মাইলস্টোন ট্রাজেডি স্মরণে প্রতিবাদী আয়োজন করেছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কক্সবাজার জেলা সংসদ। ‘পাখিদের জন্য গান’ শিরোনামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের ঘুনগাছ তলায় এই আয়োজন করা হয়।
এসময় উদীচীর সংগঠকরা দাবি তুলেন বিমান বাহিনীসহ সামরিক যেকোনো বাহিনীর ঘাঁটি যেনো লোকালয় থেকে দুরে স্থাপন করা হয়। যাতে এমন নৃশংস ঘটনার ফের সাক্ষি হতে নাহয়।
আয়োজনের শুরুতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে সমবেত সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে নিহতদের স্মরণ করে ।
গত ফেব্রুয়ারিতে কক্সবাজারের সমিতি পাড়ায় বিমান বাহিনীর সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত নাহিদের কথা স্মরণ করে জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক সৌরভ দেব বলেন, লোকালয়ে মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই কেড়ে নিয়ে কোনো বাহিনীর বেইস ক্যাম্প বা ঘাঁটি হতে পারে না। আগে মানুষকে বাস করতে দিতে হবে।মানুষের বাসযোগ্য স্থানের দূরে গিয়ে বাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করতে হবে।
সৌরভ বলেন, “আর কতো মৃত্যু চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে রাষ্ট্র সবকিছুর উর্ধ্বে তার নাগরিকদের কথা সর্বাগ্রে ভাববে!”
মাইলস্টোন ট্রাজেডীর ঘটনায় রাষ্ট্রের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে উদীচী কক্সবাজার সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রশিদ মানিক বলেন, লোকালয়ে কখনও যুদ্ধ বিমানের প্রশিক্ষণ চলতে পারে। এ ঘটনার দায় রাষ্ট্রের নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার বিমান বন্দরের আশপাশে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দায়িত্বহীন সরকার মন্তব্য করে উদীচীর সংগঠক ফাল্গুনী হৈমু বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের রক্তে পাওয়া এই দেশকে তো আমরা নতুনভাবে পেয়েছি বলে জানান দিচ্ছি। কিন্তু এই নতুন দেশে স্কুলগামী শিশুদের নিরাপত্তা নেই। আমার শিশু স্কুলে গিয়েছে লেখাপড়া করার জন্য। তবে কেন সে লাশ হয়ে বাড়ী ফিরবে? আমরা এই ঘটনার তদন্ত পূর্বক বিচার চাই”।
এই জনপদ যেন নৃশংস হয়ে না ওঠে এবং দেশে শান্তি ফিরে আসে এমনটা প্রত্যাশা করে সমাবেশে সংহতি বক্তব্য রাখেন জেলা যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন আবু।
জেলা উদীচীর সহ সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল হক সুমনের সঞ্চালনায় এতে সাংস্কৃতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।