ঢাকা ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জনজোয়ারে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় পাকিস্তানের স্পিকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জনতার ঢল সংসদ ভবনের পথে খালেদা জিয়ার মরদেহ কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক খালেদা জিয়ার স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি চেয়ার

রামু থানায় উদ্ধার হওয়া ইয়াবার ঘটনায় পুলিশের সাবেক কনস্টেবলকে জড়িয়ে অপপ্রচার হচ্ছে দাবী

গত শনিবার রাতে রামু থানার পুলিশ একটি এক্স নোহা গাড়ি থেকে চালকসহ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে, ওই ঘটনায় গাড়ি চালক নেজাম উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে দুইজনের বিরোদ্ধে মামলা দায়ের করে রামু থানা পুলিশের এসআই ইসমাইল হোসেন, মামলা নং-৩৭, মামলায় চালক নেজামকে গ্রেপ্তার এবং ইয়াবার মালিক মোঃ দেলোয়ারকে পলাতক দেখিয়ে আসামী করা হয়।নেজাম হোয়াইক্যংয়ের কুতুবদিয়া পাড়ার মৃত আইয়ুুব আলীর ছেলে, দেলোয়ারের বাড়ি হ্নীলার নয়াপাড়া এলাকায়।

এদিকে এ ঘটনায় কক্সবাজারের একটি অনলাইন পোর্টালে গাড়ি চালক নেজামের ছবির সাথে পুলিশের সাবেক কনস্টেবল সাজেদের ছবি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

অন্যদিকে মামলার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রামু থানার ওই মামলায় কনস্টেবল সাজেদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, তাছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আসামীও নাই।যদিওবা অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে সংবাদটি তাঁরা সরিয়ে নিয়েছে।

এ সংবাদে পুলিশের সাবেক কনস্টেবল সাজেদের মানহানি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রামু থানার ওই মামলার বাদী, আসামী এবং স্বাক্ষী কেউই আমার ব্যাপারে জানেন না, ওই ঘটনার সাথে তিনি কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট নয়, তারপরেও ওই নিউজ পোর্টালে ইয়াবাসহ আটক গাড়িচালক নেজামের সাথে আমার ছবি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে।
সাজেদ আরও জানান, তিনি দীর্ঘদিনধরে এলাকায় থাকেন না, কর্মস্থল চট্টগ্রামে থাকেন।

এদিকে এ সংবাদের ব্যাখ্যা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন পুলিশের সাবেক কনস্টেবল সাজেদ, নিচে যা হুবহু তুলে ধরা হলো।

সাজেদের ব্যাখ্যা ও প্রতিবাদ ::

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, গেল রবিবার (২৩ মার্চ ) এসআই ইসমাইল হোসেন সঙ্গীফোর্সসহ প্রাইভেট নোহা গাড়ি থেকে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ নেজাম উদ্দিন নামে এক যুবককে আটক করে এবং দেলোয়ার নামে আরেকজনকে পলাতক আসামি করে রামু থানায় দুইজনের নামে মাদক মামলা দায়ের করা হয়। এজাহারে কোথাও আমার নাম উল্লেখ নেই। এমনকি আমার নামে বাংলাদেশের কোথাও কোনো মামলা নেই। সিসিএন নিউজে রামু থানার ওসির বরাতে আমার নাম লিখলেও, রামু থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী নিজেই আমাদের জানিয়েছেন যে, কোনো সাংবাদিক তাকে ফোন দেয়নি এবং তিনি কাউকে বলেনি আমার নাম। ওসির সাথে কথা না বলে কিভাবে অন্যজনের নাম মাদকের মতো ভয়ংকরকান্ডে ওসির বরাতে চালিয়ে দেয়? এ কেমন সাংবাদিকতা? এমনকি মামলার বাদী ইসমাইল হোসেন নিজেও আমাদেরকে
জানিয়েছেন যে, সাজেদ নামের কোনো ব্যক্তির নাম তাকেও জানাইনি আটক নেজাম উদ্দিন। পুলিশের মামলার এজাহারে নেই, ওসি এবং বাদী নিজেও জানে না আমার নাম। এমতাবস্থায় সিসিএনসহ যারাই সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার নামে অপপ্রচার করে মানহানি করছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। এমন জঘন্য অপপ্রচারে প্রশাসনসহ কাউকে বিভ্রান্তি না হওয়ার অনুরোধ করছি।তাছাড়া আমার নামে দেশের কোনো থানায় মামলা বা জিডি নাই, তাই এ সংবাদে আমার নাম কেন আসলো তা বোধগম্য নয়।তবে ধারণা করছি, স্থানীয় কিছু কুচক্রী মহল আমার পরিবারের সাথে পূর্বের জমিবিরোধের জেরে ভুল তথ্য প্রচার করছে।

প্রতিবাদকারী ::
মুহাম্মদ সাজেদ
কুতুবদিয়াপাড়া, ৩ নং ওয়ার্ড, হোয়াইক্যং, টেকনাফ।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

