ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক খালেদা জিয়ার স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি চেয়ার বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক খালেদার সেবাসঙ্গী ফাতেমা খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, একদিনের সাধারণ ছুটি খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সাত দিন শোক পালনের কর্মসূচি বিএনপির

রাখাইন সংকট / রোহিঙ্গাদের ভিটেমাটি আরকান আর্মির হাতে, গড়ছে বসতি

মিয়ানমারের রাখাইন ভিত্তিক অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ‘রোহিঙ্গাখবর’ দাবী করেছে, প্রদেশটির  মংডু, রাথিডং ও বুথিডং টাউনশীপের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে আরকান আর্মি সেখানকার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইন সম্প্রদায়ের জন্য নতুন বসতি নিমার্ণ করছে।

গত ৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়,  রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে চলে যাওয়ায় জনশূন্য হয়ে পড়া এলাকাগুলোতে  জনসংখ্যা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছে আরকান আর্মির রাজনৈতিক শাখা ইউনাইটেড লিগস অফ আরকান (ইউএলএ)।

গত কয়েক মাস ধরে প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে ‘রাখাইন’ সম্প্রদায়ের লোকজন সেখানে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ রাখাইনদের গ্রামে রুপান্তর হওয়া উত্তর মংডুর ৮ টি গ্রামের নাম পাওয়া গেছে, সেগুলো হলো – নওয়ার ইয়োন তাউং, খাওলিজার, কিকানপিন, ওয়াবুত, ফার উত চাউং, মায়াও তাউং এবং কিইন চাউং।

জমি দখল ও নিপিড়ন এর পাশাপাশি সেখানে অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের ‘জোরপূর্বক শ্রমে আরকান আর্মি বাধ্য করছে বলে এক প্রতিবেদনে জানায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটস।

প্রতিবেদনে বলা হয়,’২০২৪ সালে রাখাইন রাজ্যে উল্লেখযোগ্য আঞ্চলিক সাফল্য অর্জনের পর, আরাকান আর্মি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অনেক গ্রামে জোরপূর্বক শ্রম ব্যবস্থা চালু করে, প্রায়শই প্রতিটি পরিবারের কমপক্ষে একজন সদস্যকে, সাধারণত পুরুষদের, একদিন থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত সময়ের জন্য কাজ করতে বাধ্য করে। ‘

রাখাইন থেকে ২০১৭ সালের আগস্টে জান্তার দমন-পীড়নে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে তখন প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় পায়, বর্তমানে সব মিলিয়ে প্রায় ১৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা দেশে বাস করছে।

জাতিসংঘের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত নতুন করে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, যখন রাখাইনে সংঘাত চলমান রয়েছে।

রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় রোহিঙ্গা নুরুল আমিনের সাথে, যিনি গত জুনে মংডুর সিকদার পাড়া থেকে পালিয়ে এসে উখিয়ার ১৮নং ক্যাম্পে আশ্রয় নেন।

নুরুল আমিন মংডুতে অবস্থানরত এক স্বজনের বরাত দিয়ে বলেন, ‘ মংডু শহরে আমার চাচাত ভাই আছে, তার সাথে চার-পাচ দিন আগে মোবাইলে কথা হয়েছে। শুনেছি শহরের টাউংপিও লেফট সহ আমাদের পাড়ায় নতুন কিছু ঘর করেছে আরকান আর্মি যেখানে রাখাইনরা থাকছে এখন যেগুলো আমাদের বসতভিটা ছিল।’ তিনি আরো বলেন, ‘ আমাদের কৃষিজমিগুলো তারা নিয়ে নিচ্ছে, সেখানে গুটি কয়েক রোহিঙ্গা আছে যারা বাধা দিতে গিয়ে নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে।’

আরিফ উল্লাহ নামে আরেক রোহিঙ্গা যুবক বলেন,’ আমরা যেই বাড়িগুলো রেখে এসেছি সেগুলোতে এখন অন্যরা দখল নিয়ে থাকছে আরকান আর্মির মাধ্যমে। ওরা আসলে আমাদের অস্তিত্ব মুছে দিতে চাইছে সেখানে কিন্তু আমরা তো সেখানে আজ হোক কাল হোক ফিরে যাবো এটি মেনে নেওয়া যায় না।’

২০১৭ সালের পরবর্তীতে মংডুর একটি এলাকায় মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য কিছু অভ্যর্থনা ঘর নির্মাণ করেছিলো সেগুলোও বর্তমানে আরকান আর্মি ও তাদের মদদপুষ্ট লোকজন ব্যবহার করছে বলে জানান তারা।

ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের কমিউনিটি সংগঠন ইউনাইটেড কাউন্সিল অফ রোহাং (ইউসিআর) এর সভাপতি মাস্টার সৈয়দউল্লাহ বলেন, ‘ আরকান আমাদের আদি ভূমি, আমাদের একমাত্র লক্ষ্য প্রত্যাবাসন এবং আমরা অচিরেই ঘরে ফিরব। ‘

আরকান আর্মি স্বেচ্ছাচারিতা কায়েম করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ ওরা আমাদের আত্মীয় স্বজনদের বিতাড়িত করে ঘর-বাড়িতে দখল নিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে পুরো রাখাইন রোহিঙ্গা শূন্য হয়ে পড়বে তাই বিশ্বকে আর নীরব থাকা চলবে না, আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে এই সংকট দ্রুত সমাধান করতে হবে।’

রোহিঙ্গা আগমনের ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয় জনগণও চান সংকটের সমাধান আসুক। স্থানীয় অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রবিউল হোসাইন বলেন, ‘ আমরা এই সংকটের টেকসই ও সঠিক সমাধান দেখতে চাই। এমনিতেই স্থানীয়রা রোহিঙ্গাদের কারণে নানা সমস্যার মুখোমুখি, সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আমাদের বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে। ‘

বাংলাদেশ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের পথে এগোচ্ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘ প্রত্যাবাসনই এই সংকটের কার্যকরী সমাধান এবং আমরা সে লক্ষ্যে কাজ অব্যাহত রেখেছি। একই সঙ্গে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও মানবিক সুরক্ষা নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।’

২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর, মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির জান্তাবাহিনীর সাথে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মংডু জেলার প্রায় ২৭১ কিলোমিটার এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবী করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি।

একবছর অতিবাহিত হলেও এখনো রাখাইনে নিজেদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন। প্রদেশটির ১৪টি টাউনশীপে (জেলা) নিজেদের দখল রয়েছে এমন দাবী করলেও সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটিতে জান্তার প্রত্যাঘাতের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের।
গুরুত্বপূর্ণ সিত্তে, কিয়াকফিউ ও মানাউং – এই ৩ টাউনশীপ আরকান আর্মির ধরাছোঁয়ার বাইরে, সেখানে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে জান্তার সামরিক বাহিনী।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে

This will close in 6 seconds

রাখাইন সংকট / রোহিঙ্গাদের ভিটেমাটি আরকান আর্মির হাতে, গড়ছে বসতি

আপডেট সময় : ১২:২৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

মিয়ানমারের রাখাইন ভিত্তিক অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ‘রোহিঙ্গাখবর’ দাবী করেছে, প্রদেশটির  মংডু, রাথিডং ও বুথিডং টাউনশীপের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে আরকান আর্মি সেখানকার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইন সম্প্রদায়ের জন্য নতুন বসতি নিমার্ণ করছে।

গত ৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়,  রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে চলে যাওয়ায় জনশূন্য হয়ে পড়া এলাকাগুলোতে  জনসংখ্যা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছে আরকান আর্মির রাজনৈতিক শাখা ইউনাইটেড লিগস অফ আরকান (ইউএলএ)।

গত কয়েক মাস ধরে প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে ‘রাখাইন’ সম্প্রদায়ের লোকজন সেখানে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ রাখাইনদের গ্রামে রুপান্তর হওয়া উত্তর মংডুর ৮ টি গ্রামের নাম পাওয়া গেছে, সেগুলো হলো – নওয়ার ইয়োন তাউং, খাওলিজার, কিকানপিন, ওয়াবুত, ফার উত চাউং, মায়াও তাউং এবং কিইন চাউং।

জমি দখল ও নিপিড়ন এর পাশাপাশি সেখানে অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের ‘জোরপূর্বক শ্রমে আরকান আর্মি বাধ্য করছে বলে এক প্রতিবেদনে জানায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটস।

প্রতিবেদনে বলা হয়,’২০২৪ সালে রাখাইন রাজ্যে উল্লেখযোগ্য আঞ্চলিক সাফল্য অর্জনের পর, আরাকান আর্মি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অনেক গ্রামে জোরপূর্বক শ্রম ব্যবস্থা চালু করে, প্রায়শই প্রতিটি পরিবারের কমপক্ষে একজন সদস্যকে, সাধারণত পুরুষদের, একদিন থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত সময়ের জন্য কাজ করতে বাধ্য করে। ‘

