ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাংবাদিক সরওয়ার আজম মানিকের মায়ের জানাজা সম্পন্ন নির্বাচন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ: ‘উখিয়া স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতি’র অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন সাংবাদিক সরওয়ার আজম মানিকের মায়ের ইন্তেকাল: টিটিএনের শোক কক্সবাজারে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না থাকা লজ্জাজনক- জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি হাসান হাফিজ চকরিয়ায় কাভার্ডভ্যানের নিচে মোটর সাইকেল: নিহত-২ প্রার্থী চুড়ান্ত করা ,তারেক জিয়ার দেশে ফেরা, এনসিপির সাথে জোট প্রসঙ্গে যা বললেন সালাউদ্দিন আহমেদ প্রস্তুতি ছিলো চুড়ান্ত: আন্তর্জাতিক ফ্লাইট উড়ার আগেই স্থগিত স্বীকৃতি ঘোষণার ১১ দিনের মাথায় ‘আন্তর্জাতিক’ স্বীকৃতি হারাল কক্সবাজার বিমানবন্দর বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে কোস্টগার্ডের অভিযান: নারী ও শিশুসহ ৪৪ অ’প’হৃ’ত উদ্ধার শাশুড়ির ১২ লাখ টাকার কিলারে খুন হন সালমান শাহ! যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কখনো মাথা নত করব না—কেন হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন দুদিন পতনের পর স্বর্ণের দাম আবার ঊর্ধ্বমুখী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পদত্যাগের গুঞ্জন, যা বললো এনসিপি এনসিপি থেকে পদত্যাগ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর খুটাখালীতে চাঁ’দার টাকায় অতিষ্ঠ লবণ চাষীরা : প্রতিবাদে মানববন্ধন

যেভাবে এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও শনাক্ত করবেন

ডিপফেইকের মত এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও শনাক্ত করা দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে। কোন ভিডিও এআই দিয়ে তৈরি, কোনটি নয় এ নিয়ে যারা বিভ্রান্তিতে থাকেন এ লেখাটি তাদের জন্যই।

ডিপফেইক প্রযুক্তি অনেকদিন ধরেই ব্যবহার হয়ে আসছে, এটি সব ভিডিও একইভাবে বানায় না। কিছু ভিডিও বা ছবি এমনভাবে তৈরি করা হয় যা অবিশ্বাস করার মত নয়।

এসব ভিডিওর ক্ষেত্রে শুধু মুখের ভাবভঙ্গি বা ব্যাকগ্রাউন্ডে অদ্ভুত ছায়া আছে কিনা এসব বিষয় খেয়াল করলে কাজ হবে না বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট ‘মেইক ইউজ অফ’।

এমন সব ভিডিও শনাক্ত করার জন্য ‘ডিপওয়্যার’এর মত টুল ব্যবহার করা যেতে পারে। এই টুলটির সবচেয়ে ভালো দিক হল এটি একেবারেই বিনামূল্যে পাওয়া যায়।

টুলটি ব্যবহার করতে প্রথমে ডিপওয়্যারের ওয়েবসাইটে যেতে হবে, এরপর ‘গো টু স্ক্যানার’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর যে ভিডিওটি পরীক্ষা করতে চান তা সরাসরি নিজের ল্যাপটপ বা ফোন থেকে আপলোড করতে পারেন অথবা ভিডিওটির লিংক দিতে পারেন। এরপর সাইটে ভিডিওটি সম্পর্কে মতামত পাবেন। এটি বেশ দ্রুত ও সহজে কাজ করে।

আরেকটি প্ল্যাটফর্ম যা এআই ভিডিও শনাক্তে সাহায্য করতে পারে তা হল ‘অ্যাটেস্টিভ ডট ভিডিও’। এটি বিনামূল্যে ও প্রিমিয়াম প্ল্যান দুইভাবেই ব্যবহার করা যায়। বিনামূল্যের ব্যবহারকারীরা প্রতি মাসে সর্বোচ্চ পাঁচটি ভিডিও শনাক্ত করতে পারবেন এবং দুই মিনিটের বেশি দীর্ঘ ভিডিও আপলোড করতে পারবেন না।

টুলটি ব্যবহারের জন্য অ্যাটেস্টিভ ডট ভিডিওর ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর পুরো ফাইল বা লিংক আপলোড করে কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে স্ক্যান শেষ হওয়ার জন্য। স্ক্যান শেষে প্ল্যাটফর্মটি একটি টেকনিক্যাল সাসপিশিয়ন রেটিং তৈরি করবে। ওই রেটিংয়ে বেশি স্কোর আসা মানে ভিডিওটি এআই দিয়ে তৈরি, কম স্কোর আসা মানে এটি নিরাপদ।

