ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচনি জোট নিয়ে কোনো দলের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: আখতার রেস্তোরাঁ শিল্প বাঁচাতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কক্সবাজারের রেস্তোরাঁ মালিকদের… বিমানবন্দরের আগুন তদন্তে বিশেষজ্ঞ আসছেন ৪ দেশ থেকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ১ লক্ষ ১২ হাজার ৪৬৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার: আটক ১ সাগরে নিম্নচাপ, বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত সাংবাদিক সরওয়ার আজম মানিকের মায়ের জানাজা সম্পন্ন নির্বাচন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ: ‘উখিয়া স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতি’র অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন সাংবাদিক সরওয়ার আজম মানিকের মায়ের ইন্তেকাল: টিটিএনের শোক কক্সবাজারে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না থাকা লজ্জাজনক- জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি হাসান হাফিজ চকরিয়ায় কাভার্ডভ্যানের নিচে মোটর সাইকেল: নিহত-২ প্রার্থী চুড়ান্ত করা ,তারেক জিয়ার দেশে ফেরা, এনসিপির সাথে জোট প্রসঙ্গে যা বললেন সালাউদ্দিন আহমেদ প্রস্তুতি ছিলো চুড়ান্ত: আন্তর্জাতিক ফ্লাইট উড়ার আগেই স্থগিত স্বীকৃতি ঘোষণার ১১ দিনের মাথায় ‘আন্তর্জাতিক’ স্বীকৃতি হারাল কক্সবাজার বিমানবন্দর বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে কোস্টগার্ডের অভিযান: নারী ও শিশুসহ ৪৪ অ’প’হৃ’ত উদ্ধার শাশুড়ির ১২ লাখ টাকার কিলারে খুন হন সালমান শাহ!

ভালোবাসাই যেন বিজয়ের প্রেরণা: মেসি ও ভিরাট যেখানে মিলে যান একই বিন্দুতে..

এক সময় ছিল যখন ভিরাট কোহলি আইপিএলের ট্রফির সামনে দাঁড়িয়ে থেকেও বারবার ফিরে এসেছেন খালি হাতে। আর লিওনেল মেসি—ফুটবল বিশ্বে শতাব্দীর সেরা হয়েও বারবার শুনেছেন, “তোমার তো বিশ্বকাপ নেই!” কিন্তু এই দুই কিংবদন্তির যাত্রা শুধু খেলার মাঠেই শেষ হয়নি, তাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয় এসেছে হৃদয়ের মাঠে—সঙ্গীর ভালোবাসা, সাহস আর সমর্থনে।

ভিরাট যখন ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত চাপে ভেঙে পড়ার উপক্রম, তখন আনুশকাই ছিলেন তার ছায়া হয়ে। মিডিয়ার আঘাত, ব্যর্থতার অভিশাপ, হাজারো সমালোচনার মাঝেও আনুশকা কখনো চোখ ফেরাননি। খেলার শেষে যখন সকলের চোখ ট্রফিতে, আনুশকার চোখ ছিল শুধুই ভিরাটের ক্লান্ত কিন্তু শান্ত মুখে। সে যেন শুধু একজন স্ত্রী নয়—একজন নীরব অনুপ্রেরণা, লড়াইয়ের দিনের মানসিক শক্তি, একজন যোদ্ধার হার না মানা অবয়ব..

অন্যদিকে, মেসির জীবনেও আন্তোনেলা ছিল তার শৈশবের আলো। ফুটবলের মাঠে একের পর এক ট্রফি উঠেছে তার হাতে, কিন্তু সাধের বিশ্বকাপ ছিল অধরাই। সবাই ভেবেছিল, হয়তো এটাই ফুটবল জাদুকরের জীবনের একমাত্র অপূর্ণতা।

কিন্তু আন্তোনেলা কখনো সেই ব্যর্থতাকে ব্যর্থতা ভাবেননি। তাঁর জন্য, মেসি সবসময়ই চ্যাম্পিয়ন। যখন বিশ্বকাপ হাতে মেসি চোখ বন্ধ করে হাসছিলেন, তখন আন্তোনেলার চোখে ভর করেছিলো শত শত নির্ঘুম রাতের প্রার্থনার জ্যোতি।

