ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
“গোলদীঘিতে ধরা পড়া কাতলা মাছটি ১১ কেজি নয়, প্রকৃত ওজন ৬ কেজি” আসছে “মন্থা”, কক্সবাজারে বৃষ্টি গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে: আঘাত হানবে মঙ্গল বা বুধবার প্রথম দিনই ধরা পড়ল আড়াই কেজির ইলিশ, ৯২০০ টাকায় বিক্রি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, কোথায়, কখন আঘাত হানতে পারে সবুজ ঘাসে ঢাকা চট্টগ্রামের উইকেট, কেমন হবে রান পাবনায় ট্রাকচাপায় বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩ কি হতে পারে: নির্বাচন, না নতুন অন্তর্বর্তী সরকার? ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছাড়লো বাসটার্মিনাল এলাকার বাসিন্দারা টেকনাফ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক: দলীয় লেজুড়বৃত্তির সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন উখিয়ায় পুলিশের পৃথক অভিযানে মিলল ১০ হাজার ইয়াবা ওপার থেকে ছোড়া গুলি পায়ে বিঁধলো নারীর খুনিয়া পালংয়ে চলন্তগাড়িতে ফিল্মি কায়দায় ডা’কা’তি, মোবাইলও টাকা ছিনতাই চকরিয়ায় ফের ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃ’ত্যু সেন্ট মার্টিন দখলকারীদের বিরুদ্ধে জোরালো বার্তা দিয়েছি: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

মানবপাচারের বিরুদ্ধে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মানবপাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান বিশ্বব্যাপী গুরুতর ও উদ্বেগজনক অপরাধ। বাংলাদেশ সরকার সবসময় এ অপরাধ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। সরকার মানবপাচার প্রতিরোধে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে পাচারের শিকার ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ, সুরক্ষা এবং সহায়তা করার জন্য ডিজাইনকৃত ডিজিটাল ন্যাশনাল রেফারেল মেকানিজম (এনআরএম) এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এনআরএম প্ল্যাটফর্মটি মানবপাচারের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও সহায়তার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মাইলফলক উদ্যোগ বলেও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘মানবপাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান বিশ্বব্যাপী গুরুতর ও উদ্বেগজনক অপরাধ। ট্রানজিট এবং গন্তব্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশও এর ধ্বংসাত্মক প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। বাংলাদেশ সরকার সর্বদা এ অপরাধ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে একটি শক্তিশালী আইনি কাঠামো তৈরি করেছি। তবে আমরা এটাও স্বীকার করি যে মানবপাচারের শিকার ভুক্তভোগীরা সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সদস্য। তাদের সুরক্ষা প্রদান এবং পুনর্বাসন অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার মতোই গুরুত্বপূর্ণ।’

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘পাচারের শিকার ব্যক্তিরা মানসিক আঘাত, শোষণ এবং সামাজিক বর্জনের সম্মুখীন হন। যদিও সরকারি ও বেসরকারি পরিষেবা প্রদানকারী উভয় পক্ষই সহায়তা প্রদান করে। তবে সমন্বয় এবং সময়োপযোগী রেফারেলের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘এ চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিজিটাল এনআরএম তৈরি করেছে। এ প্ল্যাটফর্মটি ভুক্তভোগীদের আরও কার্যকরভাবে শনাক্তকরণ, অনুমোদিত পরিষেবা প্রদানকারীদের সাথে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ এবং একটি কাঠামোগত কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অধীনে দ্রুত রেফারেল সেবা প্রদানে সক্ষম হবে।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার মানবপাচারের অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরও বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- মানবপাচারের অপরাধকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিদ্যমান আইন পর্যালোচনা এবং ২০২৬-২০৩০ সালের জন্য মানবপাচার সংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, নতুন টিআইপি রিপোর্টিং এবং প্রত্যাবাসন ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের পাশাপাশি সিআইডিতে একটি বিশেষ তদন্ত ইউনিট প্রতিষ্ঠা, পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য তদন্ত নির্দেশিকা প্রবর্তন এবং সকল প্রাসঙ্গিক অংশীদারদের জন্য ভিকটিম শনাক্তকরণ নির্দেশিকা বাধ্যতামূলক করণ।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া, আইজিপি বাহারুল আলম বিপিএম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-১ অধিশাখার যুগ্মসচিব মু. জসীম উদ্দিন খান।

সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

“গোলদীঘিতে ধরা পড়া কাতলা মাছটি ১১ কেজি নয়, প্রকৃত ওজন ৬ কেজি”

This will close in 6 seconds

মানবপাচারের বিরুদ্ধে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৪:০৮:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মানবপাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান বিশ্বব্যাপী গুরুতর ও উদ্বেগজনক অপরাধ। বাংলাদেশ সরকার সবসময় এ অপরাধ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। সরকার মানবপাচার প্রতিরোধে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে পাচারের শিকার ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ, সুরক্ষা এবং সহায়তা করার জন্য ডিজাইনকৃত ডিজিটাল ন্যাশনাল রেফারেল মেকানিজম (এনআরএম) এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এনআরএম প্ল্যাটফর্মটি মানবপাচারের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও সহায়তার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মাইলফলক উদ্যোগ বলেও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘মানবপাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান বিশ্বব্যাপী গুরুতর ও উদ্বেগজনক অপরাধ। ট্রানজিট এবং গন্তব্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশও এর ধ্বংসাত্মক প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। বাংলাদেশ সরকার সর্বদা এ অপরাধ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে একটি শক্তিশালী আইনি কাঠামো তৈরি করেছি। তবে আমরা এটাও স্বীকার করি যে মানবপাচারের শিকার ভুক্তভোগীরা সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সদস্য। তাদের সুরক্ষা প্রদান এবং পুনর্বাসন অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার মতোই গুরুত্বপূর্ণ।’

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘পাচারের শিকার ব্যক্তিরা মানসিক আঘাত, শোষণ এবং সামাজিক বর্জনের সম্মুখীন হন। যদিও সরকারি ও বেসরকারি পরিষেবা প্রদানকারী উভয় পক্ষই সহায়তা প্রদান করে। তবে সমন্বয় এবং সময়োপযোগী রেফারেলের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘এ চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিজিটাল এনআরএম তৈরি করেছে। এ প্ল্যাটফর্মটি ভুক্তভোগীদের আরও কার্যকরভাবে শনাক্তকরণ, অনুমোদিত পরিষেবা প্রদানকারীদের সাথে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ এবং একটি কাঠামোগত কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অধীনে দ্রুত রেফারেল সেবা প্রদানে সক্ষম হবে।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার মানবপাচারের অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরও বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- মানবপাচারের অপরাধকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিদ্যমান আইন পর্যালোচনা এবং ২০২৬-২০৩০ সালের জন্য মানবপাচার সংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, নতুন টিআইপি রিপোর্টিং এবং প্রত্যাবাসন ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের পাশাপাশি সিআইডিতে একটি বিশেষ তদন্ত ইউনিট প্রতিষ্ঠা, পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য তদন্ত নির্দেশিকা প্রবর্তন এবং সকল প্রাসঙ্গিক অংশীদারদের জন্য ভিকটিম শনাক্তকরণ নির্দেশিকা বাধ্যতামূলক করণ।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া, আইজিপি বাহারুল আলম বিপিএম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-১ অধিশাখার যুগ্মসচিব মু. জসীম উদ্দিন খান।

সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন