নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য উখিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে তিন পদে মনোনয়ন জমা দেওয়া ১৩ প্রার্থী সবারই মনোনয়ন গৃহীত হয়েছে।
বৈধতা পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে দুই পরিবার থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৫ সদস্য।
হলদিয়া পালং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি শাহ আলম লড়ছেন চেয়ারম্যান পদে, তাঁর দুই ভাতিজা বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও উখিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ ভাইস চেয়ারম্যান পদে করছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
আপন সহোদর জাহাঙ্গীর ও মামুন প্রার্থী হওয়ায় সাধারণ ভোটারদের মাঝে বিষয়টি আলোচনার জন্ম দিয়েছে, পাওয়া গেছে ভিন্নমত।
স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনগুলোর ইতিহাসে আছে, কেন্দ্রে এজেন্ট বাড়ানোর লক্ষ্যে অনেক প্রার্থী নিজেদের স্বজনদের ডামী প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড় করান।
এমন কৌশলি রীতির প্রভাব দুই ভাইয়ের প্রার্থীতার উপর অনেকে দেখলেও বাস্তবতা বলছে অন্য কথা, পারিবারিক বিরোধের জেরেই তারা লড়ছেন একে অন্যের বিরুদ্ধে।
“একটা পরিবারকে ধংস করার জন্য
পরিবারে একজন অস্থির,অশান্ত,মুনাফেক,মুর্খ,
বাটপার,খারাপ মানসিকতার মানুষ ই যথেষ্ট।” সম্প্রতি ফেসবুকে এমন স্ট্যাটাস দেন মামুনুর রশীদ, পরিবারের কোন সদস্য সেটি উল্লেখ না করলেও নেটিজেনরা ধরেই নিয়েছেন তিনি তার বড় ভাইকে উদ্দেশ্য করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভোটার জানান, ” প্রথমে মনে করেছিলাম, বড় ভাইয়ের ডামী হিসেবে ছোট ভাই দাঁড়িয়েছে। পরে দেখলাম জমি-জমা নিয়ে বিরোধের কারণে তারা প্রতিপক্ষ, ভোট করছেন আলাদাভাবে।”
জাহাঙ্গীর ও মামুনকে এব্যাপারে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অন্যদিকে চেয়ারম্যান পদে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়নের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন তার আপন চাচা উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলম চৌধুরী।
ভোটের মাঠে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর তৎপরতা চোখে পড়ার মতো হলেও অনেকটাই নিরব জাফর আলম চৌধুরী, তবে তিনিও জানান দিয়েছেন তার প্রার্থীতা।
পরিবারের সদস্যদের মধ্যকার ভোটের লড়াই শেষ পর্যন্ত থাকবে কিনা? তা স্পষ্ট হতে অপেক্ষা করতে হবে ১২ মে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত।
১৩ মে প্রতীক বরাদ্দের পর দেখা যাবে প্রার্থীদের চূড়ান্ত প্রচারণা। এ উপজেলার ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩১২ জন ভোটার, ২৯ মে ৬২ কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ইভিএমে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে মত দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।