রাখাইন থেকে ২০১৭ সালের আগস্টে জান্তার দমন-পীড়নে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে তখন প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় পায়, বর্তমানে সব মিলিয়ে প্রায় ১৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা দেশে বাস করছে।

জাতিসংঘের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত নতুন করে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, যখন রাখাইনে সংঘাত চলমান রয়েছে।

রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় রোহিঙ্গা নুরুল আমিনের সাথে, যিনি গত জুনে মংডুর সিকদার পাড়া থেকে পালিয়ে এসে উখিয়ার ১৮নং ক্যাম্পে আশ্রয় নেন।

নুরুল আমিন মংডুতে অবস্থানরত এক স্বজনের বরাত দিয়ে বলেন, ‘ মংডু শহরে আমার চাচাত ভাই আছে, তার সাথে চার-পাচ দিন আগে মোবাইলে কথা হয়েছে। শুনেছি শহরের টাউংপিও লেফট সহ আমাদের পাড়ায় নতুন কিছু ঘর করেছে আরকান আর্মি যেখানে রাখাইনরা থাকছে এখন যেগুলো আমাদের বসতভিটা ছিল।’ তিনি আরো বলেন, ‘ আমাদের কৃষিজমিগুলো তারা নিয়ে নিচ্ছে, সেখানে গুটি কয়েক রোহিঙ্গা আছে যারা বাধা দিতে গিয়ে নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে।’

আরিফ উল্লাহ নামে আরেক রোহিঙ্গা যুবক বলেন,’ আমরা যেই বাড়িগুলো রেখে এসেছি সেগুলোতে এখন অন্যরা দখল নিয়ে থাকছে আরকান আর্মির মাধ্যমে। ওরা আসলে আমাদের অস্তিত্ব মুছে দিতে চাইছে সেখানে কিন্তু আমরা তো সেখানে আজ হোক কাল হোক ফিরে যাবো এটি মেনে নেওয়া যায় না।’

২০১৭ সালের পরবর্তীতে মংডুর একটি এলাকায় মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য কিছু অভ্যর্থনা ঘর নির্মাণ করেছিলো সেগুলোও বর্তমানে আরকান আর্মি ও তাদের মদদপুষ্ট লোকজন ব্যবহার করছে বলে জানান তারা।

ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের কমিউনিটি সংগঠন ইউনাইটেড কাউন্সিল অফ রোহাং (ইউসিআর) এর সভাপতি মাস্টার সৈয়দউল্লাহ বলেন, ‘ আরকান আমাদের আদি ভূমি, আমাদের একমাত্র লক্ষ্য প্রত্যাবাসন এবং আমরা অচিরেই ঘরে ফিরব। ‘

আরকান আর্মি স্বেচ্ছাচারিতা কায়েম করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ ওরা আমাদের আত্মীয় স্বজনদের বিতাড়িত করে ঘর-বাড়িতে দখল নিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে পুরো রাখাইন রোহিঙ্গা শূন্য হয়ে পড়বে তাই বিশ্বকে আর নীরব থাকা চলবে না, আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে এই সংকট দ্রুত সমাধান করতে হবে।’

রোহিঙ্গা আগমনের ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয় জনগণও চান সংকটের সমাধান আসুক। স্থানীয় অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রবিউল হোসাইন বলেন, ‘ আমরা এই সংকটের টেকসই ও সঠিক সমাধান দেখতে চাই। এমনিতেই স্থানীয়রা রোহিঙ্গাদের কারণে নানা সমস্যার মুখোমুখি, সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আমাদের বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে। ‘

বাংলাদেশ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের পথে এগোচ্ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘ প্রত্যাবাসনই এই সংকটের কার্যকরী সমাধান এবং আমরা সে লক্ষ্যে কাজ অব্যাহত রেখেছি। একই সঙ্গে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও মানবিক সুরক্ষা নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।’

২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর, মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির জান্তাবাহিনীর সাথে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মংডু জেলার প্রায় ২৭১ কিলোমিটার এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবী করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি।

একবছর অতিবাহিত হলেও এখনো রাখাইনে নিজেদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন। প্রদেশটির ১৪টি টাউনশীপে (জেলা) নিজেদের দখল রয়েছে এমন দাবী করলেও সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটিতে জান্তার প্রত্যাঘাতের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের।
গুরুত্বপূর্ণ সিত্তে, কিয়াকফিউ ও মানাউং – এই ৩ টাউনশীপ আরকান আর্মির ধরাছোঁয়ার বাইরে, সেখানে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে জান্তার সামরিক বাহিনী।