‘ইনভিড’ নামে আরেকটি টুল রয়েছে, এটি ডিপফেইক ডিটেক্টরের মত কাজ করে না। বরং ভিডিওর মূল বিষয় এবং ফ্রেম কয়েকভাগে ভাগ করে। এটি ওয়েবসাইট নয় বরং ব্রাউজার এক্সটেনশন হিসেবে কাজ করে।

ইনভিড সরাসরি একটি ভিডিও আসল না নকল তা না বললেও মূল ফ্রেম ও মুখগুলো আলাদা করে দেখানোয় নিজেই পরীক্ষা করা সহজ হয়ে যায়।

সূত্র: বিডিনিউজ

 

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক সরওয়ার আজম মানিকের মায়ের জানাজা সম্পন্ন

This will close in 6 seconds

যেভাবে এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও শনাক্ত করবেন

আপডেট সময় : ০৩:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

ডিপফেইকের মত এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও শনাক্ত করা দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে। কোন ভিডিও এআই দিয়ে তৈরি, কোনটি নয় এ নিয়ে যারা বিভ্রান্তিতে থাকেন এ লেখাটি তাদের জন্যই।

ডিপফেইক প্রযুক্তি অনেকদিন ধরেই ব্যবহার হয়ে আসছে, এটি সব ভিডিও একইভাবে বানায় না। কিছু ভিডিও বা ছবি এমনভাবে তৈরি করা হয় যা অবিশ্বাস করার মত নয়।

এসব ভিডিওর ক্ষেত্রে শুধু মুখের ভাবভঙ্গি বা ব্যাকগ্রাউন্ডে অদ্ভুত ছায়া আছে কিনা এসব বিষয় খেয়াল করলে কাজ হবে না বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট ‘মেইক ইউজ অফ’।

এমন সব ভিডিও শনাক্ত করার জন্য ‘ডিপওয়্যার’এর মত টুল ব্যবহার করা যেতে পারে। এই টুলটির সবচেয়ে ভালো দিক হল এটি একেবারেই বিনামূল্যে পাওয়া যায়।

টুলটি ব্যবহার করতে প্রথমে ডিপওয়্যারের ওয়েবসাইটে যেতে হবে, এরপর ‘গো টু স্ক্যানার’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর যে ভিডিওটি পরীক্ষা করতে চান তা সরাসরি নিজের ল্যাপটপ বা ফোন থেকে আপলোড করতে পারেন অথবা ভিডিওটির লিংক দিতে পারেন। এরপর সাইটে ভিডিওটি সম্পর্কে মতামত পাবেন। এটি বেশ দ্রুত ও সহজে কাজ করে।

আরেকটি প্ল্যাটফর্ম যা এআই ভিডিও শনাক্তে সাহায্য করতে পারে তা হল ‘অ্যাটেস্টিভ ডট ভিডিও’। এটি বিনামূল্যে ও প্রিমিয়াম প্ল্যান দুইভাবেই ব্যবহার করা যায়। বিনামূল্যের ব্যবহারকারীরা প্রতি মাসে সর্বোচ্চ পাঁচটি ভিডিও শনাক্ত করতে পারবেন এবং দুই মিনিটের বেশি দীর্ঘ ভিডিও আপলোড করতে পারবেন না।

টুলটি ব্যবহারের জন্য অ্যাটেস্টিভ ডট ভিডিওর ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর পুরো ফাইল বা লিংক আপলোড করে কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে স্ক্যান শেষ হওয়ার জন্য। স্ক্যান শেষে প্ল্যাটফর্মটি একটি টেকনিক্যাল সাসপিশিয়ন রেটিং তৈরি করবে। ওই রেটিংয়ে বেশি স্কোর আসা মানে ভিডিওটি এআই দিয়ে তৈরি, কম স্কোর আসা মানে এটি নিরাপদ।

‘ইনভিড’ নামে আরেকটি টুল রয়েছে, এটি ডিপফেইক ডিটেক্টরের মত কাজ করে না। বরং ভিডিওর মূল বিষয় এবং ফ্রেম কয়েকভাগে ভাগ করে। এটি ওয়েবসাইট নয় বরং ব্রাউজার এক্সটেনশন হিসেবে কাজ করে।

ইনভিড সরাসরি একটি ভিডিও আসল না নকল তা না বললেও মূল ফ্রেম ও মুখগুলো আলাদা করে দেখানোয় নিজেই পরীক্ষা করা সহজ হয়ে যায়।

সূত্র: বিডিনিউজ