টিটিএন স্পোর্টস:
রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনা, এসি মিলান-ইন্টার মিলান, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-লিভারপুল ক্লাব ফুটবলে এমন দ্বৈরথ অনেক আছে। প্রসঙ্গ যদি হয় আন্তর্জাতিক ফুটবল, তাহলে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দ্বৈরথ নিঃসন্দেহে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার। দক্ষিণ আমেরিকার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ১১০ বার। কিছুটা এগিয়ে ব্রাজিলই, ৪৩টি ম্যাচ জিতেছে পেলে-সক্রেটিস-রোনালদো-রোনালদিনিও-নেইমারদের ব্রাজিল। ম্যারাডোনা-মেসিদের আর্জেন্টিনা জিতেছে ৪১টি ম্যাচ। ২৬টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
কিন্তু বড় বা ছোটদের খেলা মিলিয়ে ২০২১ সাল থেকে হিসাবটা আর্জেন্টিনার পক্ষে একচেটিয়া। কোপা আমেরিকা, বিশ্বকাপ বাছাই, অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ, অলিম্পিক বাছাই—কোথাও যেন আর্জেন্টিনার কাছে পাত্তা পাচ্ছে না ব্রাজিল। লিওনেল মেসি-আনহেল দি মারিয়াদের আর্জেন্টিনা যেমন নেইমার-রদ্রিগোদের ব্রাজিলের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে, তেমনি বয়সভিত্তিক ফুটবলে এনদ্রিক-কেনেডিদের পেছনে ফেলছে এচেভেরি-আলমাদাদের আর্জেন্টিনার ছোটদের দল।
ব্রাজিলে ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকার সেমিফাইনাল ম্যাচটি যেন বেশি করে তাতিয়ে দিয়েছিল মেসি-দি মারিয়াদের। বেলো হরিজন্তের বিতর্কিত রেফারিংয়ের সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ব্রাজিল। পরে পেরুকে ৩-১ গোলে হারিয়ে জেতে শিরোপা। ২০১৯-এর কোয়ার্টার ফাইনালের পর ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার জাতীয় দল আবার মুখোমুখি হয় ২০২১ সালে। সেখান থেকেই প্রতিশোধ নেওয়া আর ব্রাজিলের ওপর আর্জেন্টিনার ছড়ি ঘোরানোর শুরু।
২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে সেবারের কোপা আমেরিকা হয় পরের বছর। ভেন্যু বদলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয় ব্রাজিলে। সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। ১-০ গোলে সেই ফাইনাল জিতে ব্রাজিলিয়ানদের আরেকটি মারাকানাজো ‘উপহার’ দেন মেসিরা।