ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কি হতে পারে: নির্বাচন, না নতুন অন্তর্বর্তী সরকার? ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছাড়লো বাসটার্মিনাল এলাকার বাসিন্দারা টেকনাফ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক: দলীয় লেজুড়বৃত্তির সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন উখিয়ায় পুলিশের পৃথক অভিযানে মিলল ১০ হাজার ইয়াবা ওপার থেকে ছোড়া গুলি পায়ে বিঁধলো নারীর খুনিয়া পালংয়ে চলন্তগাড়িতে ফিল্মি কায়দায় ডা’কা’তি, মোবাইলও টাকা ছিনতাই চকরিয়ায় ফের ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃ’ত্যু সেন্ট মার্টিন দখলকারীদের বিরুদ্ধে জোরালো বার্তা দিয়েছি: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উখিয়ায় ৮ খুদে হাফেজার কোরআন সবিনা খতম উপলক্ষে নানান আয়োজন বাবার সাথে মাছ ধরতে গিয়ে রেজুখালে স্কুল শিক্ষার্থী নিখোঁজ মহেশখালীর যুবদল নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ আরফাতের অকাল মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদের শোক রামু বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান সম্পন্ন বসতি বে রিসোর্টের সাথে লুৎফর রহমান কাজলের সম্পৃক্ততা নেই – কর্তৃপক্ষ নির্বাচনি জোট নিয়ে কোনো দলের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: আখতার রেস্তোরাঁ শিল্প বাঁচাতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কক্সবাজারের রেস্তোরাঁ মালিকদের…

সৈকতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে পরিবেশবাদীদের স্মারকলিপি

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে অবৈধভাবে নির্মিত দোকানপাট, ঝুপড়িসহ সব স্থাপনা উচ্ছেদ করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছে পরিবেশবাদী সংস্থা ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস)।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার ভিত্তিক এ পরিবেশবাদী সংস্থার প্রতিনিধিরা গিয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ আঃ মান্নানের হাতে স্মারকলিপিটি তুলে দেন।

এসময় ইয়েস এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা এডভোকেট রমিজ উদ্দিন, চেয়ারম্যান এডভোকেট মুজিবুল হক, প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন, বাংলাদেশ নদী পরিভ্রাজক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইসলাম মাহমুদ ও যুগ্ন সম্পাদক এডভোকেট আবুহেনা মোস্তফা প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নাজিরারটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত শতশত দোকান বসানো হয়েছে। পাশাপাশি নির্মাণ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা। এসব স্থাপনা সৈকতের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে মারাত্মক বিপর্যয়কর। এছাড়া সৈকতের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে আইন ও বিধি-বর্হিভূতভাবে এসব স্থাপনার মধ্যে বেশকিছু দোকানের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

পরিবেশবাদীদের পক্ষ থেকে দেওয়া এ স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এবং প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী ইসিএ এলাকায় স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে নির্মিত সকল স্থাপনা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক এবং এসব স্থাপনা স্থাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন ব্যতিরেকে সৈকতের বালিয়াড়িতে এধরণের স্থাপনা নির্মাণ সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ। কারণ সরকার ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিল কক্সবাজার-টেকনাফ সমুদ্র সৈকতকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে। একইভাবে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টও বিভিন্ন সময়ে সৈকতে স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। তাই জনস্বার্থে দোকানসহ এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা প্রয়োজন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, এর আগে অবৈধ এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করতে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসন কর্তৃক সৈকতে ব্যবসা করতে দেওয়া সব লাইসেন্স বাতিলেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কি হতে পারে: নির্বাচন, না নতুন অন্তর্বর্তী সরকার?

This will close in 6 seconds

সৈকতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে পরিবেশবাদীদের স্মারকলিপি

আপডেট সময় : ০৫:৪৫:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে অবৈধভাবে নির্মিত দোকানপাট, ঝুপড়িসহ সব স্থাপনা উচ্ছেদ করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছে পরিবেশবাদী সংস্থা ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস)।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার ভিত্তিক এ পরিবেশবাদী সংস্থার প্রতিনিধিরা গিয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ আঃ মান্নানের হাতে স্মারকলিপিটি তুলে দেন।

এসময় ইয়েস এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা এডভোকেট রমিজ উদ্দিন, চেয়ারম্যান এডভোকেট মুজিবুল হক, প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন, বাংলাদেশ নদী পরিভ্রাজক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইসলাম মাহমুদ ও যুগ্ন সম্পাদক এডভোকেট আবুহেনা মোস্তফা প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নাজিরারটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত শতশত দোকান বসানো হয়েছে। পাশাপাশি নির্মাণ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা। এসব স্থাপনা সৈকতের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে মারাত্মক বিপর্যয়কর। এছাড়া সৈকতের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে আইন ও বিধি-বর্হিভূতভাবে এসব স্থাপনার মধ্যে বেশকিছু দোকানের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

পরিবেশবাদীদের পক্ষ থেকে দেওয়া এ স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এবং প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী ইসিএ এলাকায় স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে নির্মিত সকল স্থাপনা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক এবং এসব স্থাপনা স্থাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন ব্যতিরেকে সৈকতের বালিয়াড়িতে এধরণের স্থাপনা নির্মাণ সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ। কারণ সরকার ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিল কক্সবাজার-টেকনাফ সমুদ্র সৈকতকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে। একইভাবে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টও বিভিন্ন সময়ে সৈকতে স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। তাই জনস্বার্থে দোকানসহ এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা প্রয়োজন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, এর আগে অবৈধ এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করতে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসন কর্তৃক সৈকতে ব্যবসা করতে দেওয়া সব লাইসেন্স বাতিলেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।