ইসরায়েলের তাদের হাতে আটকের পর মারা যাওয়া আরও ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দির মৃতদেহ অবরুদ্ধ গাজায় ফেরত পাঠিয়েছে।
শুক্রবার রেডক্রসের মাধ্যমে ফেরত পাঠানো এসব ফিলিস্তিনিদের কারও কারও শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে বলে আল জাজিরা জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের এসব দেহাবশেষ ফেরত আসার দিনটিতেও ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় চলমান নড়বড়ে যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে চালানো এসব হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।
গাজার পূর্বাঞ্চলীয় শুজায়ে এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে এক ফিলিস্তিনি নিহত ও তার ভাই আহত হন। বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে আরেক ফিলিস্তিনি নিহত হন। আর ইসরায়েলি বাহিনীর আগের গোলাবর্ষণে আহত তৃতীয় আরেকজন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
গাজার দমকল বাহিনীর কর্মীরা জানিয়েছেন, ছিটমহলটির মধ্যাঞ্চলীয় আয-যাহার এলাকার আবু মাদিয়ান পরিবারের বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে তারা এক ফিলিস্তিনির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
এই এলাকার পাশাপাশি এ দিন ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের ভবনগুলোতেও আঘাত হেনেছে।
অক্টোবরের প্রথমদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্যোগে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি-বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়। এই চুক্তির আওতায় বন্দি মৃত ফিলিস্তিনের দেহাবশেষ ফেরত দিয়েছে ইসরায়েল।
এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই নিয়ে ইসরায়েল মোট ২২৫ জন মৃত ফিলিস্তিনি বন্দির দেহাবশেষ ফেরত দিল। মেডিকেল টিমগুলো সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত মান অনুযায়ী এসব দেহাবশেষ শনাক্ত করতে কাজ করছে। শনাক্তকরণ শেষ হলে বিস্তারিত তথ্য নথিভুক্ত করার পর মৃতদের পরিবারগুলোকে লাশ নেওয়ার জন্য খবর দেওয়া হবে।
ইসরায়েলের কারাগারগুলোতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি আছে। তাদের অনেককেই বিনাবিচারে আটকে রাখা হয়েছে। কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর ইসরায়েলিদের নির্যাতনের অভিযোগ কয়েক বছর ধরেই নিয়মিতভাবে পাওয়া যাচ্ছে আর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে।
সূত্র:বিডিনিউজ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 