রামু থানায় উদ্ধার হওয়া ইয়াবার ঘটনায় পুলিশের সাবেক কনস্টেবলকে জড়িয়ে অপপ্রচার হচ্ছে দাবী

আপডেট সময় : ০৪:৩০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

গত শনিবার রাতে রামু থানার পুলিশ একটি এক্স নোহা গাড়ি থেকে চালকসহ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে, ওই ঘটনায় গাড়ি চালক নেজাম উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে দুইজনের বিরোদ্ধে মামলা দায়ের করে রামু থানা পুলিশের এসআই ইসমাইল হোসেন, মামলা নং-৩৭, মামলায় চালক নেজামকে গ্রেপ্তার এবং ইয়াবার মালিক মোঃ দেলোয়ারকে পলাতক দেখিয়ে আসামী করা হয়।নেজাম হোয়াইক্যংয়ের কুতুবদিয়া পাড়ার মৃত আইয়ুুব আলীর ছেলে, দেলোয়ারের বাড়ি হ্নীলার নয়াপাড়া এলাকায়।

এদিকে এ ঘটনায় কক্সবাজারের একটি অনলাইন পোর্টালে গাড়ি চালক নেজামের ছবির সাথে পুলিশের সাবেক কনস্টেবল সাজেদের ছবি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

অন্যদিকে মামলার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রামু থানার ওই মামলায় কনস্টেবল সাজেদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, তাছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আসামীও নাই।যদিওবা অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে সংবাদটি তাঁরা সরিয়ে নিয়েছে।

এ সংবাদে পুলিশের সাবেক কনস্টেবল সাজেদের মানহানি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রামু থানার ওই মামলার বাদী, আসামী এবং স্বাক্ষী কেউই আমার ব্যাপারে জানেন না, ওই ঘটনার সাথে তিনি কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট নয়, তারপরেও ওই নিউজ পোর্টালে ইয়াবাসহ আটক গাড়িচালক নেজামের সাথে আমার ছবি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে।
সাজেদ আরও জানান, তিনি দীর্ঘদিনধরে এলাকায় থাকেন না, কর্মস্থল চট্টগ্রামে থাকেন।

এদিকে এ সংবাদের ব্যাখ্যা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন পুলিশের সাবেক কনস্টেবল সাজেদ, নিচে যা হুবহু তুলে ধরা হলো।

সাজেদের ব্যাখ্যা ও প্রতিবাদ ::

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, গেল রবিবার (২৩ মার্চ ) এসআই ইসমাইল হোসেন সঙ্গীফোর্সসহ প্রাইভেট নোহা গাড়ি থেকে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ নেজাম উদ্দিন নামে এক যুবককে আটক করে এবং দেলোয়ার নামে আরেকজনকে পলাতক আসামি করে রামু থানায় দুইজনের নামে মাদক মামলা দায়ের করা হয়। এজাহারে কোথাও আমার নাম উল্লেখ নেই। এমনকি আমার নামে বাংলাদেশের কোথাও কোনো মামলা নেই। সিসিএন নিউজে রামু থানার ওসির বরাতে আমার নাম লিখলেও, রামু থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী নিজেই আমাদের জানিয়েছেন যে, কোনো সাংবাদিক তাকে ফোন দেয়নি এবং তিনি কাউকে বলেনি আমার নাম। ওসির সাথে কথা না বলে কিভাবে অন্যজনের নাম মাদকের মতো ভয়ংকরকান্ডে ওসির বরাতে চালিয়ে দেয়? এ কেমন সাংবাদিকতা? এমনকি মামলার বাদী ইসমাইল হোসেন নিজেও আমাদেরকে
জানিয়েছেন যে, সাজেদ নামের কোনো ব্যক্তির নাম তাকেও জানাইনি আটক নেজাম উদ্দিন। পুলিশের মামলার এজাহারে নেই, ওসি এবং বাদী নিজেও জানে না আমার নাম। এমতাবস্থায় সিসিএনসহ যারাই সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার নামে অপপ্রচার করে মানহানি করছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। এমন জঘন্য অপপ্রচারে প্রশাসনসহ কাউকে বিভ্রান্তি না হওয়ার অনুরোধ করছি।তাছাড়া আমার নামে দেশের কোনো থানায় মামলা বা জিডি নাই, তাই এ সংবাদে আমার নাম কেন আসলো তা বোধগম্য নয়।তবে ধারণা করছি, স্থানীয় কিছু কুচক্রী মহল আমার পরিবারের সাথে পূর্বের জমিবিরোধের জেরে ভুল তথ্য প্রচার করছে।

প্রতিবাদকারী ::
মুহাম্মদ সাজেদ
কুতুবদিয়াপাড়া, ৩ নং ওয়ার্ড, হোয়াইক্যং, টেকনাফ।