নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯৮৪ সাল, একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষিত ছেলে কক্সবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন করবেন- তিনি হলেন নুরুল আবছার।
ভোটের সময় সুদূর সাতকানিয়া থেকে এসে নুরুল আবছারের পাশে দাঁড়ালেন বীরমুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম বিন খলিল (পরবর্তীতে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন)।
ভোটের দিন সবকেন্দ্রের ফলাফলে নুরুল আবছার ১ হাজার ভোটে পিছিয়ে,বাকী ছিলো টেকপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ফলাফল, সেখানে ঘটলো বিপত্তি।
ফলাফল ঘোষণা দেয়া হচ্ছিলোনা,ফলাফল কেন্দ্র থেকে নিয়ে যাওয়া হবে।
ফলে নুরুল আবছারের নিশ্চিত পরাজয় হবে বলে গুঞ্জন উঠলো।
এমন সময় বীরমুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম খলিল টেকপাড়া কেন্দ্রে এসে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বাধ্য করেন ফলাফল ঘোষণা করতে এবং ঘোষিত ফলাফলে নুরুল আবছার মাত্র ১২৬ ভোটে পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
নুরুল আবছার প্রথম পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম খলিলের সহযোগিতায়,আবার ৪০ বছর পর সদর উপজেলা পরিষদের প্রথমবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সেই ইব্রাহিম খলিলের ভাগ্নে মেয়র মাহাবুবুর রহমানে অক্লান্ত পরিশ্রমে। কি কাকতালীয়!
একজন মানুষের বিজয়ে মামা ও ভাগ্নের অবদান,৪০ বছরের ব্যবধানে মামার মতো ভাগ্নে মাহাবুবও নুরুল আবছারের বিজয়ের কারণ হলো।
তবে আরেকটা বিষয় উল্লেখযোগ্য যে, সেদিন নুরুল আবছারের প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন প্রয়াত এ কে এম মোজাম্মেল হক।
আজ ৪০ বছর পর সেই মোজাম্মেল হকের সন্তানরাই নুরুল আবছার কে নিরংকুশ সমর্থন দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান বানালেন।