ঢাকা ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
উখিয়া হাসপাতালের ২ টন ময়লা অপসারণ করলো বিডি ক্লিন টিম মাতারবাড়িতে শ্রমিক দলের সভাপতি মামুনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন মধ্যরাতে ইডেন গার্ডেনের ‘ছাদ থেকে পড়ে’ যুবকের মৃত্যু! বাঁকখালী নদীর তীরে পুনঃদখল উচ্ছেদে প্রশাসনের ফের অভিযান টেকনাফে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ নাফ নদীতে ২০২৬ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল ‘ট্রায়োন্ডা’ উন্মোচন ৩৯ জন নারী শিশু আটকে ছিলো পাহাড়ে! রাজা কংসনারায়ণের দূর্গা পূজা ও সমাজের ঐক্য ডিসেম্বরে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দেশে ফিরছেন সেফুদা! সু’মু’দ ফ্লো’টি’লা’য় পৌঁছে গেলো টিটিএনের সংবাদ, শহীদুল আলমের ফেসবুক পোস্ট.. জালিয়াপালংয়ে জেলা আমীর আনোয়ারী-“জামায়াতে ইসলামী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ” বিসর্জনের সুরে ‘ফিলিস্তিন মুক্তির’ প্রার্থনা টেকনাফে বিএনপি কার্যালয়ে র‍্যাবের অভিযান: ‘স্বৈরাচারী পদক্ষেপ’ বলছে স্থানীয় নেতারা বৈরি আবহাওয়াতেও কক্সবাজারে হোটেল রুম ‘সোল্ড আউট’ কক্সবাজারে চুরি হওয়া ৬৫ মোবাইলসহ কুমিল্লা থেকে ‘চোর’ গ্রেপ্তার

ভালোবাসাই যেন বিজয়ের প্রেরণা: মেসি ও ভিরাট যেখানে মিলে যান একই বিন্দুতে..

এক সময় ছিল যখন ভিরাট কোহলি আইপিএলের ট্রফির সামনে দাঁড়িয়ে থেকেও বারবার ফিরে এসেছেন খালি হাতে। আর লিওনেল মেসি—ফুটবল বিশ্বে শতাব্দীর সেরা হয়েও বারবার শুনেছেন, “তোমার তো বিশ্বকাপ নেই!” কিন্তু এই দুই কিংবদন্তির যাত্রা শুধু খেলার মাঠেই শেষ হয়নি, তাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয় এসেছে হৃদয়ের মাঠে—সঙ্গীর ভালোবাসা, সাহস আর সমর্থনে।

ভিরাট যখন ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত চাপে ভেঙে পড়ার উপক্রম, তখন আনুশকাই ছিলেন তার ছায়া হয়ে। মিডিয়ার আঘাত, ব্যর্থতার অভিশাপ, হাজারো সমালোচনার মাঝেও আনুশকা কখনো চোখ ফেরাননি। খেলার শেষে যখন সকলের চোখ ট্রফিতে, আনুশকার চোখ ছিল শুধুই ভিরাটের ক্লান্ত কিন্তু শান্ত মুখে। সে যেন শুধু একজন স্ত্রী নয়—একজন নীরব অনুপ্রেরণা, লড়াইয়ের দিনের মানসিক শক্তি, একজন যোদ্ধার হার না মানা অবয়ব..

অন্যদিকে, মেসির জীবনেও আন্তোনেলা ছিল তার শৈশবের আলো। ফুটবলের মাঠে একের পর এক ট্রফি উঠেছে তার হাতে, কিন্তু সাধের বিশ্বকাপ ছিল অধরাই। সবাই ভেবেছিল, হয়তো এটাই ফুটবল জাদুকরের জীবনের একমাত্র অপূর্ণতা।

কিন্তু আন্তোনেলা কখনো সেই ব্যর্থতাকে ব্যর্থতা ভাবেননি। তাঁর জন্য, মেসি সবসময়ই চ্যাম্পিয়ন। যখন বিশ্বকাপ হাতে মেসি চোখ বন্ধ করে হাসছিলেন, তখন আন্তোনেলার চোখে ভর করেছিলো শত শত নির্ঘুম রাতের প্রার্থনার জ্যোতি।