এই দুই মানুষ—ভিরাট আর মেসি—যারা শুধুই ক্রিকেট বা ফুটবল নয়, পুরো দুনিয়াকে দেখিয়েছেন যে, একজন মানুষের পেছনে যদি থাকে ভালোবাসা, সাহস আর একটুখানি নির্ভরতা, তবে সে পারে পৃথিবীর যেকোনো শৃঙ্গ জয় করতে।

এই গল্প শুধু খেলার নয়, ভালোবাসার, প্রতীক্ষার, আত্মবিশ্বাসের—আর নীরব সেই মানুষগুলোর, যারা সামনে না থেকেও পাশে থেকে বারবার প্রমাণ করে যান নজরুলকে-

” কোন কালে একা হয়নি ক’ জয়ী পুরুষের তরবারি,

প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয় লক্ষ্মী নারী”

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনি জোট নিয়ে কোনো দলের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: আখতার

This will close in 6 seconds

ভালোবাসাই যেন বিজয়ের প্রেরণা: মেসি ও ভিরাট যেখানে মিলে যান একই বিন্দুতে..

আপডেট সময় : ০৮:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

এক সময় ছিল যখন ভিরাট কোহলি আইপিএলের ট্রফির সামনে দাঁড়িয়ে থেকেও বারবার ফিরে এসেছেন খালি হাতে। আর লিওনেল মেসি—ফুটবল বিশ্বে শতাব্দীর সেরা হয়েও বারবার শুনেছেন, “তোমার তো বিশ্বকাপ নেই!” কিন্তু এই দুই কিংবদন্তির যাত্রা শুধু খেলার মাঠেই শেষ হয়নি, তাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয় এসেছে হৃদয়ের মাঠে—সঙ্গীর ভালোবাসা, সাহস আর সমর্থনে।

ভিরাট যখন ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত চাপে ভেঙে পড়ার উপক্রম, তখন আনুশকাই ছিলেন তার ছায়া হয়ে। মিডিয়ার আঘাত, ব্যর্থতার অভিশাপ, হাজারো সমালোচনার মাঝেও আনুশকা কখনো চোখ ফেরাননি। খেলার শেষে যখন সকলের চোখ ট্রফিতে, আনুশকার চোখ ছিল শুধুই ভিরাটের ক্লান্ত কিন্তু শান্ত মুখে। সে যেন শুধু একজন স্ত্রী নয়—একজন নীরব অনুপ্রেরণা, লড়াইয়ের দিনের মানসিক শক্তি, একজন যোদ্ধার হার না মানা অবয়ব..

অন্যদিকে, মেসির জীবনেও আন্তোনেলা ছিল তার শৈশবের আলো। ফুটবলের মাঠে একের পর এক ট্রফি উঠেছে তার হাতে, কিন্তু সাধের বিশ্বকাপ ছিল অধরাই। সবাই ভেবেছিল, হয়তো এটাই ফুটবল জাদুকরের জীবনের একমাত্র অপূর্ণতা।

কিন্তু আন্তোনেলা কখনো সেই ব্যর্থতাকে ব্যর্থতা ভাবেননি। তাঁর জন্য, মেসি সবসময়ই চ্যাম্পিয়ন। যখন বিশ্বকাপ হাতে মেসি চোখ বন্ধ করে হাসছিলেন, তখন আন্তোনেলার চোখে ভর করেছিলো শত শত নির্ঘুম রাতের প্রার্থনার জ্যোতি।

এই দুই মানুষ—ভিরাট আর মেসি—যারা শুধুই ক্রিকেট বা ফুটবল নয়, পুরো দুনিয়াকে দেখিয়েছেন যে, একজন মানুষের পেছনে যদি থাকে ভালোবাসা, সাহস আর একটুখানি নির্ভরতা, তবে সে পারে পৃথিবীর যেকোনো শৃঙ্গ জয় করতে।

এই গল্প শুধু খেলার নয়, ভালোবাসার, প্রতীক্ষার, আত্মবিশ্বাসের—আর নীরব সেই মানুষগুলোর, যারা সামনে না থেকেও পাশে থেকে বারবার প্রমাণ করে যান নজরুলকে-

” কোন কালে একা হয়নি ক’ জয়ী পুরুষের তরবারি,

প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয় লক্ষ্মী নারী”