ঢাকা ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
উখিয়া হাসপাতালের ২ টন ময়লা অপসারণ করলো বিডি ক্লিন টিম মাতারবাড়িতে শ্রমিক দলের সভাপতি মামুনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন মধ্যরাতে ইডেন গার্ডেনের ‘ছাদ থেকে পড়ে’ যুবকের মৃত্যু! বাঁকখালী নদীর তীরে পুনঃদখল উচ্ছেদে প্রশাসনের ফের অভিযান টেকনাফে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ নাফ নদীতে ২০২৬ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল ‘ট্রায়োন্ডা’ উন্মোচন ৩৯ জন নারী শিশু আটকে ছিলো পাহাড়ে! রাজা কংসনারায়ণের দূর্গা পূজা ও সমাজের ঐক্য ডিসেম্বরে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দেশে ফিরছেন সেফুদা! সু’মু’দ ফ্লো’টি’লা’য় পৌঁছে গেলো টিটিএনের সংবাদ, শহীদুল আলমের ফেসবুক পোস্ট.. জালিয়াপালংয়ে জেলা আমীর আনোয়ারী-“জামায়াতে ইসলামী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ” বিসর্জনের সুরে ‘ফিলিস্তিন মুক্তির’ প্রার্থনা টেকনাফে বিএনপি কার্যালয়ে র‍্যাবের অভিযান: ‘স্বৈরাচারী পদক্ষেপ’ বলছে স্থানীয় নেতারা বৈরি আবহাওয়াতেও কক্সবাজারে হোটেল রুম ‘সোল্ড আউট’ কক্সবাজারে চুরি হওয়া ৬৫ মোবাইলসহ কুমিল্লা থেকে ‘চোর’ গ্রেপ্তার

বন্ধ হচ্ছে সৈকতে লাইফগার্ড সেবা: জরুরি পদক্ষেপ চায় কক্সবাজার কমিউনিটি অ্যালায়েন্স

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাইফগার্ড সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কক্সবাজার কমিউনিটি অ্যালায়েন্স।

আন্তর্জাতিক সংস্থা রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউট (আরএনএলআই) এর অর্থায়নে এবং সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)-এর তত্ত্বাবধানে ২০১২ সাল থেকে চলা ‘সি-সেফ লাইফগার্ড’ প্রকল্পের কার্যক্রম আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সংগঠনটির মতে, এই সিদ্ধান্ত দেশের পর্যটন খাত ও লাখো ভ্রমণপিপাসুর জীবনের জন্য অশনি সংকেত।

২০১৪ সালে প্রকল্পটি চালুর পর থেকে কক্সবাজারের তিনটি জনপ্রিয় সৈকতে ২৭ জন প্রশিক্ষিত লাইফগার্ড কাজ করছেন। তাদের প্রচেষ্টায় ২০১৫ সাল থেকে চলতি বছরের ৭ জুলাই পর্যন্ত ৭৯৫ জন পর্যটক মৃত্যুর মুখ থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তবে একই সময়ে ৬৩ জন পর্যটক প্রাণ হারান।

শুধু গত বছরই ১৪৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল, যা এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। একই বছরে ১২ জনের মৃত্যু হয়। এ বছরের প্রথম ছয় মাসেই প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন পর্যটক, আর উদ্ধার হয়েছেন ৫৩ জন। এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে, সৈকতে লাইফগার্ড সেবা কতটা জরুরি।

ঢাকাস্থ কক্সবাজারবাসীদের সংগঠন ‘কক্সবাজার কমিউনিটি অ্যালায়েন্স’ বলছে, সরকারের পক্ষ থেকে হোটেল-মালিকদের ওপর লাইফগার্ড সেবার ব্যয়ভার চাপানোর উদ্যোগ কার্যকর সমাধান নয়। বছরে প্রায় ৭০ লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটকের নিরাপত্তা কোনো বেসরকারি খাতের ওপর নির্ভর করতে পারে না; এটি সরকারের দায়িত্ব।

সংগঠনটি মনে করে, লাইফগার্ড সেবা কোনো বাণিজ্যিক সুবিধা নয়, বরং জরুরি জনসেবা। তাই একটি স্থায়ী সরকারি তহবিল গঠন, সেবাটিকে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আওতায় আনা এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

“পর্যটন শিল্পের ভিত্তি হলো বিশ্বাস ও নিরাপত্তা। এই ভিত্তি দুর্বল হলে স্বপ্নের পর্যটন খাত মুখ থুবড়ে পড়বে” বলে সতর্ক করেছে কক্সবাজার কমিউনিটি অ্যালায়েন্স।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

উখিয়া হাসপাতালের ২ টন ময়লা অপসারণ করলো বিডি ক্লিন টিম

This will close in 6 seconds

বন্ধ হচ্ছে সৈকতে লাইফগার্ড সেবা: জরুরি পদক্ষেপ চায় কক্সবাজার কমিউনিটি অ্যালায়েন্স

আপডেট সময় : ০৩:৪০:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাইফগার্ড সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কক্সবাজার কমিউনিটি অ্যালায়েন্স।

আন্তর্জাতিক সংস্থা রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউট (আরএনএলআই) এর অর্থায়নে এবং সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)-এর তত্ত্বাবধানে ২০১২ সাল থেকে চলা ‘সি-সেফ লাইফগার্ড’ প্রকল্পের কার্যক্রম আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সংগঠনটির মতে, এই সিদ্ধান্ত দেশের পর্যটন খাত ও লাখো ভ্রমণপিপাসুর জীবনের জন্য অশনি সংকেত।

২০১৪ সালে প্রকল্পটি চালুর পর থেকে কক্সবাজারের তিনটি জনপ্রিয় সৈকতে ২৭ জন প্রশিক্ষিত লাইফগার্ড কাজ করছেন। তাদের প্রচেষ্টায় ২০১৫ সাল থেকে চলতি বছরের ৭ জুলাই পর্যন্ত ৭৯৫ জন পর্যটক মৃত্যুর মুখ থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তবে একই সময়ে ৬৩ জন পর্যটক প্রাণ হারান।

শুধু গত বছরই ১৪৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল, যা এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। একই বছরে ১২ জনের মৃত্যু হয়। এ বছরের প্রথম ছয় মাসেই প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন পর্যটক, আর উদ্ধার হয়েছেন ৫৩ জন। এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে, সৈকতে লাইফগার্ড সেবা কতটা জরুরি।

ঢাকাস্থ কক্সবাজারবাসীদের সংগঠন ‘কক্সবাজার কমিউনিটি অ্যালায়েন্স’ বলছে, সরকারের পক্ষ থেকে হোটেল-মালিকদের ওপর লাইফগার্ড সেবার ব্যয়ভার চাপানোর উদ্যোগ কার্যকর সমাধান নয়। বছরে প্রায় ৭০ লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটকের নিরাপত্তা কোনো বেসরকারি খাতের ওপর নির্ভর করতে পারে না; এটি সরকারের দায়িত্ব।

সংগঠনটি মনে করে, লাইফগার্ড সেবা কোনো বাণিজ্যিক সুবিধা নয়, বরং জরুরি জনসেবা। তাই একটি স্থায়ী সরকারি তহবিল গঠন, সেবাটিকে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আওতায় আনা এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

“পর্যটন শিল্পের ভিত্তি হলো বিশ্বাস ও নিরাপত্তা। এই ভিত্তি দুর্বল হলে স্বপ্নের পর্যটন খাত মুখ থুবড়ে পড়বে” বলে সতর্ক করেছে কক্সবাজার কমিউনিটি অ্যালায়েন্স।