আপত্তি ও প্রতিবাদের মুখে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কবিতা চত্বরে স্থাপনা নির্মাণের কাজ বন্ধ করেছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন।
পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক রায়হান উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, আপত্তি ওঠায় আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, “যারা আপত্তি করছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
শুক্রবার কবিতা চত্বরে বড় বড় গর্ত করে ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া (ইসিএ) তে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পাশাপাশি, সরেজমিনে গিয়ে আপত্তি জানান সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল, বাপা কক্সবাজারের সভাপতি সাংবাদিক এইচ এম এরশাদ, সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ, ‘আমরা কক্সবাজারবাসী’ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিনসহ অন্যরা।
তাদের দাবি, কবিতা চত্বরে রয়েছে ঝাউগাছসহ সাগর তীরবর্তী প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা। সেখানে স্থাপনা নির্মাণে সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পর্যটন কর্পোরেশন কাজ শুরু করেছে, যা পরিবেশের জন্য হুমকি।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা রাশেদ মোহাম্মদ আলী তাঁর ফেসবুক পোস্টে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে লেখেন,
“কবিতা চত্বর সবার জন্য উন্মুক্ত এলাকা। এখানে কবিতার আসর, পিকনিকসহ নানা অনুষ্ঠান হয়। অথচ এখন দেখছি পর্যটন করপোরেশন এটি কংক্রিটের ঘেরা দিচ্ছে! সমুদ্র সৈকতের এই জায়গাটা কি পর্যটন করপোরেশনের? তাদের কি কোনো অধিকার আছে দেয়াল তোলার? আহারে! সরকারি-বেসরকারি যে যেভাবে পারছে, পৃথিবীর দীর্ঘতম এই সমুদ্র সৈকতটিকে ভোগ করছে। প্রতিদিন ধর্ষিত হচ্ছে, দেখার কেউ নেই, বলার কেউ নেই।”
পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক রায়হান উদ্দিন আহমেদ বলেন, “এখানে কোনো স্থাপনা নির্মাণ নয়, পর্যটন কর্পোরেশনের মালিকানাধীন এলাকা চিহ্নিত করতে নেট লাগানো হচ্ছিল। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবেই পিলার স্থাপনের জন্য গর্ত করা হয়েছিল।”
তিনি আরও জানান, “যেহেতু আপত্তি এসেছে, তাই আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।”
নিজস্ব প্রতিবেদক : 