এই দুই মানুষ—ভিরাট আর মেসি—যারা শুধুই ক্রিকেট বা ফুটবল নয়, পুরো দুনিয়াকে দেখিয়েছেন যে, একজন মানুষের পেছনে যদি থাকে ভালোবাসা, সাহস আর একটুখানি নির্ভরতা, তবে সে পারে পৃথিবীর যেকোনো শৃঙ্গ জয় করতে।

এই গল্প শুধু খেলার নয়, ভালোবাসার, প্রতীক্ষার, আত্মবিশ্বাসের—আর নীরব সেই মানুষগুলোর, যারা সামনে না থেকেও পাশে থেকে বারবার প্রমাণ করে যান নজরুলকে-

” কোন কালে একা হয়নি ক’ জয়ী পুরুষের তরবারি,

প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয় লক্ষ্মী নারী”

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

উখিয়া হাসপাতালের ২ টন ময়লা অপসারণ করলো বিডি ক্লিন টিম

This will close in 6 seconds

ভালোবাসাই যেন বিজয়ের প্রেরণা: মেসি ও ভিরাট যেখানে মিলে যান একই বিন্দুতে..

আপডেট সময় : ০৮:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

এক সময় ছিল যখন ভিরাট কোহলি আইপিএলের ট্রফির সামনে দাঁড়িয়ে থেকেও বারবার ফিরে এসেছেন খালি হাতে। আর লিওনেল মেসি—ফুটবল বিশ্বে শতাব্দীর সেরা হয়েও বারবার শুনেছেন, “তোমার তো বিশ্বকাপ নেই!” কিন্তু এই দুই কিংবদন্তির যাত্রা শুধু খেলার মাঠেই শেষ হয়নি, তাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয় এসেছে হৃদয়ের মাঠে—সঙ্গীর ভালোবাসা, সাহস আর সমর্থনে।

ভিরাট যখন ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত চাপে ভেঙে পড়ার উপক্রম, তখন আনুশকাই ছিলেন তার ছায়া হয়ে। মিডিয়ার আঘাত, ব্যর্থতার অভিশাপ, হাজারো সমালোচনার মাঝেও আনুশকা কখনো চোখ ফেরাননি। খেলার শেষে যখন সকলের চোখ ট্রফিতে, আনুশকার চোখ ছিল শুধুই ভিরাটের ক্লান্ত কিন্তু শান্ত মুখে। সে যেন শুধু একজন স্ত্রী নয়—একজন নীরব অনুপ্রেরণা, লড়াইয়ের দিনের মানসিক শক্তি, একজন যোদ্ধার হার না মানা অবয়ব..

অন্যদিকে, মেসির জীবনেও আন্তোনেলা ছিল তার শৈশবের আলো। ফুটবলের মাঠে একের পর এক ট্রফি উঠেছে তার হাতে, কিন্তু সাধের বিশ্বকাপ ছিল অধরাই। সবাই ভেবেছিল, হয়তো এটাই ফুটবল জাদুকরের জীবনের একমাত্র অপূর্ণতা।

কিন্তু আন্তোনেলা কখনো সেই ব্যর্থতাকে ব্যর্থতা ভাবেননি। তাঁর জন্য, মেসি সবসময়ই চ্যাম্পিয়ন। যখন বিশ্বকাপ হাতে মেসি চোখ বন্ধ করে হাসছিলেন, তখন আন্তোনেলার চোখে ভর করেছিলো শত শত নির্ঘুম রাতের প্রার্থনার জ্যোতি।

এই দুই মানুষ—ভিরাট আর মেসি—যারা শুধুই ক্রিকেট বা ফুটবল নয়, পুরো দুনিয়াকে দেখিয়েছেন যে, একজন মানুষের পেছনে যদি থাকে ভালোবাসা, সাহস আর একটুখানি নির্ভরতা, তবে সে পারে পৃথিবীর যেকোনো শৃঙ্গ জয় করতে।

এই গল্প শুধু খেলার নয়, ভালোবাসার, প্রতীক্ষার, আত্মবিশ্বাসের—আর নীরব সেই মানুষগুলোর, যারা সামনে না থেকেও পাশে থেকে বারবার প্রমাণ করে যান নজরুলকে-

” কোন কালে একা হয়নি ক’ জয়ী পুরুষের তরবারি,

প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয় লক্ষ্মী নারী”