ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার এসে পর্যটকদের আর চিন্তা নেই এসে গেছে ‘ভ্রমণিকা’ অ্যাপ শুক্রবার কক্সবাজার আসছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব জামালপুরের ‘যৌনপল্লী’ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প – মাদকের এডি দিদারুলের যত অপকর্ম! সাংবাদিককে ফাঁসাতে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লাইভ নাটক! “আমার বোনের কান্না, আর না-আর না” পেকুয়ার বানৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাঁটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বানৌজা পেকুয়া পেকুয়ার নৌঘাঁটি সহ সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা-স্থাপনার নাম পরিবর্তন ধর্ম উপদেষ্টা কক্সবাজার আসছেন সোমবার: জেলা মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন চকরিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান: ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা মব ভায়োল্যান্স সৃষ্টিকারী সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: মাহফুজ আলম ব্যারিস্টার সাফফাত ফারদিন চৌধুরী – মরিচ্যাপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন সভাপতি রিজার্ভ এখন ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার ধর্ষণের মামলা ৯০ দিনে শেষ করতে আইন হচ্ছে : উপদেষ্টা বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হলেন কাজল বদরখালীতে মহেশখালী পারাপারের গাড়ি যখন ইচ্ছে আটকে দিচ্ছে কতিপয় লোকজন

‘বাংলাদেশি রোগী দেখব না’ ঘোষণার বিরোধিতা কলকাতার চিকিৎসকদের

বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপরে হামলা ও ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ তুলে “বাংলাদেশি রোগী দেখব না” বলে যে ঘোষণা দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার কয়েকটি হাসপাতাল এবং কয়েকজন চিকিৎসক। যদিও এই ঘোষণার বিরোধিতা করে আসছে কলকাতার কয়েকটি বড় হাসপাতাল ও ডাক্তারদের একটা বড় অংশ। কলকাতার চিকিৎসকদের ও হাসপাতালগুলোর সংগঠনও বলছে, রোগীদের কোনো জাত, ধর্ম না দেখেই চিকিৎসা করা তাদের কর্তব্য।

এদিকে সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সংগঠন জানিয়েছে বাংলাদেশের রোগী আসা প্রায় ৭০% কমে গেছে। ফলে যেসব হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের ওপর অনেকতাই নির্ভরশীল ছিল, তাদের কাছে এটা বড় ধাক্কা।

কলকাতার একটি হাসপাতাল ও দুইজন চিকিৎসকের বাংলাদেশি রোগী না দেখার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন চিকিৎসকও।

এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. মানস গুমটা বিবিসিকে বলেছেন, “একজন চিকিৎসক হিসাবে কোনো বিশেষ দেশের বা বিশেষ ধর্মের রোগী দেখব না এটা বলা যায় না। ডাক্তার হতে গেলে যে শপথ নিতে হয়, এ ধরনের কথা তার পরিপন্থী।”

তিনি আরও বলেন, “একজন অপরাধীও আমাদের কাছে রোগী হিসাবে এলে তার চিকিৎসা করাটাই আমাদের অন্যতম শপথ।”

তার কথায়, “এটা একজন ডাক্তার হিসাবে এবং সংগঠন হিসাবে নৈতিকভাবে আমরা এটা বলতে পারি না ঠিকই, কিন্তু যে অল্প কয়েকজন ডাক্তার এরকম ঘোষণা করেছেন, তারা গভীর মানসিক যন্ত্রণা থেকেই এরকম বলেছেন বলে আমার ধারণা। বাংলাদেশে যা ঘটছে, তাতে বিচলিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে- সেই যন্ত্রণা থেকেই হয়ত কয়েকজন ডাক্তার বা হাসপাতাল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

অ্যাসোসিয়েশন অব হসপিটালস অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ও কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী অফিসার রূপক বড়ুয়া বিবিসি বাংলাকে বলেন, “একজন রোগী তো রোগীই- তার তো কোনো জাত-ধর্ম থাকতে পারে না। আমাদের দায়িত্ব তিনি এলে তাকে চিকিৎসা দিতে হবে। বাংলাদেশি রোগী দেখব না, এটা বলা যায় না।”

জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজার এসে পর্যটকদের আর চিন্তা নেই এসে গেছে ‘ভ্রমণিকা’ অ্যাপ

This will close in 6 seconds

‘বাংলাদেশি রোগী দেখব না’ ঘোষণার বিরোধিতা কলকাতার চিকিৎসকদের

আপডেট সময় : ০২:৪২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপরে হামলা ও ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ তুলে “বাংলাদেশি রোগী দেখব না” বলে যে ঘোষণা দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার কয়েকটি হাসপাতাল এবং কয়েকজন চিকিৎসক। যদিও এই ঘোষণার বিরোধিতা করে আসছে কলকাতার কয়েকটি বড় হাসপাতাল ও ডাক্তারদের একটা বড় অংশ। কলকাতার চিকিৎসকদের ও হাসপাতালগুলোর সংগঠনও বলছে, রোগীদের কোনো জাত, ধর্ম না দেখেই চিকিৎসা করা তাদের কর্তব্য।

এদিকে সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সংগঠন জানিয়েছে বাংলাদেশের রোগী আসা প্রায় ৭০% কমে গেছে। ফলে যেসব হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের ওপর অনেকতাই নির্ভরশীল ছিল, তাদের কাছে এটা বড় ধাক্কা।

কলকাতার একটি হাসপাতাল ও দুইজন চিকিৎসকের বাংলাদেশি রোগী না দেখার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন চিকিৎসকও।

এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. মানস গুমটা বিবিসিকে বলেছেন, “একজন চিকিৎসক হিসাবে কোনো বিশেষ দেশের বা বিশেষ ধর্মের রোগী দেখব না এটা বলা যায় না। ডাক্তার হতে গেলে যে শপথ নিতে হয়, এ ধরনের কথা তার পরিপন্থী।”

তিনি আরও বলেন, “একজন অপরাধীও আমাদের কাছে রোগী হিসাবে এলে তার চিকিৎসা করাটাই আমাদের অন্যতম শপথ।”

তার কথায়, “এটা একজন ডাক্তার হিসাবে এবং সংগঠন হিসাবে নৈতিকভাবে আমরা এটা বলতে পারি না ঠিকই, কিন্তু যে অল্প কয়েকজন ডাক্তার এরকম ঘোষণা করেছেন, তারা গভীর মানসিক যন্ত্রণা থেকেই এরকম বলেছেন বলে আমার ধারণা। বাংলাদেশে যা ঘটছে, তাতে বিচলিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে- সেই যন্ত্রণা থেকেই হয়ত কয়েকজন ডাক্তার বা হাসপাতাল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

অ্যাসোসিয়েশন অব হসপিটালস অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ও কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী অফিসার রূপক বড়ুয়া বিবিসি বাংলাকে বলেন, “একজন রোগী তো রোগীই- তার তো কোনো জাত-ধর্ম থাকতে পারে না। আমাদের দায়িত্ব তিনি এলে তাকে চিকিৎসা দিতে হবে। বাংলাদেশি রোগী দেখব না, এটা বলা যায় না।”