কারা সংরক্ষণ করেছিলো সে ব্যাপারে অভিযান সংশ্লিষ্ট কারো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি আলোচনায় আসার পর স্থানীয় সূত্রে উঠে আসে উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ আলমগীরের পিতা মোজাহের কোম্পানির নাম।
মোজাহের কোম্পানির দাবী তার আরেক ছেলে সিরাজ চালগুলো ক্রয় করেছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান,
সিরাজ ও তার ছোট ভাই আলমগীর মিলে জনৈক আরিফ সহ স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এই চালগুলো কমদামে কিনে মুনাফার আশায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদারের কাছে বিক্রির
জন্য নিজেদের ঘরে সংরক্ষণ করেছিলেন।
এব্যাপারে জানতে চেয়ে আলমগীরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের বেশ কবার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেন’নি।
দুইদিন পরও এমন চাঞ্চল্যকর চালকান্ডে মামলা হয়নি বলে জানা গেছে।