ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে: জাতিসংঘে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মহেশখালী উপজেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত কক্সবাজারে সম্পন্ন হয়েছে ‘জেন্ডার এটিকেট’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অস্ত্রসহ গ্রেফতার মুবিনুল যুবদলের কেউ নয় দাবী মহেশখালীতে যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ আটক এক ২৪ ঘন্টায় ৬০ জন ‘শয়তান শিকার’ কক্সবাজার পুলিশের! কক্সবাজারে জাতীয় ফলমেলা ২০২৫ এর উদ্বোধন আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’ সংসদ নির্বাচন থেকে উঠে যাচ্ছে পোস্টার : ইসি অপারেশন ডেভিল হান্ট: মহেশখালীতে আঃলীগের ৬ নেতাকর্মী আটক গুমের জন্য কারা দায়ী, শনাক্ত করেছে কমিশন আদালত অবমাননা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত শুনানি আজ বাংলাদেশে গ্যাস সরবরাহ ও বায়ুদূষণ মোকাবিলায় ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক বিক্ষুব্ধ সাগর: ট্রলার ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হচ্ছে জেলেরা পরিবেশের ক্ষতি করে কোনও উন্নয়ন নয়: প্রধান উপদেষ্টা

৭০০ জন যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু

অবশেষে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ৭০০ জন যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে এমভি বার আউলিয়া জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন। তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনে যাত্রা সাধারণত নভেম্বর থেকে শুরু হয়। সরকারের নানা সিদ্ধান্তের কারণে এবছর আজকেই জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। পরিবেশ রক্ষার জন্য নানা নিয়মকানুন মানতে হবে পর্যটকদের। যেখানে কোন পলিথিন এবং প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে না। সেন্টমার্টিনে যেতে পর্যটকদের প্রয়োজন হচ্ছে ট্রাভেল পাস। ট্রাভেল পাস নিয়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এ্যাপস তৈরি করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে চলাচলের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত যাত্রী সংকটের কারণে নির্ধারিত ‘কেয়ারি সিন্দবাদ’ জাহাজটি ছেড়ে যায়নি।

এদিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে শনিবার থেকে কাজ শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ১০ টিম। তারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাহাজ মনিটরিং, স্ক্যানিংসহ অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবে।

সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কোনো পর্যটককে পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিক নিয়ে জাহাজে উঠতে দেওয়া হয়নি না। আজকে প্রায় ৭০০ মতো পর্যটক নিয়ে এমভি বার আউলিয়া জাহাজ এ মৌসুমে প্রথমবারের মতো সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিনে যাতায়াতের জন্য তিনটি জাহাজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে যাচাই-বাছাই করে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রতিবছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। বাকি ছয় মাস সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সম্প্রতি নাফ নদে ডুবোচর জেগে ওঠার কারণে নাব্য সংকটে ও মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির কারণে আপাতত টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।

১৯ নভেম্বর পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে সেন্টমার্টিনের পর্যটক নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন এবং একই সঙ্গে কক্সবাজার থেকে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপগামী জাহাজ চলাচল নিয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কমিটির কর্মপরিধি হিসেবে বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে ওঠার আগে পর্যটকদের জাহাজ ছাড়ার জায়গা, অর্থাৎ এন্ট্রি পয়েন্টে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তৈরি অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে ট্রাভেল পাস নিতে হবে। পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণ নিশ্চিত করবে কমিটি।

পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটি কঠোর থাকবে। পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছানোর পর কোন হোটেলে থাকবেন, তা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি রেজিস্টারে সংরক্ষণ করা হবে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

৭০০ জন যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু

আপডেট সময় : ০৫:৫০:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

অবশেষে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ৭০০ জন যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে এমভি বার আউলিয়া জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন। তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনে যাত্রা সাধারণত নভেম্বর থেকে শুরু হয়। সরকারের নানা সিদ্ধান্তের কারণে এবছর আজকেই জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। পরিবেশ রক্ষার জন্য নানা নিয়মকানুন মানতে হবে পর্যটকদের। যেখানে কোন পলিথিন এবং প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে না। সেন্টমার্টিনে যেতে পর্যটকদের প্রয়োজন হচ্ছে ট্রাভেল পাস। ট্রাভেল পাস নিয়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এ্যাপস তৈরি করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে চলাচলের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত যাত্রী সংকটের কারণে নির্ধারিত ‘কেয়ারি সিন্দবাদ’ জাহাজটি ছেড়ে যায়নি।

এদিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে শনিবার থেকে কাজ শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ১০ টিম। তারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাহাজ মনিটরিং, স্ক্যানিংসহ অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবে।

সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কোনো পর্যটককে পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিক নিয়ে জাহাজে উঠতে দেওয়া হয়নি না। আজকে প্রায় ৭০০ মতো পর্যটক নিয়ে এমভি বার আউলিয়া জাহাজ এ মৌসুমে প্রথমবারের মতো সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিনে যাতায়াতের জন্য তিনটি জাহাজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে যাচাই-বাছাই করে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রতিবছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। বাকি ছয় মাস সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সম্প্রতি নাফ নদে ডুবোচর জেগে ওঠার কারণে নাব্য সংকটে ও মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির কারণে আপাতত টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।

১৯ নভেম্বর পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে সেন্টমার্টিনের পর্যটক নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন এবং একই সঙ্গে কক্সবাজার থেকে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপগামী জাহাজ চলাচল নিয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কমিটির কর্মপরিধি হিসেবে বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে ওঠার আগে পর্যটকদের জাহাজ ছাড়ার জায়গা, অর্থাৎ এন্ট্রি পয়েন্টে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তৈরি অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে ট্রাভেল পাস নিতে হবে। পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণ নিশ্চিত করবে কমিটি।

পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটি কঠোর থাকবে। পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছানোর পর কোন হোটেলে থাকবেন, তা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি রেজিস্টারে সংরক্ষণ করা হবে।

This will close in 6 seconds